Illustration Lion Blog Banner

লকডাউনে হতাশ না হয়ে নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবেন?

কোভিড-১৯’র মহামারী চলছে। সবার জীবনে প্রভাব পড়েছে। সবাই কমবেশী আঘাত প্রাপ্ত। ছাত্র, পেশাজীবি বা ব্যবসায়ী সকলেই যেন এক শেষ না হওয়া দুঃশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সকলেরই একটাই প্রশ্ন কবে শেষ হবে এই মহামারী (Pandemic)? কবে ফিরে আসবে সেই পূর্বের স্বাভাবিকতা। এই নতুন স্বাভাবিক আর ভালো লাগছে না! এখানে বলে রাখি ২০২০ এর শুরুতে যখন প্রথম কোভিড ১৯ (Covid19) মহামারী বিশ্বব্যপী শুরু হয় তখন একটি নতুন শব্দের সাথে আমরা পরিচিত হই তাহলো ”নিউ নরমাল” (New Normal) বা নতুন স্বাভাবিক। যদিও ২০০৮-২০১২ সালে বৈশ্বিক মন্দার (The global recession) কালে আরেকবার নিউ নরমাল শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

যাই হোক নতুন স্বাভাবিক মানে হলো যখন পূর্বের ন্যায় আমরা জীবন পরিচালন করতে ব্যর্থ হই। একটি বিষয় আমাদের স্মরণে রাখতেই হচ্ছে যে চাহিদা আমাদের আগের মতোই আছে কিন্তু তা পূরণ করতে আমাদের নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করতে হচ্ছে। চাহিদা কি আমাদের কমেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হবে না। মাধ্যম শুধু বদলেছে। মহামারীর মধ্যেও আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হচ্ছে। তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের গতিও থেমে নেই। শুরুতেই বলেছি চাাহদা পূরণের মাধ্যম বদলেছে। অর্থাৎ বৃহৎ অংশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। মানুষের চাহিদা পূরণে বেড়েছে কর্মীর প্রয়োজন, তবে আগের সেই স্বাভাবিক কাজের জন্য নয়।

এপ্রিলের শুরুতেই ড্যাফোডিলের বেশ কয়েকটি পদে কর্মী নিয়োগের জন্য ইন্টার্ভিউর আয়োজন করা হয়। যথারিতি কোভিড-১৯ এর কারনে সম্পূর্ণ ইন্টার্ভিউ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রহণ করা হয়। কম্পিউটারের স্ক্রিনে আমরা যারা ইন্টার্ভিউ নেবার জন্য উপস্থিত ছিলাম তারা সবাই ক্যামেরা অন করে ফরমাল ড্রেসআপে বসেছিলাম এবং একজন করে ইন্টাভিউর জন্য তৈরি করা ভার্চুয়াল বোর্ডের সাথে যুক্ত হচ্ছিলেন। আমার দায়িত্ব ছিলো প্রার্থীর সাথে প্রথমে আলাপ শুরু করা।

দেখে এতো আনন্দিতবোধ করছিলাম যে আমাদের দেশের সদ্য গ্রাজুয়েটরা খুব চমৎকার করে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছিলেন ভার্চুয়াল ইন্টার্ভিউর সাথে। তারা চমৎকার করে তাদের স্ক্রিন শেয়ার করছিলেন, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কথা বলছিলেন, প্রয়োজনে নিজের ব্যক্তিগত বিভিন্ন ফাইল খুলে দেখাচ্ছিলেন এবং নিজেদের সোস্যাল মিডিয়ার সাইটগুলোর ব্যবহার চমৎকার করে ব্যাখ্যা করছিলেন।

এদের মধ্যে আবার কিছু গ্রাজয়েট ছিলেন যারা নিজেদের মুখ ক্যামেরার সামনে রাখতেই পারছিলেন না। অনেকে আবার স্ক্রিন শেয়ার করবার বিষয়টি কি সেটাই ধরতে পারছিলেন না। অনেকে লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হতেই পারেন নি। যাইহোক সম্পূর্ণ নতুন একটি অভিজ্ঞতা যেমন আমার হলো তেমনি আমার ধারনা যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদেরও হয়েছিল আশা করছি। বর্তমানে এমন এক সময় আমরা পার করছি যখন আমাদের অনেকেরই মাথা শুন্য মনে হচ্ছে। অনেকেই হয়তো আছেন যারা কোন কিছু ভাবতে পারছেন না। চুপচাপ ঘরে বসে আছেন। কোন পরিকল্পনা করতে পারছেন না। পবিত্র কোরআন শরীফের দুটো আয়াত আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই –

নিশ্চয়ই আমি মানুষকে কষ্ট পরিশ্রমনির্ভর করে সৃষ্টি করেছি”সূরা আল বালাদ (৯০), আয়াত

বিপদে যারা ধৈর্যশীল, আল্লাহর অনুগ্রহ তাদের সাথেই থাকে”- সূরা আনফাল (০৮), আয়াত ৬৬ (আয়াতের শেষ অংশ)

উপরের দুটো আয়াত থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের এমনভাবেই সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা কোনভাবেই বিপদে ভেঙ্গে না পরি। বরং নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিহার করে, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে, ধৈর্যশীলতা দিয়ে বিপদকে মোকাবেলা করতে থাকি।

শুরুতেই যেটি বলেছিলাম মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। অনেক কিছুই আর আগের মতো হচ্ছে না। তবে মানুষের চাহিদা থেমে নেই। এখনো প্রতিটি ব্যবসার পন্য বা সেবা একইভাবে মানষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে হচ্ছে। প্রয়োজন হচ্ছে কর্মীর তবে আগের মতো যেহেতু পন্য বা সেবা মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক কার্যে যেমন এসেছে পরিবর্তন, কর্মী নিয়োগেও আনতে হচ্ছে নতুনত্ব।

সবারই বিশ্বাস রাখতে হবে যে প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ হচ্ছে বা হবেই। প্রতিটি দেশে কোভিডের আক্রমন একেক রকম। বাংলাদেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি বছরের শুরুতে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত কোভিডের সংক্রামন কিছুটা উর্ধ্বমূখী থাকে। তার মানে চার মাসের একটি বিরতি আমাদের না চাইতেও নিতে হচ্ছে। এই সময়টিতে আমরা নিজেদের জন্য কিছু পরিকল্পনা করে নিতে পারি।



আপনার পরিকল্পনাকে আপনি পাঁচটি ভাগে ভাগ করে নিতে পারেনঃ

১. সম্পর্ক উন্নয়ন

মানষের সাহায্য ছাড়া কখনোই মানুষ উপরে উঠতে পারবে না। এটি একটি চিরন্তন সত্য বাণী। কিন্ত আমরা দেখতে পাই এই বাণী আমাদের যখন বিশ্বাস করার প্রয়োজন তখন আমরা করছি না। আপনি খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারেন। আমাদের প্রত্যেকের কাছেই আছে লিংকডইন এবং ফেসবুকের মতো দুটি বিশাল সম্পর্ক উন্নয়নের হাট। আপনার কাঙ্খিত সেক্টরের সফল প্রফেশনালদের সান্নিধ্যে নিজেকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করুন। তাদের বিভিন্ন অনলাইন পোস্ট, আর্টিক্যাল, ব্লগ, ভিডিও, লাইভ উপস্থিতি উপভোগ করুন, বোঝার চেষ্টা করুন এবং নিজে নিজে ব্যাখ্যা করুন। তারপর আপনার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার বা লিংকডইন মেসেজ ব্যবহার করে আপনার মন্তব্য করুন বিনয়ের সাথে। নিজের তৈরী সিভি, ভিডিও রিজুমে, ব্লগ, ভিডিও প্রফেশনালদের কাছে পাঠিয়ে ফিডব্যাকের জন্য অনুরোধ করুন। আমি বিশ্বাস করি ১০০ জনকে পাঠালে অন্তত ১০ জন অবশ্যই আপনাকে তাদের মন্তব্য দেবে।

আমার ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট (https://kmhasanripon.info) থেকে একটি ব্লগ পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা একটি ছেলে এতো সুন্দর করে বিশ্লেষণ করলো, পড়ে আমি মুগ্ধ। আমি তার সাথে কথা বলরাম-

– আমি তাকে বললাম আপনি কি লিখতে পছন্দ করেন।

– জী! আমি লিখতে পছন্দ করি।

– আমি যদি কোন একটি বিষয় আপনাকে দেই, আপনি কি লিখতে পারবেন?

– আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো স্যার

আমি তাকে একটি বিষয়বস্তু দিয়ে বললাম ২৫০ শব্দের ভেতর একটি আর্টিক্যাল তৈরি করুন। ঠিক সময়ে আর্টিক্যাল লিখে আমার কাছে জমা দিলো। আমি পড়ে তাকে আমার অফিসে কফি খাবার আমন্ত্রণ জানিয়ে তাকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করবার জন্য অনুরোধ করলাম ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট ডেভেলপার হিসেবে। অতএব এই কঠিন সময়েও কাজ পাওয়া যাবে এবং কাজে উন্নতি করা যাবে কাজ যত যাইহোক কাজ থেমে নেই।

আগামী চারমাসের একটি পরিকল্পনা করুন। আপনার পছন্দের সেক্টর বা সেক্টরের বাইরে কত নতুন মুখ আপনি চিনবেন এবং আপনাকে চেনাবেন। সম্পর্ক উন্নয়নে নীচের কয়েকটি কাজ করে দেখুনঃ

  • ইমেইলের মাধ্যমে নিজেকে বিনয়নের সাথে পরিচিত করুন
  • ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার বা লিংকডইনের মাধ্যমে সফল ব্যক্তিদের সাথে কানেক্ট হবার চেষ্টা করুন। আমার একটি থিওরী আছে, কেউ যদি পাঁচবারের মধ্যে আপনার কোন কমেন্ট বা প্রশংসার বা প্রশ্নের জবাব না দেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনাকে তার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য আরো প্রস্তুতি নিতে হবে।
  • ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার বা লিংকডইনের মাধ্যমে আপনার সিভি বা ভিডিও রিজুমির উপর ফিডব্যাক দেবার জন্য অনুরোধ করুন।
  • বিভিন্ন প্রফেশনাল গ্রুপ বা পেইজে মেম্বার হয়ে ক্রিয়েটিভ আলোচনায় অংশ নিন।
  • অযথা সমালোচনা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন এবং নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • প্রতিদিন ভালো কাজের প্রশংসা করুন এবং ভালো কাজ করছে এমন মানুষদের ধন্যবাদ দিন।
  • অহেতুক সমালোচনামূলক পোস্ট, ভিডিও, লাইভ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। মনে রাখবেন এই সকল অহেতুক কন্টেন্ট আপনি আপনার কষ্টের টাকা দিয়ে কেনা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে দেখছেন আর বিনিময়ে তারা ফেসবুক বা লিংকডইন থেকে আয় করছে। আর আপনি নিজের অজান্তে করছেন নেতিবাচকতার অনুশীলন।

২. অভিজ্ঞতা অর্জন

অধিকাংশ মানুষ আমরা মনে করি অভিজ্ঞতা অর্জন পড়াশুনা শেষ করার পর। যদিও উন্নত বিশ্বের মানুষেরা সারাজীবনই ব্যয় করে থাকেন ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করে। আবার অনেকে মনে করেন অভিজ্ঞতা অর্জন মানেই হলো ৯-৫টা চাকরি। একবার সদ্য পাশ করা এক গ্রাফিক্স ডিজাইনার “লিটন” আমার কাছে আসলেন ইন্টার্ভিউ দিতে। আমি তার ডিজাইন দক্ষতা দেখে বেশ মুগ্ধ। তাকে জিজ্ঞেস করলাম এতো ডিজাইন দক্ষতা অর্জন করেছেন কিভাবে? এখানে বলে রাখি লিংকডইনে তাকে আমি দুটি এ্যাসাইমেন্ট দিয়েছিলাম যা খুব সুন্দর করে সে সম্পন্ন করেছিলো।

সে উত্তরে আমাকে বললো, আমি প্রতিদিন ইউটিউভের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখতাম এবং নিজে হাতে সেগুলো অনুশীলন করতাম। একদিন আমার মনে হলো আমাকে তো কেউ কোন কাজ দিচ্ছে না, তাহলে আমার অভিজ্ঞতা বাড়াবো কিভাবে? আমি বিশ্বের সেরা ৫০টি প্রতিষ্ঠানের লোগো, বিভিন্ন ব্যানার ইউটিউভ দেখে নতুন করে বানাতে শুরু করলাম। যেগুলো বেশী জটিল মনে হতো সেগুলোর ব্যাপারে বড় ভাইদের পরামর্শ নিয়ে করে ফেলতাম। যখন মোটামুটি একটু আত্মবিশ্বাস বাড়তে শুরু করলো তখন বড় ভাই এবং বিভিন্ন প্রফেশনালদের কাছে কাজ চাইতে শুরু করলাম এবং কোন পারিশ্রমিক ছাড়াই করে দিতাম। তবে চুক্তি ছিলো যে আমার কাজ ভালো লাগলে তারা আমাকে প্রশংসা পত্র দেবে। ব্যস চার মাসের মধ্যে আমার ঝুড়িতে চলে আসলো নামী দামী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা। তারপর শুরু করলাম প্রারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজ খুঁজবার মিশন।

লকডাউনের এই সময়ে আপনারাও আমার পছন্দের কাজটির জন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিতে পারেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বুদ্ধি লাগে যা শুধু লিটনের নয়, আপনারও আছে।

৩. দক্ষতা বৃদ্ধি

দক্ষতা ছাড়া বর্তমান সময়ে কারো কোন মূল্য নেই। আপনাকে যে কাজ দেবে সে আপনাকে নয় বরং আপনার দক্ষতা দেখে কাজ দেবে। এখন প্রশ্ন হলো লকডাউনে দক্ষতা বৃদ্ধি করবেন কিভাবে? আপনারা ঠিকই আঁচ করতে পারছেন আমি আপনাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছি। জীং আপনি ঠিকই ধরেছেন। এখানেও আমি প্রযুক্তির ব্যবহার যথাযতভাবে করবার পরামর্শ দেবো। ধরুন আপনি এইচআর নিয়ে পড়াশুনা করছেন। গুগলকে ব্যবহার করে ৫০টি দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানের জব সার্কুলার সার্চ করে আপনার ল্যাপটপে সংরক্ষণ করুন। তারপর সেই ৫০টি সার্কুলার থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো কি ধরনের দক্ষতা খুঁজছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং আগামী ৩০ দিনের একটি পরিকল্পনা করুন। তারপর ইউটিউভ দেখে দক্ষতাগুলো নিজের মধ্যে আয়ত্ব করবার চেষ্টা করুন।

৪. জ্ঞানের বিকাশ

বাংলাদেশ এখন আর আগের জায়গায় নেই যে জ্ঞান বিকাশের জন্য আপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। আপনার হাতে কাছে থাকা প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আপনি কমার্শিয়াল সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারেন। প্রচুর ফ্রি ওয়েবইনার, ওয়ার্কশপ, লার্নিং ভিডিও, বুক রিভিউ, বিভিন্ন গবেষণা ভিত্তিক ডকুমেন্টারি ইন্টার্নেটে ঘুড়ছে। তালিকা তৈরি করুন এবং জ্ঞান বিকাশ করুন হতাশায় ডুবে না থেকে।

৫. প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি

আপনার হাতে স্মার্টফোন আছে যেটি এই মুহুর্তে আপনাকে বিশ্বের যেকোন কিছুর সাথে সংযুক্ত করিয়ে দিতে পারে। হয়তো আপনার বাড়িতে ল্যাপটপ আছে, যা দিয়ে আপনি ঘরে বসে অনেকের সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। খুঁজে বের করুন আপনি এমন কোন ধরনের এ্যাপস আপনার মোবাইলে নেই যা দিয়ে আপনি উপরের পাঁচটি কাজ অনায়সে করতে পারবেন। আসলে সমস্যা হচ্ছে স্মার্টফোন দিয়ে আমরা শুধু জানি ফেসবুক আর ইউটিউভের মাধ্যমে অন্যের তৈরি সমালোচনা মূলক ভিডিও বা সিনেমা/নাটকের কাটপিস দেখা। এর বাইরেও স্মার্টফোনের অনেক কাজ আছে। নিজে কন্টেন্ট তৈরি করুন, আর্টিক্যাল লিখুন, ব্লগ লিখুন, আপনার সিভি প্রচার করুন, ভিডিও রিজুমে ছড়িয়ে দিন। মোবাইল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করুন, ঘরে বসে ডলার আয় করুন।

শেষ কথাঃ

উপরের পাঁচটি বিষয়কে মাথায় রেখে আপনি আপনার নিজেকে পরিবর্তন করুন। সবচেয়ে সহজ কাজ হলো হাত গুটিয়ে বসে থাকা আর হতাশা চর্চা করা। ভেবে দেখুন আপনি দুনিয়ার সব থেকে বড় নেয়ামতের মালিক কারন আপনি সুস্থ আছেন। আপনার শক্তি আছে। আপনি চিন্তা করতে পারছেন। কিছু মানুষ আছে যারা আপনাকে বিশ্বাস করে। অতএব উন্নত মানসিকতাকে ব্যবহার বুদ্ধি খাঁটিয়ে বের করুন লকডাউনের ভেতরও মানুষের কোন কোন চাহিদাগুলো আপনি পূরণ করতে পারেন?

 

Author:

K M Hasan Ripon, Executive Director, BSDI

Email: [email protected]

3 Responses

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked*