Teaser-52

Struggle কে জয় করতে কি প্রয়োজন?

 

গতকাল এশার নামাজ পড়ে অফিস থেকে বের হবার পর ক্রিসেনট লেকের কাছাকাছি এসে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে যাই। দেখতে পেলাম ১০/১২ বছরের একটি মেয়ে ফুলের মালা বিক্রি করছে। অনেকের কাছে সে বিক্রি করার চেষ্টা করছে। আমি মনে মনে ভাবলাম ও যদি আমার কাছে আশে তাহলে আমি ওর কাছ থেকে মালা গুলো কিনব এবং যে দাম চাইবে সেই দামই দেবো। ঠিক ১০/১২ টি গাড়ি পার করে আমার কাছে এসে হাজির।

এগুলো কিসের মালা? উত্তরে বললো “বেলী ফুলের মালা”। দাম কত? এক পিস ২০ টাকা। অনেক বেশি দাম। ভাইয়া আপনি কত দিবেন? তুমি বলো কত করে দেবে? আপনার জন্য একটা ২০ টাকা। স্যার নিয়ে নেন ম্যাডাম অনেক খুশী হবে। তুমি বুঝলা কেমনে? আমি জানি ভাইয়া। তোমার কাছে কত গুলো আছে? স্যার ৫টা আছে। ৫ টাই দাও। বলো এইবার দাম কত? সত্যিই ৫টাই নেবেন? স্যার ১০০ টাকা দিয়েন। প্লিজ ভাইয়া নিয়ে নেন আপা খুশি হবে। আমি ৫টা ৫০ টাকা দেবো, তাড়াতাড়ি বলো সিগন্যাল ছেড়ে দেবে। অনেকক্ষণ চুপ থেকে বলে নেন।

আমি বললাম ঠিক আছে যাও ১০০ টাকার ভাঙতি টাকা নিয়ে আসো। ও মালা গুলো দিয়ে এক দৌড়ে চলে গেলো ভাঙতি আনতে। ততক্ষণে সিগন্যাল ছেড়ে দিয়েছে আর আমি একটু সামনে গিয়ে সাইড করে রেখেছি। কিছুক্ষণ পর আমাকে এসে বলে এই নেন ভাইয়া ৫০ টাকা। আমি বললাম এই নাও ৫০ টাকা তোমার মালা দাম আর এই হচ্ছে ৫০ টাকা তোমার বোকশিস তোমার ভালো ব্যবহারের জন্য। আমি দূর থেকে ওর আনন্দ দেখতে চাচ্ছিলাম। মুহূর্তের মধ্যে ও সবাই কে জড়ো করলো আর বলতে লাগলো। কি বলছিল জানি না তবে সবাই ওকে সাবাসী দিচ্ছিলো। তারপর পাশে বসে থাকা ছোট্ট বোনকে নিয়ে খেলা শুরু করে দিলো, মনে হয় আজকের টার্গেট পূর্ণ হয়ে গ্যাছে। ওর হাসি দেখে মনে হলো সে আজ Star of the Day.

আমরা সবাই কোন না কোনভাবে বিক্রয়কর্মী। এরকম আনন্দ আমরা সবাই করতে চাই, Star of the Day সবাই হতে চাই কিন্তু পারি না কারণ Star of the Day হতে হলে যে আনন্দ নিয়ে পরিশ্রম করা দরকার সেটি আমরা করি না বা করতে পারছিনা। আমি চাইলে মেয়েটিকে কষ্ট ছাড়াই ১০০ টাকা দিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু যে জয়ী ভাব তাঁর ভেতর এসেছে সেটা হয়তো সে পেতো না।

Moral of the Story: আমার এক ছাত্র আমাকে বলে ছিল “Struggle কে জয় করতে হলে আরো বেশী Struggle করতে হবে”


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট ([email protected])

 


Career Objective for CV6

সিভিতে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ কিভাবে লিখবো?

আমাদের প্রত্যেকেরই কমবেশী সিভি বা রিজুমে লিখতে হয়। সম্ভব সিভি বা রিজুমে একমাত্র ডকুমেন্ট যা সবচেয়ে বেশী কপি করা হয় এবং সত্যিকার অর্থে বললে সিভির জন্য সাহায্য চাইতে কারোরই কোন সংকোচবোধ হয় না কারন এটি একটি সার্বজনীন স্বীকৃত যে সিভি লিখতে হলে অন্যজনেরটি সাবার আগে কপি করে তারপর নিজের তথ্য সংযোজন করতে হয়। এ নিয়ে অনেক মজার মজার ঘটনা যেমন জেন্ডার পরিবর্তন করতে ভুলে যাওয়া বা নিজের বাবার নামটিও পরিবর্তন না করে বন্ধুর বাবার নাম রেখে দেয়া। যাইহোক আজকের ব্লগে সম্পূর্ণ সিভি নিয়ে লিখবো না তবে সিভির ভেতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) নিয়ে লিখবো। আমার এই ব্লগটি পড়া শেষ করলে আপনি জানরত পারবেন: ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) গুরুত্ব এবং একটি স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective)।

সিভি যেমন সবচেয়ে বেশী কপি করা হয় তেমনি সম্পূর্ণ সিভির থেকে অবজেক্টিভ (Career Objective) অংশটি তারচেয়েও বেশী পরিমানে কপি করা হয়। সেজন্য আমরা দেখতে পাই সবারই ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) প্রায় একই রকম। একজন নিয়োগকর্তা যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন তখন তাদের কাছে হাজার হাজার সিভি জমা পরে। স্বভাবতই সম্পূর্ণ সিভি একজন নিয়োগকর্তা বা নিয়োগ বিভাগ কখনই পড়তে পারেন না। তখন তারা কয়েকটি স্থান দেখে সিভিটিকে প্রাথমিকভাবে স্ক্রিনিং করেন। সহজভাবে বললে হাজারখানেক সিভি থেকে কিছু সংখ্যক সিভিকে তারা প্রাথমিক স্ক্রিনিং বক্সে রেখে বাকিগুলো বাদ দিয়ে দেন। যে কয়েকটি স্থান দেখে প্রাথমিকভাবে একটি সিভি সিলেক্ট করা হয় তারমধ্যে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) অন্যতম। ৬০ থেকে ৭০ শব্দের ৫/৬ লাইনে গঠিত অনুচ্ছেদ দেখেই নিয়োগকর্তা স্বীদ্ধান্ত নেন কাকে ইন্টার্ভিউর জন্য ডাকবেন আর কাকে ডাকবেন না। ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) হলো চাকরি সন্ধানের যাত্রাপথের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ কারণ এই অংশটুকুই নিয়োগকর্তাকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করে। এক কথায় বললে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভের মাধ্যমেই নিয়োগকর্তা অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার দক্ষতা, জ্ঞান, কর্মক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারেন। কিন্ত এক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশকে আমরা প্রায় সকলেই অবহেলা সহকারে লেখার চেষ্টা করি। ক্যারিয়ার বিশেজ্ঞরা আবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে সম্পূর্ণ সিভি লেখার পর ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ লিখতে হয়।

ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ লিখবার জন্য করেকটি ধাপ আমরা মেনে চলতে পারি। ধরে নেই আমি আমার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ লিখছি এবং আমি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেড়িয়েছি এবং সেই অর্থে আমার কোন ফরমাল কাজের অভিজ্ঞতা নেই। সেক্ষেত্রে আমি যে ধাপগুলো অনুসরন করবো:

ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ যার কোন অভিজ্ঞতা নেই

  • আমার সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য (Strong Trait):

পৃথিবীর যেকোন নিয়োগকর্তা একজন স্বপ্রনোদিত বা স্ব-অনুপ্রানিত মানুষকেই তার কর্মক্ষেত্রের জন্য নিয়োগ করতে চান কারন একজন স্ব-অনুপ্রানিত মানুষ যেমন নিজেকে অনুপ্রানিত করে তেমনি তার দলের অন্য সবাইকে অনুপ্রানিত করবার চেষ্টা করে। অতেএব এখানে আমি উল্লেখ করতে পারি ”Highly Self Motivated

  • আপনার পেশা বা কাজের শিরোনাম (Your Profession or Job Title):

যেহেতু আমার পূর্বের কোন ফরমাল কাজ করবার অভিজ্ঞতা নেই সেহেতু আমি নিজেকে মার্কেটিং গ্রাজুয়েট “Marketing Graduate” হিসেবে পরিচয় দেবো আমার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভে।

  • ২+২ দক্ষতা

আমার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভে অবশ্যই ২টি হার্ডস্কিলস এবং ২ সফ্টস্কিলস উল্লেখ করতে হবে। যেমন: “Skilled in Digital Marketing & Adobe Designing Tools (২টি হার্ডস্কিলস) with proven communication and Teamwork skills (২টি সফ্টস্কিলস).

  • যে প্রতিষ্ঠানে এবং পজিশনের জন্য আপনি আবেদন করেছেন:

মনে রাখতে হবে আপনার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ হলো ডাইনামিক মানে হলো এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং পজিশনের জন্য ভিন্ন ভিন্নভাবে লিখতে হতে পারে। যেমন: “Seeking a position as a marketing intern at Daffodil Group”

  • প্রতিষ্ঠানকে আপনি কি অফার করছেন?

মনে রাখতে হবে প্রতিষ্ঠান আপনাকে তখনই ইন্টার্ভিউর জন্য ডাক দেবে যখন সে আপনার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভে প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনার অফার খুঁজে পাবে। যেমন: “to utilize knowledge and skills to help the company through digital marketing and branding”

  • প্রতিষ্ঠানে কাজ করা কালীন আপনার টার্গেট কি হবে? যেমন: for generating revenue.”

উপরের ছয়টি ধাপকে যদি একত্রে লিখবার চেষ্টা করি তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য গ্রাজুয়েটের স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ হবে নিম্নরুপ:

Sample Career Objective for No experienced person: Highly self-motivated marketing graduate skilled in Digital Marketing & Adobe Designing Tools with proven communication and Teamwork skills. I am Seeking to join Daffodil Group as a marketing intern to utilize knowledge and skills to help the company through digital marketing and branding for generating revenue.


এখন উপরের স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ যার সিভিতে থাকবে তাকে অবশ্যই হার্ডস্কিলস এবং সফ্টস্কিলসের প্রমান সহ ইন্টার্ভিউ বোর্ডে যেতে হবে এবং সিভির ভেতরের অংশেও উল্লেখ করতে হবে।

ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ যার অভিজ্ঞতা আছে

যার অভিজ্ঞতা আছে তার জন্য উপরের ছয়টি ধাপ ঠিকই থাকবে তবে আরো ৩টি ধাপ যুক্ত হবে। যেমন:

  • অভিজ্ঞতা (Experience) 2+ Years of Experience
  • আমার আগের কাজটিতে যা পারফর্ম করেছি: Design, Develop and coordinate marketing plans, advertising, direct marketing, and campaigns 
  • আগের প্রতিষ্ঠানের নাম এবং যে পজিশনে কাজ করেছি: Skill.jobs as Marketing Executive

উপরের আরো ৩টি ধাপকে যদি একত্রে লিখবার চেষ্টা করি তাহলে একজন অভিজ্ঞ প্রফেশনালের স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ হবে নিম্নরুপ:

Sample Career Objective for an experienced person: Highly self-motivated marketing Professional skilled in Digital Marketing & Adobe Designing Tools with proven communication and Teamwork skills. 2+ years of experience in Design, Develop and coordinate marketing plans, advertising, direct marketing, and campaigns for the Skill.jobs as Marketing Executive. I am Seeking to join Daffodil Group as Sr. Executive to utilize my knowledge, skills, and experience to help the company through digital marketing and branding for generating revenue.

এখন উপরের স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ যার সিভিতে থাকবে তাকে অবশ্যই হার্ডস্কিলস এবং সফ্টস্কিলসের সাথে দুই বছরে অভিজ্ঞতার প্রমান সহ ইন্টার্ভিউ বোর্ডে যেতে হবে এবং সিভির ভেতরের অংশেও উল্লেখ করতে হবে।

https://www.youtube.com/watch?v=nPoFeHa65Hk&t=4s
১২ মিনিটের এই ভিডিওটি আপনাকে সাহায্য করবে আরো ভালোভাবে বুঝতে

যাই হোক সবার প্রতি আমার একটাই অনুরোধ থাকবে সিভি যেমন তেমন করে বানিয়ে পাঠাবার বিষয় নয়। নিজের সিভিকে উইনিং সিভি বানাবার জন্য অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন, তাদের অনুরোধ করুন আপনার সিভিকে মূল্যায়ন করবার জন্য, দরকার বিনিয়োগ করে হলেও একজন দক্ষ পরামর্শক নিয়োগ করুন যাতে আপনার সিভিটি কোন নিয়োগকর্তা অবহেলায় ফেলে না দেয়।


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই)

IMG_0796

লক্ষ্য অর্জনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা | Accountability

 

আমরা লক্ষ্য নির্ধারন করি, লক্ষ্যকে পক্রিয়ার ভেতর ফেলবার চেষ্টা করি, লক্ষ্যকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করি, লক্ষ্যকে জনসম্মুখে নিয়ে আসি কিন্তু জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে যদি বিন্দুমাত্র অবহেলা থাকে তাহলে লক্ষ্য অর্জনে বাধা আসতে পারে। লক্ষ্য অর্জনে বাধা হিসেবে সবচেয়ে যে শব্দটি বিষের মতো কাজ করে তা হলো গড়িমসি বা ইংরেজীতে যাকে বলে procrastination. ছোট বেলায় পরীক্ষার রুটিন আসার পর থেকে আমার মা সবসময় আমার পিছে লেগে থাকতেন যেন আমি সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রে কোন গড়িমসি না করি। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য আমি যে লক্ষ্য নির্ধারন করেছি সেটাও আমার গড়িমসির কারনে ব্যাহত হতে পারে। সেজন্য ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা মানে হলো যিনি আপনাকে পদে পদে উপদেশ দেবেন, কোন কৌশল অবলম্বন করলে ভালো হয় সেটা বলে দেবেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনটি আগে করা উচিৎ সেটা বলে দেবেন এবং কিভাবে অতি সহজে করা যার তাও দেখিয়ে দেবেন।

আমরা লক্ষ্য নির্ধারন করি, লক্ষ্যকে পক্রিয়ার ভেতর ফেলবার চেষ্টা করি, লক্ষ্যকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করি, লক্ষ্যকে জনসম্মুখে নিয়ে আসি কিন্তু জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে যদি বিন্দুমাত্র অবহেলা থাকে তাহলে লক্ষ্য অর্জনে বাধা আসতে পারে। লক্ষ্য অর্জনে বাধা হিসেবে সবচেয়ে যে শব্দটি বিষের মতো কাজ করে তা হলো গড়িমসি বা ইংরেজীতে যাকে বলে procrastination. ছোট বেলায় পরীক্ষার রুটিন আসার পর থেকে আমার মা সবসময় আমার পিছে লেগে থাকতেন যেন আমি সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রে কোন গড়িমসি না করি। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য আমি যে লক্ষ্য নির্ধারন করেছি সেটাও আমার গড়িমসির কারনে ব্যাহত হতে পারে। সেজন্য ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা মানে হলো যিনি আপনাকে পদে পদে উপদেশ দেবেন, কোন কৌশল অবলম্বন করলে ভালো হয় সেটা বলে দেবেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনটি আগে করা উচিৎ সেটা বলে দেবেন এবং কিভাবে অতি সহজে করা যার তাও দেখিয়ে দেবেন।

The Importance of Mentorship - ACAMS Today

ব্যক্তিগত জবাবদিহিতায় কাদের পাশে রাখতে পারেনঃ


১. জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রথমেই আমরা মা বা বাবার শরণাপন্ন হতে পারি। কারন মা, বাবা তাদের লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য অনেক কৌশল অবলম্বন করেছেন যা সবসময়ই চিরসবুজ। মা, বাবার পরামর্শ সবসময়ই কাজে আসে কারন তারা ঐ পথে ইতিমধ্যেই হেটেছেন।

২. দ্বিতীয়ত মেন্টরশীপ একটা বিরাট ভূমিকা থাকতে পারে। মেন্টর মানে হলো কোন একটি সেক্টরের বিশেষজ্ঞ যিনি অন্তত ৫ বছর আপনার পছন্দের সেক্টরে টানা কাজ করেছেন এবং এখন অন্য সেক্টর হলেও যিনি এখনো সক্রিয় আছেন। যিনি নিজেকে টেকসই করবার জন্য অনেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছেন, অনেক চ্যালেঞ্জ মুখোমূখী হয়েছেন। তবে মেন্টর বাছাই করবার ক্ষেত্রে অবশ্যই দেখতে হবেঃ

  • যাকে মেন্টর হিসেবে বেছে নেবেন তার মূল্যবোধ সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকতে হবে। আপনার এবং তার মূল্যবোধ যদি এক না হয় তাহলে আপনার লক্ষ্য অর্জনে তিনি তেমন কোন কাজে নাও আসতে পারে।
  • যোগাযোগের ক্ষমতা অবশ্যই ভালো হতে হবে। কারন দেখা গেছে নিজে অত্যন্ত সফল কিন্তু আরেকজনকে পথ দেখাবার জন্য অথবা নিজের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা বুঝিয়ে বলবার দক্ষতা তেমন একটা নেই।
  • মানসিকভাবে পরামর্শ দেবার জন্য প্রস্তুত কিনা অথবা সম্মতি আছে কিনা সেটাও দেখে নিতে হবে। কারন হয়তো তিনি বাহ্যিক সম্মতি দিয়েছেন কিন্তু মানসিক ভাবে সম্মতি দেননি। আর সেজন্য লক্ষ্য নির্ধারনের যে সময়সীমা আপনি নিজেই নিজেকে দিয়েছেন সেটা বিলম্ব হবে।বিশ্বাস করুন বা না করুন, একজন পরামর্শদাতা বেছে নেওয়ার সময় ব্যক্তিত্ব অবশ্যই বিবেচনা করার মতো বিষয়। আপনি যদি একজন অন্তর্মুখী হন এবং আপনার সম্ভাব্য পরামর্শদাতা যদি বিপরীত হন, আপনি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।

৩. অনেক সময় পরামর্শক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হন। সেক্ষেত্রে কোচ বা প্রশিক্ষক আপনার লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। কারন কোচিং বা প্রশিক্ষন দেবার জন্য তারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে থাকেন। তবে কোচিং বা প্রশিক্ষন নেবার জন্য আপনাকে কিছুটা বিনিয়োগ করতেই হবে এবং এ সত্যটি আপনাকে মানতেই হবে। একজন খেলোয়ার তার সেরা খেলাটি দর্শকদের উপহার দেবার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কোচের শরনাপন্ন হন। ঠিক একইভাবে প্রফেশনাল হবার জন্য একজন কোচের অধিনে কিছুদিন থাকা মানেই হলো ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত থাকা।