White Gray Simple How To Make Yourself Look Good Youtube Channel Art (1)

11 Most important Hard Skills and Soft Skills for every professional

যে ১১টি হার্ডস্কিলস এবং সফ্টস্কিলস আপনাকে সবার থেকে এগিয়ে রাখবে!

একটি বিষয় সবসময় প্রফেশনালদের মনে রাখতে হয়, যেকোন কর্মক্ষেত্রে নিজের অনর্ভুক্তির জন্য কোন একটি বিষয়ে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। যাকে আমরা দক্ষতা হিসেবে জানি। দক্ষতা মানেই হলো কোন কাজ আপনি নিজ হাতে করতে সক্ষম। উদাহরন হিসেবে বলা যায় মাইক্রোসফট এক্সেল।

আপনি যদি মাইক্রোসফট এক্সেল দিয়ে রিপোর্ট প্রস্তুত করতে পারেন বা ডাটা এ্যানালাইসিস করতে সক্ষম হন, তবেই আপনি আত্মবিশ্বাস অনুভব করবেন। দক্ষতা দুই ধরনের হয়ে থাকে পরিমাপযোগ্য এবং অপরিমাপযোগ্য। বহুলভাবে যাকে আমরা হার্ড স্কিল এবং সফ্টস্কিল হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি।

হার্ড স্কিল পরিমাপযোগ্য! এর কারন হলো এর ফলাফল তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়। যেমন বেসিক এডিটিং স্কিল অথবা পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরি করা বা কোন প্রকল্পের জন্য রিপোর্ট তৈরি করা। সফ্টস্কিল হলো অপরিমাপযোগ্য যার অর্থ হলো এটি একমাত্র অনুভব করা যায়।

যেমন আপনি যদি বলেন আপনার যোগাযোগ দক্ষতা ভলো বা আপনার মধ্যে লিডারশীল স্কিল আছে তাহলে সেটির বিষয়ে নিশ্চিত হতে বেশ কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন হবে। কারন আপনার ভেতর সফ্টস্কিল আছে কিনা সেটা জানা যায় আপনার সাথে যারা একসাথে কাজ করছেন তাদের ফিডব্যাকের মাধ্যমে। সেজন্য অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রে কর্মীর সফ্টস্কিল সম্পর্কে ধারনা পেতে প্রতিষ্ঠান সাধারনত থার্ড পার্টি ফিডব্যাকের উপর নির্ভর করেন।

 

নির্দিধায় বলতে পারি সফ্টস্কিল সব সেক্টরের জন্য প্রযোজ্য। হয়তো ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্ষানিকটা পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু প্রয়োজনের দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রফেশনালদের মধ্যে অনেকেই এক সেক্টর থেকে অন্য সেক্টরে নিজেকে স্থানান্তর করেন। যে সেক্টরেই থাকুন না কেন সফ্টস্কিলসের কিন্তু কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। মূলত প্রধান ১০টি সফ্টস্কিলসের কথা আমরা শুনতে পাই বিশেষ করে চতুর্থ শিল্পের এই সময়টাতে যেমনঃ

  • Communication (যোগাযোগ),
  • Self-Motivation (স্ব-প্রেরণা),
  • Leadership (নেতৃত্ব),
  • Self-Responsibility (দায়িত্ববোধ,
  • Problem Solving (সমস্যা সমাধান),
  • Team Work (টিমওয়ার্ক),
  • Critical Thinking and Creativity (সৃজনশলতা),
  • Decision Making (সিদ্ধান্ত গ্রহন),
  • Ability to Work Under pressure ‍and Time Management (চাপ এবং সময় ব্যবস্থাপনার অধীনে কাজ করার ক্ষমতা)
  • Flexibility (নমনীয়তা)
  • Adaptability (অভিযোজনযোগ্যতা)
  • Negotiation and Conflict Resolution (আলোচনা এবং দ্বন্দ্ব সমাধান)

যেহেতু আমি শুরুতেই বলেছি সফ্টস্কিল সব সেক্টরের কাজের জন্য অত্যন্ত জরুরী তাই এই দক্ষতাগুলোর প্রতি একটু বেশী গুরুত্ব দিতে পারলে কর্মক্ষেত্রে সকলেরর সাথে মিলে কাজ করাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। সফ্টস্কিলস অবশ্যই শেখা যায়। প্রতিষ্ঠিত কোন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বা কোন এক্সপার্টের মাধ্যমে সফ্টস্কিলসের উপর বিশেষ কোর্স সম্পন্ন করা যেতে পারে।

তবে সফ্টস্কিলসের উপর দক্ষতা বৃদ্ধির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আত্মসচেতনতা এবং পর্যবেক্ষনের (Observation) মাধ্যমে শেখা। আপনার কর্মক্ষেত্রে এমন অনেক সহকর্মীর সান্নিধ্য আপনি পেতে পারেন যারা সফ্টস্কিলসকে অনুশীলন করছেন। তাদের সাথে মেলামেশা বাড়িয়ে দিন, দেখবেন আপনার নিজের সফ্টস্কিলসেরও পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।



হার্ডস্কিলসের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। হার্ডস্কিলস মূলত কর্মক্ষেত্র বা নির্দিষ্ট সেক্টরের উপর নির্ভর করে। মার্কেটিং, সেলস, ফাইন্যান্স বা এইচআর নিয়ে যারা বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তাদের প্রত্যেকেই ঐ সেক্টরের জন্য নির্ধারিত হার্ডস্কিলসে পারদর্শী হতেই হবে। তবে বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের

এই সময়ে কিছু হার্ডস্কিলস আছে যা একজন প্রফেশনালকে কর্মক্ষেত্রে বিরত্ব অর্জনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন এবং সকল সেক্টরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কাজ করে। মূলত ১১টি হার্ডস্কিলস প্রত্যেক প্রফেশনালের জন্য অত্যন্ত জরুরী যেমনঃ

১. টেকনিক্যাল স্কিল:

  • বেসিক কোডিং (স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং),
  • সিআরএম প্ল্যাটফরম (কাস্টমারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার্থে ব্যবহারিত ওয়েব বেইজড সোল্যুশন),
  • রিসার্চ স্কিলস,
  • ট্রাবলস্যুটিং (কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, বেসিক নেটওয়ার্ক) ইত্যাদি।

২. কম্পিউটার স্কিলসঃ

  • মাইক্রোসফ্ট অফিস (ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট)
  • মাইক্রোসফ্ট প্রজেক্ট,
  • বেসিক ইমেইজ এডিটিং,
  • বেসিক গ্রাফিক্স ডিজাইন,
  • বেসিক ভিডিও এডিটিং,
  • গুগলিং,
  • ইমেইল, ‍
  • সোস্যাল মিডিয়া,
  • ওয়েব সাইট রিভিউং,
  • টাইপিং স্কিল,
  • অনলাইন স্টোরেজ (গুগল ড্রাইভ) ইত্যাদি।

৩. এ্যানালাইটিক্যাল স্কিলসঃ

  • ডাটা এ্যানালাইসিস,
  • ডাটা মাইনিং,
  • ডাটা প্রেজেন্টেশন,
  • এসপিএসএস,
  • ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট,
  • রিপোটিং স্কিলস, ‍
  • স্ট্র্যাটেজি স্কেচিং ইত্যাদি।

৪. মার্কেটিং স্কিলসঃ

  • সেলস স্কিলস,
  • এ্যাডভারটাইজমেন্ট,
  • কনজুমান রিসার্চ,
  • ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষ করে বেসিক এসইও (SEO),
  • পে পার ক্লিক (PPC),
  • সোস্যাল মিডিয়া পেইড মার্কেটিং,
  • কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট,
  • ইমেইল মার্কেটিং,
  • ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন (UX/UI Design),
  • গুগল এ্যানাটিক্স,
  • ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।

৫. প্রেজেন্টেশন স্কিলসঃ

  • বিজনেস প্রেজেন্টেশন,
  • সেলস প্রেজেন্টেশন,
  • স্টোরি টেলিং,
  • গ্রাফ/চার্ট প্রেজেন্টেশন,
  • প্রোগ্রাম মডারেটিং ও উপস্থাপনা ইত্যাদি।

৬. ম্যানেজমেন্ট স্কিলসঃ

  • বিজনেজ ডোমেইন নলেজ (যে সেক্টরে কাজ করছেন, সেই সেক্টর সম্পর্কে জ্ঞান),
  • ব্যবসায়িক জ্ঞান,
  • বাজেটিং,
  • প্রকল্প ব্যবস্থাপনা,
  • নিয়োগ ব্যবস্থাপনা,
  • বেসিক আর্থিক পরিকল্পনা,
  • বেসিক অফিস ম্যানেজমেন্ট,
  • বেসিক প্রকিউরমেন্ট,
  • সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।

৭. প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্কিলসঃ

  • প্রজেক্ট সিডিউলিং,
  • প্রজেক্ট লাইফ সাইকেল ম্যানেজমেন্ট,
  • এ্যাজাইল সফ্টওয়্যার (Agile Software),
  • পারফরমেন্স ট্র্যাকিং,
  • ফাইন্যান্সিয়াল মডেলিং,
  • স্ক্র্যাম ম্যানেজমেন্ট (Scrum Management) ।

৮. রাইটিং স্কিলসঃ

  • নোট টেকিং,
  • বিজনেস লেটার/এপ্লিকেশন রাইটিং,
  • প্রফেশনাল ইমেইল রাইটিং,
  • বিজনেস রিপোর্ট রাইটিং,
  • প্রেস রিলিজ ড্রাপটিং,
  • স্ক্রিপট এডিটিং,
  • প্রজেক্ট প্রপোজাল ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

৯. ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিলসঃ

  • মাতৃভাষার পাশাপাশি যেকোন একটি বা দুটি ভাষায় পারদর্শীতা কর্মক্ষেত্রে সবসময় একধাপ এগিয়ে রাখে যেকোন প্রফেশনালকে। বাংলা ভাষার সাথে যদি ইংরেজী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা যায় তাহলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। বিশেষ করে বিজনেস কমিউনিকেশন স্কিলস।

১০. ডিজাইন স্কিলসঃ

  • এডোবি ফটোশপ,
  • এডোবি ইলাসট্রেটর,
  • এডোবি আফটার ইফেক্টস
  • ইনডিজাইন
  • ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন (UX/UI Design),
  • ইউএক্স রিসার্চ,
  • ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন,
  • বেসিক এইচটিএমএল (HTML),
  • এ্যাক্রোব্যাট রিডার/এডিটিং,
  • টাইপোগ্রাফী,
  • প্রিন্ট লেআউট ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

১১. ভেন্ডর সাটিফিকেশনঃ বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য বিভিন্ন দক্ষতার উপর ভেন্ডর সার্টিফিকেট প্রোভাইডার আছে যেমন এ্যাডোবি ডিজাইনের জন্য, মাইক্রোসফ্ট, পিএমআই (প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য), বৃটিশ কাউন্সিল (ইংরেজী ভাষার দক্ষতার জন্য) ইত্যাদি। এছাড়া বিশ্ববিখ্যাত অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফরম আছে যা অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃত।

2 Responses

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked*