When there is a will, there is a way

ইচ্ছা পূরন হচ্ছে না কেন?

আমেরিকান সিনেমা সমালোচক পাওলিন ক্যায়েলের বিখ্যাত একটি উক্তি “When there is will, there is way” আমরা সবাই কম বেশী জানি। যার বাংলা অনুবাদ হতে পারে ”ইচ্ছা থাকলে উপায় বের হয়”। আসলে আমরা যা করতে চাই সেটা যদি নিজে বিশ্বাস না করি অথবা আমিই পারবো, এই মনোবল যদি আমার ভেতরে নাড়া না দেয় তাহলে ইচ্ছা থাকলেও উপায় বের হবে না। এটাই স্বাভাবিক প্রথম দিকে খুব কষ্ট হয় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনে এবং অনেক সময় মনোবল বা ধৈর্য ধরে রাখাটা আমাদের জন্য অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। তখন প্রজাপতির মতো এই ফুল থেকে সেই ফুলে উড়ে বেড়াই।

প্রজাপতি এতটাই বিভ্রান্তিকর চরিত্রের যে আমরা বুঝতেই পারি না সে এখন কোন ফুলের উপর গিয়ে বসবে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে প্রজাপতি চরিত্রের মানুষরা বিশ্বাস অর্জনে অনেক বাধার সম্মোখিন হয়। অথবা সহজভাবে বললে বিষয়টি এমন দাড়ায় যে গতকাল আপনাকে একটি কাজ করতে দেখলাম এবং বেশ ভালো লাগলো। আজ চিন্তা করলাম আপনার সাথে দেখা করে সেই কাজের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবো। কাছে গিয়ে দেখি আপনি কাজটিই বন্ধ করে দিয়ে আরেকটি নতুন কাজ শুরু করেছেন। ছোট্ট একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। অনেকদিন ধরেই একটি ছেলেকে আমি ফলো করছিলাম। ওর ক্রিয়েটিভ কাজ বিশেষ করে গ্রাফিক্স সেন্স, ভিজ্যুয়ালাইজেশন, কালার কনসেপ্ট আমাকে মুগ্ধ করতো। একদিন স্বীদ্ধান্ত নিলাম ওকে অফিসে চায়ের দাওয়াত দেবো এবং আমি কিভাবে ওর সাথে কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আলাপ করবো। নম্বর জোগার করে আমি ফোন দিলাম এবং যথারীতি ধাক্কা খেলাম। সে পেশা পরিবর্তন করেছে (কি পেশা বেছে নিয়েছে সেটা আর এখানে নাই বা বলি)। অতএব যেটা দিয়ে শুরু করেছিলাম ”ইচ্ছা থাকলে উপায় বের হয়”, এই ইচ্ছাটিকেই আমাদের গভীরে গিয়ে খুজে বের করতে হবে। আমরা প্রতিদিন যে হারে ফেসবুকের কল্যানে প্রতি মুহুর্তে অনুপ্রানিত হচ্ছি এবং যে হারে আমাদের ইচ্ছার পরিবর্তন ঘটাচ্ছি। সেই একই হারে আমাদের চারপাশের পরিচিতরাও বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের “ইচ্ছার” এই গতিশীল চরিত্রের কারনে ”উপায়ও” খেই হারিয়ে ফেলছে। আপনার “ইচ্ছার” প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ”উপায়” আজ এসে দ্যাখে আপনি গতকালের ইচ্ছাটিই পরিবর্তন করে ফেলেছেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমার ”ইচ্ছার” এই গতিশীল চরিত্র থেকে বের করে স্থির চরিত্রে রুপান্তরিত করবো কিভাবে?

  • প্রায় ১০ বছর আগে আমি জাপানিজ একটি কনসেপ্টের সাথে পরিচিত হই যা এখন প্রায় অনেকেই জানেন ইকিগাই (IKIGAI)। এই কনসেপ্টির ব্যাপারে আপনারা খুব সহজেই গুগল করে বিস্তারিত ধারনা নিতে পারেন। সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায়, যে ইচ্ছাটি আপনাকে স্বাভাবিক ৬/৭ ঘন্টার বেশী ঘুমাতে দেয় না। ব্রেইনের ভেতর সবসময় একটি অটো এলার্ম কাজ করে। ইকিগাই (IKIGAI) কনসেপ্টে চারটি মূল স্তম্ভের কথা বলে (১) “কোন ইচ্ছাটি বেশী ভালোবাসেন”, (২) ” ইচ্ছাটি আপনি নিজে বেশী ভালো পারেন কিনা”, (৩) “সমাজে ইচ্ছাটির চাহিদা আছে কিনা”, (৪) “ইচ্ছাটি আপনাকে উপার্জনে সাহায্য করবে কিনা”। বিশ্বব্যাপী ইকিগাই (IKIGAI) সমাদৃত হয়েছে। তবে এককভাবে বের করতে পারলে তো খুবই ভালো, যদি সমস্যা হয় তাহলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন নিরপেক্ষ মেন্টনশীপের।

  • দু-ধরনের মেন্টরশীপ আমরা দেখতে পাই। পেইড এবং কমপ্লিমেন্টরি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে বেশী জোর দেবো। সম্পর্ক উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে স্বচ্ছতা যা আসলে বিশ্বাস তৈরিতে কাজ করে। ধরুন আপনি একজনকে ফেসবুকে বা লিংকডইনে নক করলেন। যদি তিনি আপনার মেসেজটি দেখেন তাহলে উত্তর দেবার আগে তিনি অবশ্যই আপনার প্রোফাইল ভিজিট করবেন। আপনার প্রোফাইলটি যদি স্বচ্ছ না হয় তাহলে আপনি উত্তর পাবেন না।

  • কয়েক ধরনের চরিত্র আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলে । তবে সবচেয়ে পছন্দনীয় চরিত্র হচ্ছে “DOER” বা যিনি সময়ের অপেক্ষা না করে কাজে নেমে যান, শেখেন এবং প্রয়োগ করেন। Doer কে খুব সহজেই চিনতে পারেন কমপ্লিমেন্টরি মেন্টরশীপ সার্ভিস প্রোভাইডাররা। আপনি Doer কিনা সে বিষয়টিতে তারা খুব সচেতন। মনে রাখতে হবে গঠনহীন সমালোচক বা নেতিবাচক মনোভাবের মানুষকে কেউই পছন্দ করে না। নেতিবাচক কনটেন্টকে লাইক, কমেন্ট বা শেয়ারের বন্যায় ভাসিয়ে দেবে কিন্তু আসল কাজে হাত বাড়াবে না। নিজের অজান্তেই আমরা আমাদের সোস্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলটিতে গঠনহীন সমালোচক বা নেতিবাচক মনোভাবের তকমা লাগিয়ে দেই।

  • ইংরেজীতে একটি কথা আছে “A Goal without Plan is just a Wish (পরিকল্পনা ছাড়া লক্ষ্য কেবল একটি ইচ্ছা”)। এই কথাটি থেকে আমরা বুঝতে পারছি ইকিগাই (IKIGAI) এর মাধ্যমে নির্ধারিত ইচ্ছাকে মেন্টরশীপের মাধ্যমে লক্ষ্যতে রুপান্তর করতে হবে।

  • এখন অনেক ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে মেন্টর পাওয়া যায় না। তখন কি করবো? অবজার্ভ শব্দটি এখানে প্রযোজ্য হবে তখন। প্রচুর রিসার্চ করতে হবে। প্রচুর প্রশ্ন করতে হবে গুগলকে এবং ইউটিউভকে। দেশে বা বিদেশে বিখ্যাত মানুষেরা কিভাবে তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন তার পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করার সময় অবশ্যই কাগজ ও কলম সাথে রেখে সংগে সংগে লিখে ফেলতে হবে। তারপর স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছকের মাধ্যমে তৈরি করতে হবে। “আজ না কাল করবো” নামক ব্যাধী থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে।

  • পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাদের বা কোন প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্য আপনার লাগবে তারও একটি তালিকা আপনার করতে হবে। তারপর শুরু হবে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ। সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য অবশ্যই নির্ধারন করতে হবে ”উইন-উইন কৌশল”। প্রচুর পরিমানে ফিজিক্যাল এবং ভার্চুয়াল উপস্থিতি বাড়াতে হবে। অতএব যত বেশী পারা যায় বিভিন্ন ইভেন্টে (ফিজিক্যাল এবং ভার্চুয়াল) অংশগ্রহন করতে হবে (যদি মজা করে বলি তাহলে বলবো আমন্ত্রন না জানালে, আমন্ত্রন চেয়ে নিতে হবে)। হিংসা বা অহংকার নামক ভাইরাস থেকে নিজেকে দুরে রাখতে হবে।

মনে রাখতে হবে ইচ্ছা থাকলে উপায় বের হবেই। অতএব নিজের ক্ষুদা প্রথমে নিজেকে মেটাবার চেষ্টা করতে হবে, তারপর মানুষ আপনার ইচ্ছাশক্তি দেখে সামনে এগিয়ে আসবে নিজেদের প্রয়োজনেই। একটি প্রশ্ন রেখে শেষ করছি “আপনার ইকিগাই (IKIGAI) কি আগামী এক মাসের মধ্যে সম্ভব হবে”?

DSC_0049 (1) (1)

কর্মক্ষেত্রের শেষ কর্মদিবস-কেমন হওয়া উচিত?

আমার স্কুল জীবনের ইংরেজীর একজন শিক্ষক আমাকে সবসময় বলতেন “মনে রাখবি শেষ ভলো যার সব ভলো তার”। তিনি মনে করিয়ে দিতেন ক্লাশ চেষ্ট বা সেমি ফাইনাল পরীক্ষায় যতই ভালো ফলাফল করি না কেন, ফাইনাল পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতেই হবে। আমি যেন ভালো নম্বর পাই তাই প্রায়ই সন্ধার দিকে আমার বাসায় পর্যন্তু চলে আসতেন। স্কুল জীবনে ক্রিকেটের প্রতি ছিল ভীষন ঝোক, একটা সময় সারাদিন মাঠে পড়ে থাকতাম। কি রোদ আর ছায়া, গরম অথবা ঠান্ডা, ক্লাবের মাঠে সব সময় প্রাকটিস। কোচ বলতেন প্রাকটিসে যতই ছক্কা মারো না কেন, ম্যাচের দিন ভালো না করলে কোন লাভ নাই। তাই অবহেলা না করে মন দিয়ে প্রাকটিস করো। পড়াশুনা শেষ করে যখন কর্মজীবন শুরু করলাম তখন বস বলেন অফিসে সহকর্মীরা যতোই আপনাকে ভালো বলুক না কেন, দিন শেষে রেজাল্ট দেখাতে না পারলে কোন লাভ নাই। জীবনে প্রতিক্ষেত্রে একটিই প্রবাদের সাথে আমার বার বার দেখা হয়েছে আর সেটি হলো “শেষ ভালো যার সব ভলো তার”।

আজকে অন্যভাবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছি এই প্রবাদটিকে। কর্মজীবনে এর গুরুত্বও আমি টের পেয়েছি। চাকরিজীবী মানেই হলো আপনি কোন একটি বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষ এবং যোগ্য হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বললাম এই কারনে যে, কোন একটি প্রতিষ্ঠানে একবছর কাজ করার পর আর একটু ভালো বেতন বা সুযোগ সুবিধার জন্য আপনি কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করবেন এবং এটাই স্বাভাবিক। আমি এতে দোষের কিছু দেখি না। তবে অভিজ্ঞদের মতে যারা বছর বছর কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করে, তারা ক্যারিয়ারের মাঝ পথে এসে হঠাৎই হোচট খেতে পারেন।

যাই হোক কেন বলছি এসব কথা? তার একটি কারন আছে। প্রায় ১৮ বছর হলো কাজ করছি। এই ১৮ বছরে বহু মানুষের সাথে কাজ করেছি এবং করছি। এই মানুষগুলোর সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে বলেই বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতায় নিজের ক্যারিয়ারকে সাজাতে পেরেছি। একটি ঘটনা উল্লেখ করতে চাই যেটা পড়ার পর হয়তো বুঝাতে সক্ষম হতে পারি কেন শুরু করেছি “শেষ ভালো যার সব ভলো তার” প্রবাদটি দিয়ে।

রাসেল (ছদ্মনাম) নামে আমার এক সহকর্মী আমার সাথে ২০০৯ সালের দিকে কাজ করেছে। প্রথম দিন থেকেই ও সবার মন জয় করে নিয়েছিল। ওর ভেতর একধরনের আগুন ছিল অনেকটা রকেটের মতো। রকেট যেমন নিচ থেকে আগুনের চাপে উপরের দিকে ধাবিত হয় যাকে ইংরেজীতে Thrust বলে ঠিক সেরকম। যেকোন ‍এ্যাসাইনমেন্ট সময়তো শেষ করেই তারপর ক্ষান্ত হতো। ওর যে গুনগুলো আমাকে মোহিত করত যেমনঃ

  • সময়ের সদ্বব্যবহার করা
  • যেকোন মূল্যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা
  • সাহস এবং উদ্দ্যম নিয়ে পেছনে না ফিরে সামনের দিকে এগিয়ে চলা
  • কৌতুহলী মনোভাব পোষন করে সুযোগকে নিজের মতো করে তৈরী করে নেয়া
  • আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা ‍দিয়ে সকলের মন জয় করা
  • সকলের সাথে মিলে কাজ সম্পন্ন করা
  • প্রত্যেকের মনোভাব, মতামত এবং মানসিকতাকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া
  • নিজের পজিটিভ আচার আচরনের ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকা
  • কখনও নিজের নৈতিকতাকে বিষর্জন না দেয়া
  • কাজের ব্যাপারে সবসময় নিষ্ঠাবান থাকা
  • নতুন সম্পর্ক তৈরীর সাথে সাথে পুরানো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা
  • যথাযথভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।

একসাথে অনেকদিন কাজ করেছি এবং অনেক কাজ সহজেই প্রত্যাশা অনুযায়ী উঠিয়ে নিয়ে এসেছি এবং এভাবে চলতে লাগলো অনেকদিন। তারপর একদিন এসে আমার কাছে বললো স্যার আমি নিজেকে নিয়ে আর একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই। সেলস এন্ড মার্কেটিংয়েই থাকবো তবে সেক্টরটা পরিবর্তন করতে চাই। আমি আপনার কাছে অনুমতি চাইছি। আমরা দুজনে মিলে টাইম ফ্রেম নির্ধারন করলাম এবং ওর হাতে যে দায়িত্বগুলো ছিল সেগুলো কিভাবে সম্পন্ন হবে তারও একটা পথ বের করলাম। অবাক করার ব্যাপার হলো যে মাসটি ওর জন্য আমাদের কর্মক্ষেত্রে শেষ মাস ছিল সে মাসেই ওর সেলস এ্যাচিভমেন্ট অন্য মাসের চেয়েও বেশী ছিল। আমাদের প্রতিষ্ঠানে শেষ দিন পর্যন্তু সে প্রথম দিনের মতোই কাজ করে গেছে।

উপরের যে ঘটনাটি উল্লেখ করলাম তা সাধারনত খুব একটা দেখা যায় না। একটি কাজে থাকা অবস্থায় নতুন আরেকটি কাজের সন্ধান পেলে বর্তমান কাজের কথা আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুলে যাই। হবু নিয়োগকর্তাকে খুশি রাখতে গিয়ে বর্তমান নিয়োগকর্তাকে ভুলেই যাই। তখন আর আমাদের মনেই থাকে না যে আমার বর্তমান কর্মক্ষেত্রের শেষ কর্মদিবস আমার ক্যারিয়ারের জন্য কতবেশী গুরুত্ব বহন করে। শেষ ভালো যার সব ভালো তার, শেষ মাসকে যদি সেরা মাস বানাতে পারি তাহলে নতুন কর্মক্ষেত্রে গিয়েও পুরানো কর্মক্ষেত্রের পূর্ন সমর্থন আমরা আশা করতে পারি। আর যাদি মনে করি নতুন কর্মক্ষেত্র, নতুন বেতন, নতুন সহকর্মী, নতুন পরিবেশ আর তার চিন্তায় যদি বর্তমান দিনকে অবহেলা করি তাহলে আমার জন্য ”আমও গেল, ছালাও গেল” প্রবাদটি অবধারিতভাবে সত্য হয়ে যাবে। ধরুন আপনি বর্তমান কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আরেকটি সুযোগ পেয়ে গেলেন, তখন আপনার কি করা উচিত হবে?

