PMnew

তিনি অন্যরকম একজন

দুর থেকে আমরা যারা তাকে দেখেছি, তখন মনে হয় অসম্ভব বিচক্ষণ একজন নারী। খুব কাছ থেকে যাদের দেখার সুযোগ হয়েছে তাদের কাছে তিনি সদা হাস্যজ্বল ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মহীয়সী নারী নেতৃত্বের উদাহরণ। পরিবারের সদস্য বিশেষ করে ছেলেমেয়ের কাছে অত্যন্ত মমতাময়ী মা আবার সাধারন মানুষের কাছে ভরসার স্থল। অনেকেই ভাবেন হয়তো যেকোন সমস্যার সর্বশেষ সমাধান সৃষ্টিকর্তা উনার মাধ্যমেই দেবেন। উপরের প্রত্যেকটি বিশেষণ যার জন্য প্রযোজ্য তিনি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া শেখ হাসিনা।

প্রায়শই একটা বিষয় লক্ষ্য করি আমরা আমাদের তরুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের গুনাগুন এবং তাদের সাফল্যের বিবরণ তুলে ধরি। উদ্দেশ্য একটাই তাদের সামনে অনুসরণ করার মতো একজন ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরা যাতে তরুণরা তাদের মতো করে নিজেদের গড়তে পারে, তাদের সাফল্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় বা পরিচালিত হতে পারে। মূল কথা মানুষ তার স্বপ্ন দ্বারা পরিচালিত হয় সবচেয়ে বেশী, আর সেই স্বপ্নের অনুকরনীয় ব্যক্তিত্ব যদি হয় নিজ দেশের তাহলে তার প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশী। ভাবতে ভীষণ গর্ব হয় যে আমাদের দেশের তরুন সমাজকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এখন আর বহির্বিশ্বের উদাহরণের প্রয়োজন নেই কারন আমাদের বাংলাদেশেও আছে অনুপ্রেরণা পাওয়ার মতো নেতৃত্ব। একজন আদর্শ ব্যক্তিত্বের সবচেয়ে বড় গুণাবলী হলো যেকোন সৃষ্টিশীল কাজের জন্য চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা। গত ১০ বছরে আমরা দেখেছি যে কাজ গুলো আমাদের অনেকের মতেই ছিল অসম্ভব, তিনি সেই চ্যালেঞ্জগুলো ভীষণ দৃঢ়তার সাথে শক্ত হাতে গ্রহণ করেছেন। কোন বাধাই তাকে বিচলিত করেনি বরং এতোটাই দৃঢ় এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে এর আগে কখনো কাউকে দেখা যায়নি। বেশ কিছু প্রমান আমাদের সামনেই রয়েছে।

একজন আদর্শ নেতা নুতন নেতৃত্ব তৈরী করেন। আমরা বিগত কয়েক বছরে এর উপর্যুপুরি প্রমান পেয়েছি। আমরা প্রায়শই শুনি এদেশটাকে বদলাতে হলে সবার আগে তরুণ প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিগত বছরগুলোতে বেশ কিছু নতুন তরুণ নেতৃত্ব দেশকে উপহার দিয়েছেন তার প্রমান আমাদের সকলের সামনেই দৃশ্যমান। পাশাপাশি প্রবীণদের নিয়েও তিনি একই সাথে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে করে নতুন সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়। নবীন এবং প্রবীণদের অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানের আলোকে। একজন আদর্শ নেতৃত্বের আরো একটি বড় গুণাবলী হলো সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গী। আচ্ছা এর আগে এমন কি কখনো হয়েছে আজ থেকে ১০০ বছরের সামনের বাংলাদেশকে কেউ দেখার চেষ্টা করেছে অথবা দেখেছে? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে পুরো বাংলাদেশ এখন জননেত্রীর উন্নয়নের নকশা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে আমরা যা বইতে পড়েছি, আধুনিক চীন বা মালয়েশিয়ার কথা জেনেছি তা এখন আমাদের দেশেই দৃশ্যমান এবং এটাই বাস্তবতা।

ভালো কাজের স্বীকৃতি মানুষকে আরো ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগায়। তার কাজের গতিকে আরো বাড়িয়ে দেয়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা কাজে প্রমান করেছেন। তিনি যোগ্য ব্যক্তিদের যেমন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে নিয়ে এসেছেন আবার অযোগ্যব্যক্তি সে যতো ক্ষমতাশালীই হোক না কেন তাকে দেশের স্বার্থে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন এবং এর একাধিক দৃষ্টান্ত আমরা দেখেছি। একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব সবসময় নমনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন একজন ব্যক্তিত্ব যার কাছে খুব সহজেই যাওয়া যায় এবং নিজের কথাগুলো অনায়সে বলা যায়। রাষ্ট্রের স্বার্থে কখনো হয়তো তিনি কঠিন হয়েছেন আবার ঐ একই কারনে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন। দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও অনায়াসে স্বীকার করেছেন উনি এখনও শিখছেন। তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে নিজের সন্তানের কাছে দিনের পর দিন শিখেছেন, বুঝতে চেয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাগুলো। তিনি প্রমান করেছেন একজন সফল নেতৃত্বকে সাফল্য পেতে গেলে অবশ্যই শিখবার মনমানসিকতা নিয়ে চলতে হবে।

একজন সফল নেতৃত্ব সবসময় তার দলকে সাথে নিয়ে দলগতভাবে কাজ করেন। আমরা যদি পুরো বাংলাদেশকে এ মুহুর্তে চিন্তা করি তাহলে খুব সহজেই বোঝা যাবে যে পুরো বাংলাদেশই যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো কাজ করে যাচ্ছে। বসে থাকার উপায় নেই। পুরোদমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। স্বপ্নটা অনেক বড় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তাই প্রস্তুতির পর্বটাও বেশ জোড়ালো। বিভিন্ন কাজের জন্য দায়িত্ব অর্পণ করেছেন প্রবীণ এবং নবীনদের সমন্বয়ে গড়া তার দল যারা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। ভালো যিনি করছেন তিনি যেমন স্বীকৃতি পাচ্ছেন আবার কিছুক্ষেত্রে নিজেই আবার দায়িত্ব নিয়েছেন এগিয়ে যাবার সংকল্পে।

স্বপ্নবাজ বা আবেগ ছাড়া যেকোন বড় কিছু অর্জন করা অনেকটা অসম্ভব। বাংলাদেশ এ সময়ে অসম্ভব স্বপ্নবাজ এবং আবেগময় একজন নেতৃত্বের অধিনে পরিচালিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন যেমন আকাশসম তেমনি আবেগের বিষয়টিও একইভাবে লক্ষ্যনীয়। তবে আকাশসম স্বপ্নের পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাস্তবে রুপান্তরের জন্য একদিকে যেমন স্বপ্ন এবং আবেগদ্বারা তাড়িত হয়েছেন ঠিক একইভাবে গভীর দৃঢ়তার সাথে একাগ্রচিত্তে কাজ করেছেন তার স্বপ্নপূরনের প্রয়াসে। আদর্শ নেতৃত্বের এতো উজ্জল উদাহরণ বাংলাদেশ আগে কথনো দেখেনি। ব্যর্থ হবো বলে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করা থেকে কখনো বিরত হননি।

এখন তরুন প্রজন্মের সময় এসেছে নিজেদের নিয়ে ভাব্বার। সদিচ্ছা, সৎমানসিকতা, কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় আর একাগ্রতা থাকলে সৃষ্টিকর্তাও সহায় হন। আমাদের তরুন প্রজন্মের সামনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন সফল নেতৃত্বের সবচেয়ে উজ্জল উদাহরণ। আমরা অনেকেই বলি অনেক কিছু শেখার আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে কিন্তু আমরা ধারন করি কজন? যেদেশে সফল নেতৃত্বের এতো বড় উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে সেদেশের তরুন সমাজ তো কখনো পথভ্রষ্ট হতে পারেনা। অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সদালাপী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকের কাছে বিশাল বিস্ময়। ভীষন ইতিবাচক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটি ইতোমধ্যেই তার বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্টের কারনে বিশ্বের ১০০ জন বিশিষ্ঠ ব্যক্তির তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।বাংলাদেশ কি কখনও ভেবেছে যে এমন একটা সময় আসবে যখন অন্যেরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আমাদের বলবে

বাংলাদেশ তোমরা পেরেছো!

Comments are closed.