যে কারনে কাজ প্রত্যাশীরা নজর কাড়তে পারছেন না

যে কারনে কাজ প্রত্যাশীরা নজর কাড়তে পারছেন না!

সবাই কাজ খুঁজছে, কাজ করছে এবং করতেই থাকবে। এটাই জগতের নিয়ম। এরই মধ্যে কেউ কাজ পাবে কেউবা অপেক্ষায় থাকবে। অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাঙ্খিত কাজ পেয়ে যাবেন। ক্যারিয়ারে গিফ্ট বা উপহার বলে কোন শব্দ নেই এবং পৃথিবীর কোথাও এর প্রচলনও নেই। কারো সমস্যার সাথে নিজের জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আচরন মেলাতে পারলেই কাঙ্খিত কাজের সন্ধান মিলে যায়। এজন্য কার কি সমস্যা সেটি জানা যেমন প্রয়োজন (কাজ প্রত্যাশীর দায়িত্ব) তেমনি যার সমস্যা তার কাছে কাজ প্রত্যাশীর জ্ঞান, দক্ষতা এবং আচরনের খবরটিও পৌছানো দরকার (কাজ প্রত্যাশীর স্ব প্রচারনা)।

আমরা প্রায়ই একটি ভুল করে ফেলি। আমরা যারা কাজ খুঁজছি তারা নিজেদের বর্তমান সমস্যার কথা অকপটে নির্ধিধায় বলে ফেলি যা একজন কাজদাতা কখনও করেন না। কাজদাতার অসংখ্য সমস্যা যেমন তিনি হয়তো ঠিকভাবে তার-

  • প্রতিষ্ঠানকে প্রচার করতে পারছেন না
  • শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনা করতে পারছেন
  • পন্য বিক্রয় করতে পারছেন না
  • পন্য বা সেবা বিপনন হচ্ছে না
  • মানব সম্পদ উন্নয়ন হচ্ছে না
  • প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে না
  • সিস্টেমকে উন্নয়ন করতে পারছেন না
  • আর্থিক ব্যবস্থাপনা ঠিকভাবে হচ্ছে না
  • স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
  • পন্য বা সেবা প্রস্তুত করতে পারছেন না
  • সাপ্লাই চেইন ঠিকভাবে চলছে না।

এরকম আরো কত শত সমস্যার ভেতর দিয়ে একজন কাজদাতা প্রতিদিন যাচ্ছেন কিন্তু কাউকে তিনি বুঝতে দিচ্ছেন না। এমন একটি রুপ ধারন করে আছেন যে তার প্রয়োজনের চেয়ে কাজ প্রত্যাশীর প্রয়োজন বেশী। কাজদাতারা যেহেতু নিজেই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না তাই তারা হন্যে হয়ে খোঁজার চেষ্টা করেন কে আছে যে তাদের সমস্যার সমাধান করে দেবে। আশাকরি এ পর্যন্ত যা লিখেছি তার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়েছে যে কেন কাজ খুঁজতে গিয়ে নিজেদের সমস্যা বা অভাবের কথা বলবো না। কাজ প্রত্যাশী ‍হিসেবে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে আপনি কোন সমস্যাটির সহজ সমাধান দিতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী নিজেকে প্রচার করুন। দেখবেন কাজদাতারা আপনার পেছনে লাইন ধরে বসে আছেন এবং আপনি ঠিক করতে পারছেন না কার সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কোনভাবেই যেন অহংকার, আত্মগর্ব বা সমালোচনায় নিজেকে জড়িয়ে না ফেলেন। কারন এ ধরনের শব্দের কাছে হিমালয়ও পানির মতো নরম।

_____ _____ ______ _____ _____ _____ _______

লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই) | ইমেইল: [email protected]

Good Human Relation

যে ১০টি গুণের অনুশীলন সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করবে!

সুসম্পর্কের একটি শক্তি বা এক ধরনের ক্ষমতা আছে, যখন থেকে এটি অনুভব করা যায় সেই মুহুর্ত থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাবার অবকাশ থাকে না। শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে চলা। সুসম্পর্ক তৈরি এবং স্থায়ীত্বের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহঃ

১. প্রয়োজনে “দয়া করে” (Please), দুঃখিত (Sorry) বা ধন্যবাদ (Thanks) বলতে পারা (Say Sorry or Please or Thank you when needed)

Please, thank you, and I'm sorry – words for kindergarten and leadership |  Chatsworth Consulting Group


২. দক্ষতা শেয়ার করা (Share your Skills with your peers)

App Insights by Indiespring


৩. উইন-উইন রিলেশন (Think about WIN-WIN relationship)


৪. ভালো শ্রোতা (Be an active listener)

How to Be a Good Listener (with Pictures) - wikiHow


৫. প্রশংসা করা যেখানে প্রয়োজন (Don’t hasitate to Appreciated)

Học từ appreciate - Chủ đề Office Procedures | 600 từ vựng TOEIC


৬. ক্রেডিট প্রদান করা যার প্রাপ্য (Give creadit when it is due)

StartUp Tip #70: Give credit to others – rochemamabolo


৭. ভুল স্বীকার করা যদি কেউ ধরিয়ে দেয় (Admit Mistakes)

A Lesson In Profitability - Admit Your Mistakes


৮. সকল মানুষের সাথে সমান আচরন করা (Treat all people equally)

Social Movements of the 21st century - Frankie Liu


৯. গোপনীয়তা বজায় রাখা (Maintain Confidentiality)

১০. ইতিবাচক কথা বলা (Speak positively)

How to Stay Positive When Things Don't Go Your Way - Eventbrite Ireland Blog

উপরের ১০টি বিষয় স্মরনে থাকলে সুসম্পর্ক শুধু তৈরিই হবে না বরং স্থায়ীত্ব হবে যা আপনার ক্যারিয়ারকে মজবুত করবে, দীর্ঘ করবে ইনশাআল্লাহ।

অনুশীলনে সবই সম্ভব | Practice makes everything perfect


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট