Blog Banner for Website Content (1)

কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানোর ১০টি কৌশল

চাকরি পাওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন হলো চাকরিটিকে দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রাখা। অনেকেই মনে করেন চাকরি পেয়ে গেলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, কিন্তু প্রকৃত বাস্তবতা হলো, চাকরি ধরে রাখতে প্রয়োজন আরও দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, এবং সঠিক কৌশল। যে যত দ্রুত এই বিষয়টি উপলব্ধি করবে, সে তত দ্রুত কর্মজীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবে।

নিচে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরা হলো, যা চাকরি টিকিয়ে রাখতে সহায়ক হবে:

দক্ষতা উন্নয়ন (Skill Development): এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৭% নিয়োগকর্তা মনে করেন কর্মীরা যদি নিয়মিতভাবে নতুন দক্ষতা শেখে, তাহলে তাদের চাকরি দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখা সহজ হয়। নতুন প্রযুক্তি এবং জ্ঞান আয়ত্ত করার জন্য নিজেকে প্রতিনিয়ত আপডেট রাখতে হবে। উদাহরণ: এক কর্মী নিয়মিত নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা শিখছে এবং এটি তার কোম্পানিতে নতুন প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই দক্ষতা তাকে প্রমোশন পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

যোগাযোগ দক্ষতা (Communication Skills): কর্মক্ষেত্রে ৯০% সমস্যা দুর্বল যোগাযোগের কারণে হয়। স্পষ্ট, সঠিক এবং যথাযথভাবে যোগাযোগ করতে পারা কর্মস্থলে দীর্ঘস্থায়ী সফলতার চাবিকাঠি। উদাহরণ: এক কর্মী মিটিংয়ে তার আইডিয়া পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করে এবং সহকর্মীদের সঠিকভাবে নির্দেশনা দেয়, যার ফলে প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা (Time Management): ৮৯% কর্মচারী সময় ব্যবস্থাপনার অভাবে চাকরির ঝুঁকির মুখে পড়ে। সময়মতো কাজ সম্পন্ন করা এবং সময়কে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো পেশাগত সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। উদাহরণ: এক কর্মী তার কাজের সময়সূচী অনুযায়ী প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে টাস্কগুলো সম্পন্ন করে, যা তাকে সময়মতো ডেডলাইন মেনে কাজ শেষ করতে সাহায্য করে।

সহনশীলতা (Adaptability): দ্রুত পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে পারার ক্ষমতা কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সফলতার জন্য অপরিহার্য। ৭৫% প্রতিষ্ঠান এমন কর্মীদের মূল্য দেয় যারা দ্রুত পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে পারে। উদাহরণ: কোম্পানি হঠাৎ নতুন সফটওয়্যারে রূপান্তর করল। কর্মীটি দ্রুত নতুন সফটওয়্যারটি শিখে নিয়েছে এবং নিজের কাজের দক্ষতা ধরে রেখেছে, যেখানে অন্যরা পিছিয়ে পড়েছিল।

দলগত কাজ (Teamwork): একক কাজের চেয়ে দলগত কাজ ৩০% বেশি কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। সঠিকভাবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন দ্রুত হয়। উদাহরণ: এক কর্মী তার সহকর্মীদের সাথে মিলেমিশে কাজ করছে এবং তাদের সহায়তায় প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তার দলগত কাজের দক্ষতাকে নিয়োগকর্তা প্রশংসা করেছে।

নেতৃত্বের গুণাবলী (Leadership Qualities): নেতৃত্ব প্রদর্শনের ক্ষমতা একজন কর্মীর পদোন্নতি ৬৫% পর্যন্ত দ্রুত করে। সঠিক নেতৃত্বের গুণাবলী একজনকে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য করে তোলে। উদাহরণ: একটি জটিল প্রকল্পে এক কর্মী নিজে থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করে পুরো দলের মধ্যে দিকনির্দেশনা দিয়েছে এবং সফলভাবে প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে। এই নেতৃত্বের জন্য তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সমস্যা সমাধানের দক্ষতা (Problem-Solving Skills): ৭০% নিয়োগকর্তা এমন কর্মী চান যারা সমস্যা সমাধানে দক্ষ। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কর্মস্থলে অমূল্য। উদাহরণ: এক কর্মী প্রকল্পের মাঝপথে প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধান করার নতুন উপায় বের করেছে, যা কোম্পানির জন্য সময় এবং অর্থ উভয়ই সাশ্রয় করেছে।

 আত্মবিশ্বাস (Confidence): আত্মবিশ্বাসী কর্মীরা প্রায় ৬০% ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী হয়। সঠিক আত্মবিশ্বাস কর্মক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক। উদাহরণ: মিটিংয়ে এক কর্মী নতুন আইডিয়া উপস্থাপন করে যা কোম্পানির জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি করে। তার আত্মবিশ্বাস তাকে অন্যদের সামনে বিশিষ্ট করে তুলেছে।

 ফিডব্যাক গ্রহণ (Receiving Feedback): নিয়মিত ফিডব্যাক গ্রহণ করে তা থেকে শেখার মনোভাব কর্মজীবনে উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কর্মদক্ষতা ৫০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। উদাহরণ: এক কর্মী নিয়মিত তার সুপারভাইজারের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে নিজের ভুলগুলো সংশোধন করেছে এবং পরবর্তীতে তার কাজের মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে।

নেটওয়ার্কিং (Networking): নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে ৮৫% চাকরির সুযোগ তৈরি হয়। ভালো নেটওয়ার্ক থাকার ফলে ক্যারিয়ারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়। উদাহরণ: এক কর্মী ইন্ডাস্ট্রি কনফারেন্সে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে, যেখানে তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে পরিচিত হন, যার মাধ্যমে তিনি একটি বড় ক্লায়েন্টের সাথে চুক্তি করতে সক্ষম হন।

উপসংহার: চাকরি টিকিয়ে রাখা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ, কিন্তু সঠিক দক্ষতা এবং পরিকল্পনা থাকলে এটি সহজ হয়ে যায়। উপরের ১০টি পয়েন্ট অনুসরণ করলে কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

Blue Dark Professional Geometric Business Project Presentation

প্রবাসীদের সম্মান একটি জাতীয় দায়িত্ব


আমি যখনই মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, বা মালয়েশিয়া ভ্রমণ করি, তখন প্রায়ই সেইসব নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করার চেষ্টা করি, যারা আমাদের বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেন। তাদের কাছ থেকে যে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া আমি পেয়েছি তা হলো, আমাদের বাংলাদেশি মানুষদের অত্যন্ত মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা খুব দ্রুত নতুন ভাষা আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়, তা আরবি হোক, মালয় ভাষা বা ইংরেজি। নিয়োগকর্তারা আরও জানান যে, যদিও বেশিরভাগ বাংলাদেশি কর্মীরা কম বা কোনো দক্ষতা ছাড়াই বিদেশে যান, তবে তারা খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ভূমিকা অপরিসীম। আমরা প্রায়ই বলি, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির অক্সিজেন। তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠাচ্ছে। কিন্তু বিনিময়ে আমরা তাদের জন্য তেমন কিছুই করি না। আমি মনে করি, আমরা আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতি প্রদর্শন করি না। যখনই আমি বিদেশে ভ্রমণের জন্য বিমানবন্দরে যাই, তখন প্রায়ই দেখি আমাদের প্রবাসী ভাইদের অসহায়ত্ব। তাদের প্রতি বিমানবন্দরে সামান্য মমতাও লক্ষ্য করা যায় না।

একটি ছেলে যখন প্রথমবারের জন্য বিদেশে পরিশ্রমের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে, তখন থেকেই তার যন্ত্রণা শুরু হয়। বিমানবন্দরে বিশাল লাইন, আনসারদের দুর্ব্যবহার, বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময় বিমানের টিকিট কাউন্টারের অসদাচরণ, ফর্ম ফিলাপের জটিলতা, ইমিগ্রেশন পুলিশের হয়রানি এবং বিমানে উঠতেই বিমানবালাদের অবজ্ঞা—এই সবই তাকে প্রথম ধাপেই হতাশ করে। কিছু যাত্রী তো এসব দেখে মন্তব্য করেন, “বাংলাদেশিরা আদব কায়দা শিখলো না!” আর দালালের মিথ্যা প্রলোভনে তারা বিদেশের মাটিতে পা রাখার পরই শুরু হয় তাদের দুর্ভোগ।

২০২৩ সালে সৌদির রিয়াদ শহরে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছানোর পর হঠাৎ করেই দেখি, কোনো এক জটিলতায় আমার হোটেল বুকিং ক্যানসেল হয়ে গেছে, তখন সময় ছিল ভোর ৩টা। এক পাকিস্তানি ট্যাক্সি চালককে বললাম আমাকে কোনো হোটেলে নিয়ে যেতে। হোটেলে পৌঁছানোর পর দেখি সবাই ঘুমিয়ে আছে। আমি জোরে ডাকলাম, তখন একজন বাংলাদেশি ভাই বেরিয়ে এলেন। আমি তাকে দেখেই বুঝতে পারলাম তিনি বাংলাদেশি, কিন্তু তিনি বুঝতে পারলেন না যে আমি বাংলাদেশি। তিনি হিন্দিতে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কী সমস্যা?” আমি তাকে বললাম, “ভাই, আপনি কি বাংলাদেশি?” তিনি বললেন, “জি, কুমিল্লার লোক। ১০ বছর ধরে রিয়াদে আছি।” এরপর তিনি এক ঘণ্টার মধ্যে আমাকে অনেক সহায়তা করলেন এবং আমি যতদিন রিয়াদে ছিলাম, প্রতিদিনই আমার খোঁজ নিলেন এবং সাহায্য করলেন। তিনি বললেন, বাংলাদেশিরা অনেকভাবে প্রতারিত হয়। এমন অনেক বাংলাদেশি আছেন যারা একই ছাদের নিচে বছরের পর বছর আছেন, কিন্তু বাইরে বের হওয়ার উপায় নেই। এই অভিজ্ঞতা থেকে আমি ভাবলাম, পৃথিবীর যেসব দেশ রেমিট্যান্সের উপর নির্ভরশীল, তারা তাদের প্রবাসীদের জন্য কী ধরনের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে? কয়েকটি দেশের উদ্দ্যোগের চিত্রঃ

১. ফিলিপাইন:

ফিলিপাইন সরকার তাদের প্রবাসী নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন সুরক্ষা এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। প্রবাসী ফিলিপিনো কর্মীদের (Overseas Filipino Workers) জন্য তারা “ওভারসিজ ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” (OWWA) গঠন করেছে। এই সংস্থা প্রবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, বীমা, শিক্ষা, এবং পুনর্বাসন সেবা প্রদান করে। এছাড়াও, প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান সেবা প্রদান করা হয়।

 ২. ভারত:

ভারত সরকার প্রবাসীদের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। “প্রবासी ভারতীয় দিবস” (Pravasi Bharatiya Divas) উদযাপনের মাধ্যমে প্রবাসীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া, ভারতীয় প্রবাসীদের বিনিয়োগ ও ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করার জন্য “ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট ফান্ড” গঠন করা হয়েছে। প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে কাজ করার সুযোগ প্রদান করা হয়।

৩. মেক্সিকো:

মেক্সিকো সরকার তাদের প্রবাসী নাগরিকদের কল্যাণের জন্য “ইন্সটিটিউট অব মেক্সিকানস অ্যাব্রড” (IME) গঠন করেছে। এই সংস্থা প্রবাসী মেক্সিকানদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং আইনগত সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও, প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

৪. সিঙ্গাপুর:

সিঙ্গাপুর সরকার তাদের প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা এবং কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সিঙ্গাপুরের প্রবাসীদের জন্য বিশেষ বীমা এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা রয়েছে। এছাড়া, “ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট বোর্ড” (EDB) প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ এবং নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে।

৫. চীন:

চীন সরকার তাদের প্রবাসী নাগরিকদের উন্নয়নে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। “ওভারসিজ চাইনিজ অ্যাফেয়ার্স অফিস” (OCAO) প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। এছাড়াও, প্রবাসীদের দেশে ফিরে আসার জন্য বিনিয়োগের সুযোগ এবং ট্যাক্স সুবিধা প্রদান করা হয়।

 

প্রবাসী ভাইদের উন্নয়নে আমার কিছু প্রস্তাবনা:

  •  প্রবাসী কল্যাণ ফান্ডের সম্প্রসারণ ও সেবা বৃদ্ধি: প্রবাসীদের কল্যাণে এবং জরুরি প্রয়োজনে সহায়তা করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ফান্ডের আকার ও সেবার পরিধি বাড়ানো।
  • নতুন উদ্যোগ ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি: প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা প্রদান।
  • বীমা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা: প্রবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা ও জীবনবীমা সহ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যাতে বিদেশে অবস্থানকালে তারা নিরাপদ বোধ করে।
  • প্রবাসী উদ্যোক্তা নেটওয়ার্ক গঠন: প্রবাসী উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে এবং যৌথভাবে কাজ করার জন্য একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
  • গ্লোবাল বাংলাদেশি বিজনেস নেটওয়ার্ক তৈরি করা: বিশ্বজুড়ে থাকা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করা, যা ব্যবসায়িক সুযোগ ও বিনিয়োগকে প্রসারিত করবে।
  • প্রবাসীদের দক্ষতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগানো: প্রবাসীদের অর্জিত দক্ষতা ও জ্ঞানকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য বিশেষ প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা।
  • বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ প্রক্রিয়া সহজীকরণ: প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ, দ্রুত এবং সাশ্রয়ী করতে ব্যাংকিং ও মোবাইল ফাইন্যান্স সেবার উন্নতি করা।
  • রেমিট্যান্সের জন্য বিশেষ ইনসেন্টিভ প্রদান: প্রবাসীদের আরও রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে বিশেষ বোনাস বা কর ছাড়ের ব্যবস্থা করা।
  • প্রবাসীদের দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত করা: প্রবাসীদের দেশে ফিরে আসার জন্য এবং দেশের উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত করা।
  • ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গঠন: দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রবাসীদের বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের জন্য একটি বিশেষ ফান্ড তৈরি করা।
  • চিপ লেবার শব্দটির ব্যবহার বন্ধ করা: প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তাদেরকে “চিপ লেবার” হিসেবে অভিহিত করা বন্ধ করা এবং তাদের মর্যাদা বাড়ানো।
  • হাই ইনকাম নিশ্চিত করার জন্য কারিগরি দক্ষতা নিশ্চিত করা: প্রবাসী শ্রমিকদের উচ্চ আয়ের কাজে নিয়োগের জন্য কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।
  • আরপিএল এবং আরসিসি এর সহজীকরণ ও প্রচার করা: প্রবাসীদের দক্ষতা স্বীকৃতি ও উন্নয়নে আরপিএল (Recognition of Prior Learning) এবং আরসিসি (Recognition of Current Competency) প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং প্রচার করা।
  • এয়ারপোর্টে আলাদা সেবা নিশ্চিত করা: প্রবাসীদের বিমানবন্দরে সুষ্ঠু ও সম্মানজনক সেবা নিশ্চিত করার জন্য আলাদা কাউন্টার ও দ্রুত সেবা ব্যবস্থা চালু করা।
  • প্রবাসী কার্ড প্রদান: প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষ কার্ড প্রদান করা, যার মাধ্যমে তারা ভিআইপি/সিআইপি সুবিধা ও মর্যাদা পেতে পারেন।

 

উপসংহার:

প্রবাসীরা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে যে বিশাল অবদান রাখছেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমাদের উচিত তাদের উন্নয়নে আরও উদ্যোগী হওয়া। তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি এবং সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা তাদের জীবনকে আরও সহজ এবং মর্যাদাপূর্ণ করতে পারি।

Red Marketing YouTube Thumbnail

দেশের স্বার্থ সবার আগেঃ বাংলাদেশ-সমর্থক নীতি

আমরা সবাই জাপানের উন্নয়নের গল্প মাঠে, ঘাটে, ক্লাসে আলাপ করতে পছন্দ করি। তাহলে আজকের লেখাটি ঐদেশের একটি গল্প দিয়ে শুরু করি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, জাপান পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। তবে জাতির প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার ও নিজস্ব স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখার মানসিকতা থেকেই তারা দ্রুত পুনর্গঠনের পথে হাঁটে। দেশীয় প্রযুক্তি, শিল্প, এবং সংস্কৃতিকে বিকশিত করে জাপান নিজেদের বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী করে তোলে। জাপানের এই গল্প আমাদের শেখায় যে, যখন একটি জাতি নিজস্ব স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় এবং একতাবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যায়, তখন তারা যেকোনো বিপর্যয় থেকে পুনর্জন্ম নিতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের জন্যও জাপানের এই প্রো-জাপানীজ নীতিই পথ নির্দেশক হতে পারে, যা আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক হবে।

 আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে একটি জাতির অগ্রগতির মূল শক্তি হলো তার নিজস্ব স্বার্থের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধতা। আমি পৃথিবীর যত উন্নত দেশে গিয়েছি সেখানে দেখেছি কিভাবে তারা সবাই দেশের স্বার্থ সবার আগে” রেখে উন্নয়নের যাত্রা নির্ধারণ করে। “দেশের স্বার্থ সবার আগে” এই মূলমন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে আমরাও একটি প্রো-বাংলাদেশ (Pro-Bangladesh) নীতি গ্রহণ করতে পারি, যা আমাদেরকে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। রাংলাদেশের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমেই আমরা অর্থনৈতিক, সামাজিক, এবং রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারি।

আমি অনেক বছর ধরেই ”প্রো-বাংলাদেশ” নিয়ে ব্যক্তিগত গবেষণা করছি। বিশদভাবে বর্ননার আগে চলুন একটু বোঝার চেষ্টা করি প্রো-বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য কি? ”প্রো-বাংলাদেশ” হলো জাতীয় স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখা এবং বিদেশী শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা। আমরা জানি যে, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো নিজেদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে যেমন আমেরিকা, চীন, জাপান, ভিয়েতনাম এমনকি ভারত। আমাদেরকেও ঠিক একইভাবে নিজেদের স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

প্রো-বাংলাদেশ নীতি বা “দেশের স্বার্থ সবার আগে” নিয়ে আলোচনা করলে উদাহরণ হিসেবে ভিয়েতনামের নাম চলে আসবেই। ভিয়েতনাম তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অভ্যন্তরীণ নীতিতে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ভিয়েতনাম স্বাধীন ও বহুমুখী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে, যেখানে অন্যান্য দেশের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করে এবং সবসময় জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা স্থানীয় শিল্প এবং স্বনির্ভরতাকে গুরুত্ব দেয়, যদিও বিদেশি বিনিয়োগকেও স্বাগত জানায়। এছাড়াও, জাতীয় ঐক্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় তারা জাতীয়তাবাদী নীতি প্রয়োগ করে। সার্বিকভাবে, প্রো-ভিয়েতনাম নীতির মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব এবং সংস্কৃতির সুরক্ষায় কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আমি মনে করি বাংলাদেশের ” প্রো-বাংলাদেশ” নীতিকে ঢেলে সাজাবার এখন সময় এসেছে যেখানে আমরা ৬টি বিষয়কে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দিতে পারি। যেমনঃ

১. অর্থনৈতিক দিক থেকে আত্মনির্ভরশীল হওয়া প্রো-বাংলাদেশ নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হবে। আমাদের দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, একটি লোভনীয় ভৌগলিক অবস্থান আছে, কর্মক্ষম মানবসম্পদ আছে। আমরা আমাদের উৎপাদনশীলতার ওপর যদি একটু জোর দেই এবং “দেশের স্বার্থ সবার আগে” এই স্লোগানটিকে যদি মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করি তাহলে আমার বিশ্বাস একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি আমরা গড়ে তুলতে পারবো। কয়েকটি জায়গায় আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে যেমনঃ

  • তরুণের মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশীয় শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে আমাদের। এতে করে আমরা আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে পারব। কোন একটি সভায় একজন গবেষক বলেছিলেন বিদেশ থেকে তৈরি পন্য শুধু আমদানী করা হয় না বরং সাথে বেকারত্ত্বকেও আমদানী করা হয়।
  • দুর্ভাগ্যবশত আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি দেশী পন্য কিনে হন ধন্য্। এটি সম্ভবত বিজ্ঞাপনের প্রচার বার্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। আমাদের দেশীয় পণ্য ও সেবাকে প্রাধান্য দিয়ে “মেইড ইন বাংলাদেশ” ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে হবে, যাতে দেশের মানুষ দেশীয় পণ্য কেনার প্রতি উৎসাহিত হয়।
  • আমাদের উৎপাদিত পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়।

২. আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং সামাজিক মূল্যবোধকে সম্মান জানিয়ে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মনোভাব প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে, যা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের শক্তি যোগাবে। স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছর পর, এখন সময় এসেছে স্বাধীনতায় প্রত্যেকের অবদানের সঠিক উপস্থাপন এবং শিক্ষাব্যবস্থায় দেশপ্রেম ও নৈতিকতা অন্তর্ভুক্ত করার। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে আমরা বিশ্বে আমাদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারি।

৩. আমাদের দেশের রাজনীতিতে প্রো-বাংলাদেশের চর্চা করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে দেশে মেধাভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চার অভাব রয়েছে, এবং তরুণরা রাজনীতিকে শুধুমাত্র দলভিত্তিক কার্যক্রম, সভা, সেমিনার, মিছিল, হরতাল হিসেবে দেখে। এ কারণে তারা রাজনীতিকে ঝামেলা মনে করে এবং বলে, “আমি রাজনীতি পছন্দ করি না।” কিন্তু সত্যিকার অর্থে রাজনীতি মানে দেশের উন্নয়নের প্রতি সচেতন থাকা, যা বিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা উপলব্ধি করে থাকেন কিন্তু সেভাবে তরুনদের রাজনীতিতে অবদান রাখার ব্যপারে অনুপ্রেরণা দেন না। আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হতে হবে বিদেশি কোনো দেশ বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করা, বরং নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা। আমাদের সব সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থে হতে হবে, কোনো বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে নয়। দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সুশাসন ও জবাবদিহিতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জনগণের আস্থা বাড়ে এবং দেশপ্রেমের ভিত্তি মজবুত হয়।

৪. জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নীতিনির্ধারকদের উচিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া। প্রতিরক্ষা খাতে স্থানীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক স্তরে আমাদের স্বার্থ রক্ষার কৌশল গ্রহণ করা।

৫. আমাদের দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা সবই আছে কিন্তু দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ, কর্মক্ষমতা এবং ইচ্ছাশক্তি নির্ভর কোনো কর্মদক্ষতার মডেল নেই। তাই প্রতিবছর ২০ লক্ষ ছেলেমেয়ে চাকরিবাজারে প্রবেশ করছে কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। অনেকে মজার ছলে বলেন ”বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা বেকার তৈরি কারখানায় পরিনত হচ্ছে।” বাংলাদেশীরা মেধাবী শুধুমাত্র চাকরি বা উদ্যোক্তা উন্নয়নের ইকোসিস্টেমের সার্পোটের অভাবে তারা কাঙ্খিত সাফল্য পাচ্ছেন না। উদাহরণস্বরুপ সিঙ্গাপুরের কথা বলা যায়। সিঙ্গাপুর চাকরি ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের ইকোসিস্টেমের সাপোর্ট অত্যন্ত শক্তিশালী। সিঙ্গাপুরের সরকার উদ্যোক্তা এবং নতুন ব্যবসার উন্নয়নে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে, যা দেশটিকে এশিয়ার অন্যতম প্রধান স্টার্টআপ হাব হিসেবে গড়ে তুলেছে। সরকার “স্টার্টআপ এসজি” এবং “এসইএস ফিউচার” এর মতো প্রোগ্রাম চালু করেছে, যা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা, পরামর্শ এবং নেটওয়ার্কিং সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও, সিঙ্গাপুরের উন্নত অবকাঠামো, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থা উদ্যোক্তাদের সফলতার জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি করেছে। দেশটির বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলো নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করে। এই শক্তিশালী ইকোসিস্টেমের ফলে সিঙ্গাপুর শুধু এশিয়ার নয়, বরং বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়িক উন্নয়নের জন্য একটি মডেল হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম আমাদের ভবিষ্যতের মূল চালিকা শক্তি। তাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করা দেশের স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নীতিনির্ধারকদের উচিত শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে আধুনিকীকরণ, এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। এই পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সহায়ক হবে।

৬. দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা আবশ্যক। নীতিনির্ধারকদের উচিত এমন নীতি তৈরি করা যা দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে উন্নয়নের অংশীদার করে তোলে। গ্রামীণ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

৭. বাংলাদেশের অর্থনীতির অক্সিজেন বলা হয় প্রবাসী ভাইবোনদের। প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের অর্থনীতিতে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার অবদান আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। “দেশের স্বার্থ সবার আগে” প্রো-বাংলাদেশ নীতির আওতায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের সুবিধা বৃদ্ধি এবং দেশের উন্নয়নে তাদের কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় যেমনঃ প্রবাসী কল্যাণ ফান্ডের সম্প্রসারণ ও সেবা বৃদ্ধি, প্রবাসী উদ্যোক্তা নেটওয়ার্ক গঠন, প্রবাসী দক্ষতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগানো, বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ সহজীকরণ, প্রবাসীদের দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত করা, ইত্যাদি। এছাড়া প্রবাসীদের জন্য আরপিএল (Recognition of Prior Learning) এবং আরসিসি (Recognition of Current Competency)’র মতো আন্তর্জাতিক মডেলগুলোর দিয়ে প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা করা যাতে তারা স্বল্প আয় থেকে উচ্চ আয়ে স্থানান্তরিত হতে পারে।

উপসংহার

পরিশেষে বলবো, প্রো-বাংলাদেশ নীতি আমাদেরকে শুধু অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করবে না, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গর্বিত এবং ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত করবে। বিদেশি প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে আমরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে শিখব, যা একটি স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল জাতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের স্থান সুসংহত করতে হলে “দেশের স্বার্থ সবার আগে”—এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে আমাদের নীতিনির্ধারকদের উচিত দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সঠিক এবং দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এই নীতি আমাদেরকে একটি শক্তিশালী, স্বনির্ভর, এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি নীতি, এবং প্রতিটি পদক্ষেপে জাতীয় স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখা হলে আমরা আমাদের জাতির ভবিষ্যতকে আরও উজ্জ্বল করতে পারব। নীতিনির্ধারকদের এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা সময়ের দাবি, এবং এর সফল বাস্তবায়নই আমাদের জাতির উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।

 

লেখক:

কে এম হাসান রিপন

নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

ইমেইলঃ [email protected]

Blue Modern Stock Market Investment Advice Youtube Thumbnail (4)

জেনারেশন জেড: নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত কিন্তু ফোকাসের চ্যালেঞ্জ

অনেকে মনে করেন জেনারেশন জেড গ্রুপের বয়স কম তাই তারা লীডারশীপ রোল সহজে মানিয়ে নিতে পারবে না! এটা বুঝতে হলে আগে জানতে হবে কারা এই GEN Z? GEN Z বা Generation Z মূলত তারা যাদের জন্ম ৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিক এবং ২০১০-এর প্রথম দিকে। আসুন দেখে নেই তাদের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ

  • তারা ইন্টারনেট, স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে বড় হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে অত্যন্ত পারদর্শী এবং ক্রিয়েটিভ আইডিয়া খুব দ্রুত বের করতে পারে।
  • Gen Z হলো সবচেয়ে জাতিগত এবং সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় প্রজন্মের মধ্যে একটি। তারা অন্তর্ভুক্তি (Inclusive) এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেয়। খেয়াল করে দেখবেন যেকোন সংকটে সবার আগে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে এই GEN Z.
  • তারা শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয় এবং প্রায়শই ক্যারিয়ার সচেতনতা, স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতিকে গুরুত্ব দেয়।
  • Gen Z সামাজিক এবং পরিবেশগতভাবে সচেতন এবং সবসময় সক্রিয়ভাবে টেকসই (Sustainability) অর্জনের জন্য অনুশীলন করে।
  • এই প্রজন্মের অনেকেই উদ্যোক্তা বা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। সেজন্য Gen Z এর ভেতর ব্যবসায়ী হয়ে উঠার প্রবনতা বেশী লক্ষণীয়।
  • তারা প্রকৃত এবং স্বচ্ছ যোগাযোগ পছন্দ করে। ভুলভাল বুঝিয়ে GEN Z কে সন্তুষ্ট করা যাবে না। তাদের কাছে বিশ্বাস এবং বিশ্বাসযোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে বেড়ে ওঠার কারণে GEN Z অভিযোজনযোগ্য (Adaptive) এবং পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে পারে খুব সহজে।

যারা মনে করেন জেনারেশন জেড লীডারশীপ রোল সহজে মানিয়ে নিতে পারে না, আমি তাদের সাথে একমত নই। তবে GENZ’র একটা সমস্যা হলো ফোকাস ধরে রাখতে না পারা। GENZ’র সাথে যদি একজন GEN X (যাদের জন্ম ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ এর ভেতর) বা GEN Y (যাদের জন্ম ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এর ভেতর) দেওয়া হয় যারা তাদের মতো করে সচ্ছতার সাথে যোগাযোগ করবে, তাহলে GEN Z এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে ব্যবহার করে দেশ ও জাতিকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

 

About Author———————————————————————

K M Hasan Ripon is a prominent figure in the field of career development and entrepreneurship in Bangladesh. Hasan Ripon is an example of expertise, serving as the Executive Director of Bangladesh Skill Development Institute (BSDI), the Managing Director of Global Entrepreneurship Network Bangladesh, and the Vice President of Start and Improve Your Business Foundation of Bangladesh.

Hasan Ripon has worked as a consultant for over 300 national and international organizations, accumulating a wide range of experiences. He has inspired over 100,000 youth and graduating students at Bangladesh’s 150+ public and private Universities, colleges and polytechnics, as well as over 20 international universities. As a skills activist and inspiring speaker, he has a social media following of over 3 million people.

Black and Green Modern Youtube Thumbnail (4)

Follow my “INSPIRE” strategy for your next negotiation.

Negotiation is an important skill that can have major impacts on both your personal and professional life. Having capable to negotiate well opens up a lot of different opportunities, whether you are closing a business deal, negotiating a salary, or solving problems. In this article, I will talk about the INSPIRE strategy, an organized approach to negotiate where each letter stands for a key skill or technique that will help you get better at negotiating.

 

I – Identify Interests

When you negotiate, it’s not enough to just say what you want. You also have to know what the other person wants and needs.

Before you start negotiating, you should take the time to find out what each party actually wants. Listen carefully and ask open-ended questions to find out what their targets, intentions, and problems are. For Example when negotiating shelf space for a new product, as a salesperson, figure out what the retailer wants most—whether it’s higher profitability, strong brand support, or consumer demand.  If the merchant is interested in rapid sale rates, show how your product’s high demand and promotional assistance can result in speedy sales.

N – Navigate Options

Being able to choose other options gives you power and keeps you from negotiating out of fear.

Before you start talking, you should always come up with alternatives, also known as a “BATNA” (Best Alternative to a Negotiated Agreement.” This gives you the freedom to back out if the terms are not good. For Example if your initial request for shelf space does not receive the desired response, have alternate proposals ready. These could include upgraded promotional materials, higher discounts for bulk purchases, or longer payment terms. Having these options can help you discover a solution that works for both sides.

S – Set Clear Goals

Setting clear, measurable, and achievable targets will help you stay focused and guide your negotiations.

Make it very clear what you want to get out of the discussion. Set specific targets, like what salary you want, the scope of the job, or the deadline, and think about the very least that is acceptable. For Example Set clear goals before the meeting, such as getting a certain quantity of shelf space or meeting a sales volume target. Aim for prime positioning for your product on an end cap, or negotiate a minimum order quantity that ensures prominent display and frequent replenishment.

P – Persuade with Evidence

Providing well-researched data supports your position and makes the point more convincing.

Use data, testimonials, case studies, and other facts to support up your proposals. This increases credibility and convinces the opponent that your terms are acceptable and justifiable. For example, present facts about your product’s market performance, such as sales growth, consumer demand, and successful case studies from other stores. Try to demonstrate how similar products have increased foot traffic and sales in other locations to persuade the retailer of the possible advantages.

I – Innovate Solutions

Negotiations can be effective when flexibility and creativity are used to develop solutions that benefit both parties.

Be open to exploring many ideas that benefit both parties. Think beyond the box and propose different solutions to suit both parties. For example, if the retailer is concerned about shelf space limitations, suggest rotating promotions or seasonal displays that highlight your product without requiring long-term shelf space. You could also propose co-branded marketing efforts or in-store events to drive product visibility and sales.

R – Respect Relationships

Maintaining a positive relationship is critical to long-term success and future negotiations.

Approach the negotiation with empathy and respect. Instead of taking an aggressive attitude, work on creating trust and finding common ground. Make sure every party is understood and respected. For example, approach the negotiations with sensitivity and expertise. Understand the retailer’s limits and demonstrate a willingness to reach a mutually beneficial solution. Thank them for their relationship and assure them that you are devoted to assisting them with their business goals through collaborative efforts.

E – Evaluate outcomes.

After the negotiations, evaluate the outcomes and consider what went well and what may be improved.

Analyze the negotiation process and outcomes to learn from your experience. This allows you to discover strengths, shortcomings, and places for improvement in future discussions. For example, after closing the deal, consider what worked well and what could be improved. Did the store respond well to your data presentation? Were your proposed solutions effective in finding a compromise? Use these insights to improve your approach to future negotiations, resulting in continuing success and stronger connections.

 

Learning the art of negotiating is vital for accomplishing your goals and expanding your career. By using the INSPIRE strategy, you may approach negotiations with confidence and strategic understanding, with positive outcomes and stronger connections. Remember that great negotiation is about more than just winning; it is about creating solutions that benefit all parties involved.

Now it’s time to put these techniques into action and negotiate your way to success!

Yellow Bright Business Idea Tutorial Youtube Thumbnail (3)

Strategic Hacks for Professional Growth

In our journey through life and career, it’s easy to fall into the trap of following others’ advice without conducting our own personal analysis and detailed work. Many professionals and scholars have shared their insights with me over the years, and they all emphasized the importance of self-assessment to understand what I know and what I still need to learn. After 24 years of professional experience, I’ve come to realize and practice several key strategies that have helped me achieve my goals. Here are those insights along with realistic examples for each point:

Art of Requesting

  • Hack: A single question can open many doors. Phrases like “Is there any chance to collaborate with you?” or “Can I utilize my skills and experience for your organization?” are powerful tools.
  • Example: Early in my career, I attended a networking event where I met a potential mentor. Instead of asking vague questions, I specifically asked if there was an opportunity to collaborate on a project related to my skills in project management. This question not only opened the door to a new role but also established a long-term professional relationship.
  • Key Takeaway: Before asking for anything, analyze your own skills and understand what value you can offer in return. This preparation ensures that your request is genuine and valuable to the person you are reaching out to.

Be Specific in Your Communication

  • Hack: When sending messages or emails, clearly state your reasons and objectives. Many people fail to provide context, which can lead to confusion and missed opportunities.
  • Example: I once sent a message to a senior professional asking for career advice. I clearly mentioned that I was seeking guidance on transitioning to a leadership role and how I could better prepare myself for such responsibilities. The specificity of my request led to a detailed and helpful response.
  • Key Takeaway: Always mention the reason for your message. It helps the recipient understand the context and respond appropriately if they find it relevant.

Be Open and Honest

  • Hack: The more transparent you are, the more people are willing to invest in you. Authenticity builds trust and encourages others to support you.
  • Example: During a project at work, I openly shared my challenges and sought input from my colleagues. This openness created a collaborative environment where we all worked together to find solutions, ultimately leading to the project’s success.
  • Key Takeaway: Help others and be honest about your intentions and capabilities. This approach builds strong, trusting relationships.

Dedicate Time for Self-Education

  • Hack: Set aside a specific day each week to educate yourself and expand your knowledge.
  • Example: Every Friday, I dedicate time to reading industry-related articles and attending online courses. This habit has kept me updated with the latest trends and technologies in my field.
  • Key Takeaway: Choose a day to focus on learning new skills or gaining new knowledge. It’s a small investment with significant returns.

Avoid Chasing Illusions

  • Hack: Don’t get caught up in the pursuit of social media fame or fleeting trends. Focus on delivering real, meaningful messages to the world.
  • Example: Instead of aiming for viral content, I focused on creating posts that provided genuine value to my readers. Over time, this authenticity built a loyal following and led to several professional opportunities.
  • Key Takeaway: Stay authentic and concentrate on making a real impact. The right people will notice and reach out to you.

Set Income Goals Based on Expenses

  • Hack: Determine your necessary expenses and set your income goals accordingly. This ensures that your financial planning is realistic and achievable.
  • Example: When I planned to build a Masjid, I calculated that I needed BDT 500,000. This clear financial goal helped me focus on finding ways to generate the necessary income.
  • Key Takeaway: Understand your expenses and use them as a guide to set realistic income targets. This approach ensures you live within your means and can fund your goals.

Practice the Art of Giving

  • Hack: Generosity not only benefits others but also enriches your own life and career.
  • Example: I regularly volunteer my time to mentor young professionals. This act of giving has not only helped others but has also expanded my network and opened new opportunities for collaboration.
  • Key Takeaway: Give back to your community and help others. The positive impact will often come back to you in unexpected ways.

Ask Questions Actively

  • Hack: Asking questions at seminars, workshops, or conferences shows engagement and helps you learn more effectively.
  • Example: At a recent industry conference, I asked a speaker about emerging trends in our field. This question led to an insightful discussion and the opportunity to participate in a related research project.
  • Key Takeaway: Be attentive and ask thoughtful questions during Q&A sessions. It demonstrates your interest and can lead to valuable connections.

Never Stop Learning

  • Hack: Always remember that there’s more to learn. Continuous learning is crucial for personal and professional growth.
  • Example: I continuously enroll in new courses and attend webinars to stay updated with the latest developments in my industry. This commitment to learning has kept my skills relevant and competitive.
  • Key Takeaway: Adopt a mindset of lifelong learning. Seek out new knowledge and skills regularly.

Know Yourself First

  • Hack: Understanding your strengths, weaknesses, and interests is the foundation of personal growth and success.
  • Example: Through regular self-assessment, I identified my passion for leadership and developed a plan to build the necessary skills. This self-awareness guided my career choices and helped me achieve my goals.
  • Key Takeaway: Take time to reflect on your abilities and interests. This self-knowledge is essential for making informed decisions and setting meaningful goals.

Integrate Technology and AI for Enhanced Efficiency

  • Hack: Incorporate technology and AI tools to boost productivity and streamline operations.
  • Example: I have successfully leveraged various AI-based project management tools to optimize workflows and significantly reduce project completion times, thereby enhancing team productivity. Tools such as ChatGPT and Gamini have been invaluable for documentation and data collection. For design tasks, I rely on Canva, while Mylens.ai aids in developing timelines and mind maps. Transcripter has streamlined the process of converting voice notes to text. These tools not only minimize the time required for project development but also free up more time for implementation, allowing me to focus on more strategic aspects of my work.
  • Key Takeaway: Embracing technology and AI tools can drastically reduce time spent on routine tasks, enabling you to manage tasks more effectively and stay competitive in today’s rapidly evolving job market.

 

 

About Author———————————————————————

K M Hasan Ripon is a prominent figure in the field of career development and entrepreneurship in Bangladesh. Hasan Ripon is an example of expertise, serving as the Executive Director of Bangladesh Skill Development Institute (BSDI), the Managing Director of Global Entrepreneurship Network Bangladesh, and the Vice President of Start and Improve Your Business Foundation of Bangladesh.

Hasan Ripon has worked as a consultant for over 300 national and international organizations, accumulating a wide range of experiences. He has inspired over 100,000 youth and graduating students at Bangladesh’s 150+ public and private Universities, colleges and polytechnics, as well as over 20 international universities. As a skills activist and inspiring speaker, he has a social media following of over 3 million people.

Hasan Ripon is well-known in Bangladesh for his strategic abilities, having founded and sustained more than 30 organizations, educational establishments, and youth-led initiatives. With travel to 64 districts in Bangladesh and visits to 40 countries as an appreciated speaker and workshop facilitator, his impact transcends borders.

His professional development programs address topics such as communication, leadership, customer service, team building, negotiation, and problem solving, digital transformation, artificial intelligence and 4IR focused skills.

Hasan Ripon’s diverse experience includes roles as a President at JCI Bangladesh, Short-Term Consultant at the World Bank, Consultant for Industry 4.0 (HTS) at a2i, ICT Division (Government agencies), and Master Trainer & Industry Assessor (CBT&A) at ILO, CEO of Jobsbd.com, Principal at Daffodil polytechnic, adjunct Associate Professor and Employability Mentor at Daffodil International University and many more.

The Peace Award 2013 by JCI Bangladesh (Dhaka Central), the Education Leadership Award by IIT, Delhi, and the 2017 Inspiration Award as a Change Maker & Motivator have all decorated his path. Hasan Ripon’s story is one of passion, impact, and an uncompromising commitment to shaping Bangladesh’s future of work and skills. Contact: [email protected]

310058283_540076701257945_1829543561207557264_n

Employability Hands-on Training for Students

Employability360 is an intensive training program designed to equip students with essential skills and competencies necessary to thrive in today’s competitive job market. This program integrates self-assessment, career planning, personal branding, digital skills, soft skills, job interview skills, and mock interviews to provide a holistic approach to employability development. Led by renowned employability mentor Mr. K M Hasan Ripon, this hands-on training program emphasizes interactive workshops and mentorship from industry experts.

Training Contents:

Day 1: Self-Assessment and Career Planning

    • Introduction to self-assessment techniques: SWOT analysis, IKIGAI
    • Career exploration and goal setting
    • Identifying personal values, strengths, and interests

Day 2: Personal Branding and Digital Skills

    • Creating impactful CVs, cover letters, and LinkedIn profiles
    • Introduction to digital skills: social media management, content creation, and online branding
    • Developing a professional online presence

Day 3: Soft Skills Development

    • Cultivating critical thinking, resilience, emotional intelligence, adaptability, and teamwork
    • Interactive exercises and role-plays to enhance soft skills
    • Strategies for effective communication and collaboration

Day 4: Job Interview Skills and Mock Interviews

    • Mastering job interview techniques: preparation, body language, and answering common questions
    • Conducting mock interviews with personalized feedback from industry experts
    • Action planning for continuous improvement

Empowering Employability: Our Recent Collaboration with Daffodil International University

 

Day-wise Schedule (proposed):

Day Time Activity
Day 1 9:00 am – 10:30 am Self-Assessment Techniques
10:30 am – 10:45 am Break
10:45 am – 12:30 pm Career Exploration and Goal Setting
12:30 pm – 1:00 pm Identifying Personal Values and Interests
Day 2 9:00 am – 10:30 am Creating Impactful CVs, Cover Letters, Video Resume, Personal Website, Job Account in Job Portals, social media Optimized Profile.
10:30 am – 10:45 am Break
10:45 am – 12:30 pm Introduction to Digital Skills including artificial intelligence
12:30 pm – 1:00 pm Developing a Professional Online Presence
Day 3 9:00 am – 10:30 am Cultivating Soft Skills
10:30 am – 10:45 am Break
10:45 am – 12:30 pm Interactive Exercises and Role-plays
12:30 pm – 1:00 pm Effective Communication and Collaboration
Day 4 9:00 am – 10:30 am Mastering Job Interview Techniques
10:30 am – 10:45 am Break
10:45 am – 12:30 pm Mock Interviews and Feedback Sessions
12:30 pm – 1:00 pm Action Planning for Continuous Improvement

 

Training Methodology:

  • Interactive workshops with hands-on activities and group discussions
  • Role-plays and simulations to practice real-world scenarios
  • Personalized feedback and guidance from industry experts
  • Peer learning and collaboration
  • Case studies and real-life examples to illustrate concepts
  • Industry Expert inclusion during Mock Interview.

 

Expert Trainer: Mr. K M Hasan Ripon

  • Executive Director, Bangladesh Skills Development Institute
  • Renowned author and mentor for employability development
  • Over 24 years of experience in career coaching and training

Offered by:

Bangladesh Skill Development Institute (BSDI), a leading organization specializing in employability training since 2003. BSDI has a proven track record of delivering high-quality training programs and has collaborated with numerous universities and institutions nationwide.

Relevant Experience:

BSDI has been offering the Employability360 course to Daffodil International University since 2021, mentoring over 700 students to date. BSDI has also provided employability services to Bangladesh University of Professionals, Independent University, and conducted workshops in over 100 private and public universities across Bangladesh.

 

Conclusion:

Employability360 training program offers a comprehensive approach to empower students with the skills and mindset needed to succeed in today’s job market. Through hands-on learning, interactive workshops, and mentorship from industry experts, participants will develop a strong foundation for career success.

 

About Trainer ———————————————————————

K M Hasan Ripon is a prominent figure in the field of career development and entrepreneurship in Bangladesh. Hasan Ripon is an example of expertise, serving as the Executive Director of Bangladesh Skill Development Institute (BSDI), the Managing Director of Global Entrepreneurship Network Bangladesh, and the Vice President of Start and Improve Your Business Foundation of Bangladesh.

Hasan Ripon has worked as a consultant for over 300 national and international organizations, accumulating a wide range of experiences. He has inspired over 100,000 youth and graduating students at Bangladesh’s 150+ public and private Universities, colleges and polytechnics, as well as over 20 international universities. As a skills activist and inspiring speaker, he has a social media following of over 3 million people.

Hasan Ripon is well-known in Bangladesh for his strategic abilities, having founded and sustained more than 30 organizations, educational establishments, and youth-led initiatives. With travel to 64 districts in Bangladesh and visits to 40 countries as an appreciated speaker and workshop facilitator, his impact transcends borders.

His professional development programs address topics such as communication, leadership, customer service, team building, negotiation, and problem solving, digital transformation, artificial intelligence and 4IR focused skills.

Hasan Ripon’s diverse experience includes roles as a President at JCI Bangladesh, Short-Term Consultant at the World Bank, Consultant for Industry 4.0 (HTS) at a2i, ICT Division (Government agencies), and Master Trainer & Industry Assessor (CBT&A) at ILO, CEO of Jobsbd.com, Principal at Daffodil polytechnic, adjunct Associate Professor and Employability Mentor at Daffodil International University and many more.

The Peace Award 2013 by JCI Bangladesh (Dhaka Central), the Education Leadership Award by IIT, Delhi, and the 2017 Inspiration Award as a Change Maker & Motivator have all decorated his path. Hasan Ripon’s story is one of passion, impact, and an uncompromising commitment to shaping Bangladesh’s future of work and skills. Contact: [email protected]

About Organization ———————————————————————

Bangladesh Skill Development Institute (BSDI) is a premier institution dedicated to enhancing professional skills and competencies among individuals and organizations across various sectors. Established in 2023 with a vision to bridge the gap between industry requirements and workforce capabilities, BSDI offers a diverse range of training programs tailored to meet the evolving needs of the corporate sector. Call us: +88 01713 493 243

Black and Green Modern Youtube Thumbnail (3)

Unique Ways to Earn Money in 2025

You might not be able to meet all your desires with just one salary these days. You should look for other ways to make extra money by using your creative ideas, skills, knowledge, experience, and interests. This post will be of 28 interesting side job ideas that you can do in 2025 to make extra money.

  • Products that last Reselling: People are becoming more concerned about the environment, so there is a growing market for used and recycled items. You could start a business selling used clothes, furniture, or gadgets, and target people who care about the environment.

  • Remote Wellness Coaching: It’s never been clearer how important it is to take care of your mental and physical health, which is why there is a huge demand for remote wellness coaches. You can make a lot of money by offering your skills online, whether you’re an expert in fitness training, nutrition counseling, or mindfulness coaching.

  • AI Chatbot Development: As companies try to make customer service and interaction easier, AI-powered chatbots are becoming more and more popular. If you know how to code or have experience with artificial intelligence, you could help businesses improve their online profile by building chatbots.

  • Personalized e-learning platforms: As the number of people who learn from home grows, so does the need for personalized e-learning platforms that are made to fit each person’s wants and preferences. Making and selling your own e-learning platform can be a rewarding experience, whether you focus on academic tutoring, professional development, or classes based on your hobbies.

  • Sustainable Travel Experiences: People are looking for more sustainable travel experiences because they are becoming more aware of how their actions affect the world. There are many ways to cater to travelers who care about the environment, such as by setting up eco-friendly trips, providing carbon-neutral lodging, or encouraging responsible tourism.

  • Remote Work Consultancy: Businesses are having a hard time managing remote teams and processes as more people choose to work from home. If you know how to help businesses improve their remote operations or have experience with organizational development or working from home, you might want to offer your skills as a consultant.

  • Investing in virtual real estate: As virtual worlds and metaverse platforms become more popular, smart investors have a one-of-a-kind chance to make money by investing in virtual real estate. Virtual real estate can be very profitable in the digital world, whether you buy virtual land, digital homes, or in-game items.

  • Making money off of digital content: There have never been more places for making digital content, so now is the best time to start making money off of your creative skills. If you’re a writer, artist, singer, or videographer, sites like Patreon, Substack, and YouTube can help you make money through donations, subscriptions, and ads.

  • Starting a YouTube Channel: In this age of digital content creation, YouTube channels and podcasts have become strong ways to share information, fun things, and personal stories. Starting a YouTube channel or podcast about anything from education and living to gaming and technology is a great way for students and recent graduates to make money from their hobbies and interests. Creators of content can turn their hobbies into businesses while building a loyal following through partnerships, ads, and merchandise sales.

  • Freelance your talents: Websites like Fiverr and Upwork are full of gigs for writers, designers, virtual assistants, and more. Build your portfolio now.

  • Teach your language: Online language tutoring is in demand. Platforms connect you with eager learners worldwide.

  • Become a social media specialist: Small businesses need help navigating the ever-changing social media landscape. Offer your expertise in strategy and content creation.

  • Tutoring: Use the Internet to offer online tutoring services to students of all ages in topics you are good at.

  • Virtual Assistant: Provide administrative support to busy professionals by managing emails, scheduling appointments, and completing various tasks remotely.

  • Photography: Monetize your photography hobby by selling stock photos online or offering photography services for events and portraits.

  • Podcasting: Create your own show about something you’re interested in and make money from it by selling products, getting sponsors, and broadcast ads.

  • Language Translation: Utilize your language skills to offer translation services for documents, websites, and multimedia content.

  • Virtual Event Hosting: Host virtual events such as webinars, workshops, and networking sessions for a fee.

  • Food preparation services: It can be hard for busy workers to find time to cook healthy meals. You could offer food preparation services where you make healthy meals and bring them to people’s houses.

  • Remote Music creator: If you love music and want to make extra money, you could become a remote music editor. As digital platforms and streaming services become more popular, there is a greater need for original music for things like ads, movies, and online material.

  • Tailoring: If you have a knack for sewing and creating stylish garments, consider starting a tailoring business as a side hustle. With the increasing demand for custom-made clothing and alterations, there’s ample opportunity for skilled tailors to capitalize on this market.

  • Adjunct Faculty at Universities: If you are a mid-level worker with expertise in a certain area or industry, becoming an adjunct faculty member at a university can be a good side job. A lot of universities and schools let professionals teach part-time so they can share their knowledge and skills with students. No matter if you’re an engineer, marketer, accountant, or IT expert, there’s probably a need for part-time teachers in your field.

  • Help with video editing: As the number of videos on sites like YouTube, TikTok, and Instagram grows, so does the need for skilled video producers. People in mid-level jobs who know how to edit videos can take advantage of this need by working as freelance producers. Video editors who are good at what they do can make extra money by editing vlogs and tutorials, making promotional videos, and posting material on social media.

  • Support for Animation: If you’re good at animation and graphic design, you could work as a support expert for animation. As a side job, mid-level workers can do a lot of different animation-related tasks. These can range from making animated logos and explainer videos to designing motion graphics and visual effects.

  • Accounting Services: If you’re a middle-level worker with experience in finance or accounting, you might be able to make good money by giving accounting services on the side. A lot of small businesses and entrepreneurs need help with their books, taxes, and financial reports, but they might not be able to afford to hire a full-time bookkeeper.

  • Sales jobs that can be done from home: In this digital age, many companies are accepting online work and hiring salespeople to work from home. As a side job, midlevel workers with strong sales skills and experience can take advantage of this trend by looking for online sales jobs. There are a lot of remote sales jobs available in a lot of different fields. You can sell software, services, or products.

Conclusion: Taking a look ahead to 2025, the world of work is full of possibilities for people who are willing to be innovative and creative. There will be a lot of ways to make money in the years to come, whether you use new technologies, follow new customer trends, or provide useful services to small groups of people. You can make your own way to financial success in the digital economy, which is always changing, by looking into these 10 creative ideas and changing them to fit your skills and hobbies.

 

About Author———————————————————————

K M Hasan Ripon is a prominent figure in the field of career development and entrepreneurship in Bangladesh. Hasan Ripon is an example of expertise, serving as the Executive Director of Bangladesh Skill Development Institute (BSDI), the Managing Director of Global Entrepreneurship Network Bangladesh, and the Vice President of Start and Improve Your Business Foundation of Bangladesh.

Hasan Ripon has worked as a consultant for over 300 national and international organizations, accumulating a wide range of experiences. He has inspired over 100,000 youth and graduating students at Bangladesh’s 150+ public and private Universities, colleges and polytechnics, as well as over 20 international universities. As a skills activist and inspiring speaker, he has a social media following of over 3 million people.

Hasan Ripon is well-known in Bangladesh for his strategic abilities, having founded and sustained more than 30 organizations, educational establishments, and youth-led initiatives. With travel to 64 districts in Bangladesh and visits to 40 countries as an appreciated speaker and workshop facilitator, his impact transcends borders.

His professional development programs address topics such as communication, leadership, customer service, team building, negotiation, and problem solving, digital transformation, artificial intelligence and 4IR focused skills.

Hasan Ripon’s diverse experience includes roles as a President at JCI Bangladesh, Short-Term Consultant at the World Bank, Consultant for Industry 4.0 (HTS) at a2i, ICT Division (Government agencies), and Master Trainer & Industry Assessor (CBT&A) at ILO, CEO of Jobsbd.com, Principal at Daffodil polytechnic, adjunct Associate Professor and Employability Mentor at Daffodil International University and many more.

The Peace Award 2013 by JCI Bangladesh (Dhaka Central), the Education Leadership Award by IIT, Delhi, and the 2017 Inspiration Award as a Change Maker & Motivator have all decorated his path. Hasan Ripon’s story is one of passion, impact, and an uncompromising commitment to shaping Bangladesh’s future of work and skills. Contact: [email protected]

 

Yellow Bright Business Idea Tutorial Youtube Thumbnail

How to Identify Multiple Source of Income

In the early days of my career, I was introduced to a powerful concept that reshaped my approach to personal and financial growth. The wisdom came from none other than Warren Buffett, who emphasized the importance of not relying solely on a single source of income but rather exploring and identifying multiple avenues for generating revenue. This idea, simple yet profound, ignited a spark within me to delve deeper into the possibilities that lay beyond the conventional pathways of earning.

 

The Catalyst for Change

My quest for knowledge and skill development led me to discover a method introduced by the renowned Brian Tracy. Tracy presented an innovative approach to uncovering multiple sources of income through a simple yet effective exercise. He suggested taking a blank piece of paper and a pen, retreating to a quiet room, and engaging in a brainstorming session to list out twenty potential income-generating activities or sources. This exercise was not just an act of listing but an invitation to open one’s mind to the endless opportunities that await those willing to explore and experiment.

 

 

From Insight to Implementation

Inspired by Brian Tracy’s method, I embarked on my own journey to identify diverse income streams that aligned with my skills and passions. Here are the avenues I explored:

  1. Professional Writing: Recognizing my ability to articulate ideas, I ventured into professional writing, creating content that not only informed but also entertained and educated.
  2. YouTube Content Creation: With a knack for communication, I started producing videos for YouTube, tapping into the vast audience seeking knowledge and entertainment online.
  3. Graphics and Video Editing: I honed my skills in graphics design and video editing, catering to the growing demand for professional-quality visuals in the digital space.
  4. Consultancy in Project Management: By developing expertise in project management and various management tools, I positioned myself as a consultant capable of guiding businesses toward efficiency and success.
  5. Corporate Training: Focusing on soft skills like communication, leadership, team building, and problem-solving, I ventured into corporate training, helping professionals enhance their capabilities.
  6. Mentorship: I pursued certification courses in teaching and assessment, enabling me to mentor students at colleges and universities, guiding them toward academic and career success.
  7. Authoring Books: By writing books, I aimed to reach a broader audience, sharing knowledge and insights that could aid in their personal and professional development.
  8. and many more …..

 

The Importance of Diverse Income Streams

The journey from a singular focus on income generation to a multifaceted approach taught me a valuable lesson: relying on a single source of income can lead to financial instability and hinder the ability to support oneself, help others, or engage in charitable activities. Diverse income streams not only provide a safety net but also open doors to new experiences, learning opportunities, and personal growth.

 

A Call to Action

I urge everyone to embrace the concept of multiple income streams. Take the time to assess your skills, passions, and interests. Engage in brainstorming sessions, as suggested by Brian Tracy, and allow yourself to explore the vast landscape of opportunities available in today’s interconnected world. Remember, the journey to financial independence and personal fulfillment begins with the willingness to explore and the courage to act.

 

Conclusion

As we navigate through the complexities of the modern economy, the wisdom shared by Warren Buffett and the methodology introduced by Brian Tracy serve as beacons of inspiration. They remind us that the pursuit of multiple income streams is not just a strategy for financial resilience but a path to a richer, more fulfilling life. Let us embark on this journey with an open mind, a willing heart, and the determination to transform our dreams into reality.

 

——————————————————————————xxx———————————————————————————————-

About The Author: K M Hasan Ripon
K. M. Hasan Ripon is a distinguished figure and a leading career mentor in Bangladesh, recognized for his expertise as an entrepreneurial ecosystem builder and employability specialist. He currently holds key positions, serving as the Executive Director of Bangladesh Skill Development Institute (BSDI), Managing Director of Global Entrepreneurship Network Bangladesh, Executive Director of Daffodil Education Network, and Vice President of Start and Improve Your Business Foundation of Bangladesh.
With a wealth of experience, he has consulted for over 100 national and international organizations, providing training for executive development in areas such as communication, leadership, customer service, team building, negotiation, and problem-solving. Hasan Ripon’s extensive reach includes visits to 64 districts in Bangladesh and travels to 40 countries as a speaker and workshop facilitator. He has inspired over 100,000 youth and graduating students in 100+ public and private universities and polytechnics in Bangladesh, as well as more than 20 international universities.
Hasan Ripon is widely recognized on social networks, with a fan following exceeding 3 million, as a skills activist and inspirational speaker. His previous roles include serving as a short-term consultant at the World Bank, consultant for Industry 4.0 (HTS) at a2i, ICT Division (government agencies), master trainer and industry assessor (CBT&A) at ILO, convener of the National Board of CYFI Bangladesh, and a fellow of the Royal Society of Arts (FRSA). He also previously served as the local president of JCI Bangladesh (Dhaka Central).

Author Contact: [email protected]

 

Blog Banner for Website Content

CAREER TARGET-SETTING CHECKLIST FOR ALL

We often see that when someone enters the job market after graduating from university, many of them struggle to fit in. Some may not find the dream job they were hoping for, even after a long time working in a sector.

Remember, having personal targets is crucial no matter where you work. Without targets, success in the job is unlikely. And organizations always look out for individuals who are diligent, proactive, and active in their work.

Below is a sample table for those who have just entered a new job after graduating from university or for those who have switched to a new job after working in a company for a long time but are struggling to fit in.

 

Area for Improvement

Specific Goal Deadline

Action Steps

Skill Development Presentation Skill Development 6 months Use YouTube to improve Microsoft PowerPoint skills. Join various clubs or societies for presentation skill development. Participate in different workshops. Record and upload your own video to YouTube and seek feedback from others.
Self-Assessment Bi-weekly Self-Assessment Ongoing
Networking Enhance Professional Network Ongoing Participate in various workshops, seminars, and volunteer work. Join different professional groups on LinkedIn. Dine out with colleagues monthly to spend time in a friendly atmosphere. Contact professionals via social media for coffee meetings. Aim to meet at least 5 new professionals each month. Monthly review of new contacts.
Performance Achieve Success in Current Position Ongoing Set monthly performance goals with your boss. Seek feedback regularly from your boss and colleagues. Participate in relevant training sessions. Set challenging targets for yourself that others might fear to. Monthly performance review.
Mentorship Find a Mentor 3 months Identify a potential mentor in your workplace. Initiate informational discussions with them. Persuade them to agree to become your career mentor. Regularly communicate with your mentor.
Certification Obtain Relevant Certification 1 year Research necessary certifications for your sector or field. Seek advice from experts. Enroll in certification courses. Allocate weekly study time. Track course completion and exam dates.
Leadership Development Improve Leadership Skills 1 year Identify critical areas in your project team. Offer help where team members face challenges. Read a leadership book every month. Participate in leadership development training. Quarterly evaluation of leadership skills.
Work-Life Balance Maintain a Healthy Balance Ongoing Set work hours. Allocate time for family. Take regular care of your health to avoid frequent sick leaves. Stay within a realistic routine for personal and work life. Try to take a vacation every three months with your family. Weekly reflection and adjustment.

 

The table above is a sample. Try to understand it, create a table for yourself, and make an effort to follow and practice it properly. If you can set personal targets following the table and implement them honestly with yourself, then no one except the creator of success can stop you.

 

——————————————————————————xxx———————————————————————————————-

About The Author: K M Hasan Ripon (
K. M. Hasan Ripon is a distinguished figure and a leading career mentor in Bangladesh, recognized for his expertise as an entrepreneurial ecosystem builder and employability specialist. He currently holds key positions, serving as the Executive Director of Bangladesh Skill Development Institute (BSDI), Managing Director of Global Entrepreneurship Network Bangladesh, Executive Director of Daffodil Education Network, and Vice President of Start and Improve Your Business Foundation of Bangladesh.
With a wealth of experience, he has consulted for over 100 national and international organizations, providing training for executive development in areas such as communication, leadership, customer service, team building, negotiation, and problem-solving. Hasan Ripon’s extensive reach includes visits to 64 districts in Bangladesh and travels to 40 countries as a speaker and workshop facilitator. He has inspired over 100,000 youth and graduating students in 100+ public and private universities and polytechnics in Bangladesh, as well as more than 20 international universities.
Hasan Ripon is widely recognized on social networks, with a fan following exceeding 3 million, as a skills activist and inspirational speaker. His previous roles include serving as a short-term consultant at the World Bank, consultant for Industry 4.0 (HTS) at a2i, ICT Division (government agencies), master trainer and industry assessor (CBT&A) at ILO, convener of the National Board of CYFI Bangladesh, and a fellow of the Royal Society of Arts (FRSA). He also previously served as the local president of JCI Bangladesh (Dhaka Central).

Author Contact: [email protected]