  • আপনার বসের কাছে গিয়ে সরাসরি ব্যাখ্যা করুন
  • আপনার উপর যে অর্পিত দায়িত্ব আছে সেগুলোর সমন্বয় কিভাবে করবেন তার পরিকল্পনা করুন
  • যাকে আপনি আপনার দায়িত্বগুলো বুঝিয়ে দেবেন তার সাথে বসে পরিকল্পনা করুন
  • সবগুলো অবশিষ্ট কাজ একটি এক্সেল শিটে ফেলে ট্র্যক করুন
  • দলের প্রত্যেকের কাছ থেকে জেনে নিন কারো কোন কাজের সাথে আপনি সংযুক্ত আছে কিনা
  • এডমিন এবং একাউন্টসের সাথে পৃথকভাবে বসুন এবং তাদের কাছ থেকেও আনঅফিসিয়ালী ছাড়পত্র নিন।
  • নতুন কর্মক্ষেত্রে যাবার আগে অবশ্যই আপনার বর্তমান কর্মক্ষেত্রের নিয়মগুলো জেনে নিন। অনেক সময় এমন হয় যে আপনি নতুন নিয়োগকর্তাকে বললেন আপনি যেকোন সময় যোগ দিতে পারবেন কিন্তু আপনার বর্তমান কর্মক্ষেত্রের নিয়মে সেটা উল্লেখ নেই। তখন আপনি বিপদে পড়তে পারেন। আবার নতুন নিয়োগকর্তাও বুঝে যাবে নৈতিকতার জায়গায় আপনি নড়বড়ে।

আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে মানুষের জীবনের সফলতার জন্য প্রয়োজন টেকসই সম্পর্ক যা তার সপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করে। আমরা জানি না বা কখনো আগাম বলে দিতেও পারি না কোন সুসম্পর্ক কোন সময় আমার কাজে আসবে। কিন্তু এ কথা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আমার সাফল্য অর্জন এবং সেটা ধরে রাখার জন্য আমি একাই যথেষ্ট না। আমারও সহযোগীতার প্রয়োজন আছে। তাই আমি মনে করি এই মুহুর্তে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন তারা আপ্রান চেষ্টা করুন যেকোনভাবেই হোক একটা ইন্টার্নশীপ বা ভলেটিয়ারী কাজ যোগার করবার জন্য। যদি বিনা পয়সায় করতে হয় তাহলেও পিছ পা হবেন না এবং ঐ কর্মক্ষেত্রের শেষ কর্মদিবস পর্যন্তু আপনার সেরাটি দিয়ে যাবেন। দেখবেন ঐ শেষ দিনের সেরা কাজটিই আপনাকে ভবিষ্যতে কোন না কোনভাবে সাহায্য করবে।

81770049_10213491954411769_569399357917364224_o (1)

ট্রেনিং সেশনে লেকচার বেশী হয় নাকি কাজ?

ট্রেনিং সেশনে লেকচার বেশী হয় নাকি কাজ? এমন একটি সাধারন সার্ভে অনলাইনে করেছিলাম। যেখানে ৫২ শতাংশ মানুষ বলেছে লেকচার নাকি এখনও বেশী হয় বিভিন্ন সেশনে। ৪৮ শতাংশ মানুষ বলেছে তাদের ক্লাসে কাজ বেশী হয়। কর্মদক্ষতা বাড়াবার জন্য আমরা প্রশিক্ষণের আয়োজন করি কিন্তু আমরা ভুলে যাই কর্মদক্ষতা কথায় নয় কাজের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়। আশার কথা হচ্ছে এখন বাংলাদেশের মানুষ কথা বলতে পারে, যেকোন বিষয় কথা দিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারে। ৬ বছরের এক শিশুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তুমি কি জানো, সে ইংরেজীতে আমাকে বলে “Practice Makes Everything Better”. বাচ্চাটা জানে অনুশীলনের গুরুত্ব, এখন ওঁকে বোঝাতে হবে সঠিকভাবে অনুশীলন করার পদ্ধতি যেটা কথায় নয় কাজের মাধ্যমে করে দেখাতে হবে। বুঝাতে হবে Benjamin Franklin এর সেই বিখ্যাত চারটি লাইন:

  • I Hear I Forget
  • I See I Remember
  • I Do I can Understand
  • I Practice I become Master

আর এটাকেই বলা হচ্ছে Inclusive Learning. আমি ৮ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার TAFE (Technical & Further Education) এ যখন গিয়েছিলাম Inclusive Learning এর উপর প্রশিক্ষণ নিতে। তখনও জানতাম না এটার গুরুত্ব কতোটুকু। প্রশিক্ষণ শেষে নিশ্চিত হলাম কেন অস্ট্রেলিয়ার একজন গাড়ী চালক সমগ্র পৃথিবীতে গাড়ী চালাবার যোগ্যতা রাখে এবং তাকে নতুন করে আবার প্রশিক্ষন নিতে হয় না। সহজ কথায় Inclusive Learning হচ্ছে শুধুই জ্ঞান (Knowledge) নয়, কর্মদক্ষতা (Competency) নিশ্চিত করার মাধ্যমে যোগ্য কর্মী হিসেবে তোলা। পাশপাশি এটাও নির্ধারন করে দেওয়া যে তার অর্জিত জ্ঞান (Knowledge) এবং কর্মদক্ষতা (Competency) আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত হচ্ছে। এই কাজটি অবশ্য শিক্ষামন্ত্রনালয়কে করতে হবে এবং আশার কথা হচ্ছে ইতিমধ্যেই জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃপক্ষ কাজটি শুরু করেছেন।

পরিশেষে বলবো আমাদের সবার ট্রেনিং সেশনে প্রয়োজন #MALT_System (More Activities Leas Talk) চালু করা এবং অনুশীলন করা। তাহলেই আমরা জ্ঞান (Knowledge) এবং কর্মদক্ষতা (Competency) নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো।

 

কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই)

Untitled (4)

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা চারটি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে

বছর আসে বছর যায়। এটাই সৃষ্টির শুরু থেকে হয়ে আসছে এবং হতে থাকবে। জীবন থেকে ৩৬৫ দিন নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। আর এই তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের যুগে এখন তো সময় যেন আমাদের সাথে মাইকেল বোল্টেকে অনুকরণ করে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দৌড় প্রতিযোগীতায় নেমেছে। ২০১২ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস এ অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি। মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে ৩ ঘন্টার যাত্রা বিরতি হলো। দুই ঘন্টার মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে বসে আছি। সময় আর কাটে না। তার ঠিক ৭ বছর পর কেপটাউন থেকে বাংলাদেশে ফিরবো, মাঝখানে দোহা এয়ারপোর্টে ৯ ঘন্টার যাত্রা বিরতি। দুই ঘন্টার মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে এয়ারপোর্টের ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে কাজ করা শুরু করলাম। হঠাৎ শুনলাম ফ্লাইটের এনাউন্সমেন্ট। মনে হলো মুহুর্তের মধ্যে ৯ ঘন্টা কেটে গেছে।  এই হলো বর্তমানের সময়ের গতি।

এখন চাইলেই সময় নষ্ট করা যায় কিন্তু চাইলেই সময়ের সদ্বব্যবহার করা যায় না। সময়ের সদ্বব্যবহারের জন্য চাই সময়ের পরিকল্পিত ব্যবহার। না হলে প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের রাতে আমরা একটি বছর কে বিদায় দিয়ে নতুন আর একটি বছর কে আমন্ত্রণ জানাবো। আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারনা প্রায় কাজ করে আর সেটি হলো আমরা মনে করি নতুন বছর মনে হয় আমাদের চাহিদাকে আপনা আপনি ঠিক করে দেবে। আমরা মনে মনে প্ল্যান করি, অনেক পরিকল্পনা করি কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে অবহেলা করি। সাধারনত পুরানো বছরের শেষের দিকে আমাদের অবকাশ যাপন শুরু হয়, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মজা, শুভেচ্ছা বিনিময় করতে করতেই নতুন বছরের প্রথম মাসের অর্ধেকটা কেটে যায়। আর সেই সাথে সোস্যাল মিডিয়ার প্রভাবতো আছেই।  আমাদের পরিকল্পনা কল্পনাতেই রয়ে যায়।  বিশেষজ্ঞরা বলেন ক্যারিয়ার প্ল্যান বছরের শুরুতেই করা উচিত যার জন্য প্রয়োজন সচেতন এবং খোলা মন।

বর্তমানে আমরা একটু এগিয়ে আছি কারন আমরা এমন এক সময় অবস্থান করছি যখন আমাদের যেকোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সাথে সহায়ক ভুমিকা পালনের জন্য আছে প্রযুক্তি।  মানুষ চাইলেই সব পারে কিন্তু সমস্যা হলো আমরা জানিই না আমি কি চাই, আমার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য কি, বাস্তবায়নের জন্য কি কি দরকার এবং কাদেরকে দরকার। মানুষের ধর্ম হলো চাপে না পড়লে কিছুই করতে পারে না। যদিও এর মধ্যেও ব্যাতিক্রম আছে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভেতর থেকে শক্তি উৎপন্নের জন্য প্রয়োজন একটা ধাক্কা। প্রত্যেকের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করার সময় চারটি প্রশ্ন করা অত্যন্ত জরুরী। যে চারটি প্রশ্ন তিনি নিজে নিজেকে করবেন এবং উত্তর বের করার চেষ্টা করবেন। অনেক সময় মেন্টরের সহায়তায় উত্তর বের করা যেতে পারে তবে সঠিক মেন্টর খুজে বের করতে না পারলে আবার হীতে বিপরীত হতে পারে। প্রশ্ন চারটি হচ্ছেঃ

  • ক্যারিয়ারে ব্যস্ত এবং সুখী হবার জন্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কি হতে হবে বলে আপনি মনে করছেন? প্রথম প্রশ্নটি একটু জটিল এবং চিন্তা করে বের করার মতো। অনেকে আবার বলেন চাইতে তো সমস্যা নেই এবং চাইবোই যখন তখন কোন বাছ বিচার করবো না। তবে এতটুকু মনে রাখতে হবে ক্যারিয়ারে ব্যস্ত এবং সুখী করতে পারে এমন জিনিস কামনা করাই শ্রেয়। তবে এই প্রশ্নটির উত্তর বের করতে হলে সবার আগে নিজেকে জনতে হবে এবং তার জন্য প্রয়োজন আত্মমূল্যায়ন এবং গবেষণা ।

 

  • শীর্ষ তিনটি লক্ষ্য কি আপনি নির্ধারন করতে পারেনউপরের চাহিদাগুলো আপনার ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত করতে কোন তিনটি শীর্ষ লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যকে আপনার বাস্তবায়ন করতে হবে। তার একটা কর্মপরিকল্পনা বের করতে হবে।

 

  • নির্ধারিত লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়ন বা অর্জনের জন্য কী ধরণের শিক্ষা বা উপকরন আপনার প্রয়োজনআপনার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করতে আপনার কি কোন ধরনের শিক্ষা বা প্রশিক্ষনের প্রয়োজন আছে কিনা। বা কোন মেন্টর বা পরামর্শদাতার প্রয়োজন পড়বে কিনা, সেটা নির্ধারন করাটা অত্যন্ত জরুরী।

 

  • লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে, আপনার কী নতুন কোন সম্পর্ক স্থাপন করা প্রয়োজন? এক্ষেত্রে আপনি একটি ছক তৈরি করে কোন কোন মানুষের সাহায্য বা সহযোগীতা আপনার প্রয়োজন তার একটি তালিকা আপনি করে নিতে পারেন। আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার বা কাদের সহযোগীতায় আপনি করবেন বা এমন কে বা কারা আছেন যারা আপনাকে পেশা ভিত্তিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন। অথবা খুজে বের করা এমন কারা আছেন যারা আপনাকে সাহায্য করবেন সেখানে যেতে যেখানে আপনি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পৌছতে চাচ্ছেন।

 

প্রশ্নগুলো অত্যন্ত সাধারন এবং অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যেই আপনাকে বলেছেন কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি এখনও সময় নিয়ে যথাযথভাবে পরিকল্পনা করা এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সময় বের করতে পারেননি। ধরে নিন ২০২০ সাল আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর এবং এখন থেকেই কাজ করতে হবে যেন ২০২৫ এর মধ্যে আপনি সেই জিনিসগুলো আপনার ক্যারিয়ারে সংযুক্ত করবেন যেগুলো আপনাকে ব্যস্ত এবং সুখী করতে পারবে। মনে রাখবেন আপনি যখন এই লেখাটি পড়ছেন ততোক্ষনে ২০২০ সাল চলমান এবং অচিরেই চলে আসবে আরেকটি ৩১ ডিসেম্বর। তাই উত্তর বের করুন, কাজ করুন, লেগে থাকুন, সাফল্য আসবেই। আর সবসময় মনে রাখতে হবে অনুশীলনে সবই সম্ভব।

ক্যারিয়ারে যেকোন সহযোগীতার প্রয়োজন হলে মনে রাখবে আপনার পাশে আছে আপনাদের ভাই কে এম হাসান রিপন এবং তার কর্মস্থল বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই)। কোন ধরনের সংকোচবোধ না করে আমাদের ফোন করুন (+৮৮ ০১৭১৩৪৯৩২৪৩) অথবা ইমেইল করুন ([email protected]). 

Presentation2

অনুশীলনে সবই সম্ভব

Practice Makes Everything Perfect

মানুষ হিসাবে আমরা সব সময় নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে থাকতে পছন্দ করি। ভিন্ন ভিন্ন দক্ষতা আমার ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত হবে এটাই আমার সব সময়ের কাম্য। কিন্তু বাস্তবতা হলো নতুন কিছু শেখা বড়ই কঠিন, বিশেষত শুরুতে যখন আমরা শিখতে আরম্ভ করি এবং বার বার ভুল করি, তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা ভুলের কথা মনে করে মাঝ পথে ছেড়ে চলে আসি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, নতুন কিছু শেখার একমাত্র উপায় হলো নিরলশ অনুশীলন, বার বার ভুল করা এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকা যে একই ভুল পুনরাবৃত্তি না করা।

কানাডিয়ান সাংবাদিক, লেখক ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল তার বিখ্যাত বই আউটলিয়ারস এ বলেছেন ”কোন একটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে প্রয়োজন দশ হাজার (১০,০০০) ঘন্টার অনুশীলন”। আরও একধাপ বাস্তববাদী হয়ে লেখক জোশ কাউফম্যান তার বই  দ্য পার্সোনাল এমবিএ-তে উল্লেখ করেছেন “কিছুই পারি না থেকে মোটামুটি পারি” পর্যন্তু আসতে প্রয়োজন প্রায় ২০ ঘন্টার অনুশীলন – যা প্রতিদিন ৪৫ মিনিট করে এক মাসের নিয়মিত অনুশীলন।

সুতরাং কোন একটি বিষয়ে আমি “মোটামুটি ভালো” বা “বিশেষজ্ঞ” যেটাই হতে চাই না কেন তার জন্য আমার প্রয়োজন হবে অনুশীলনের। বিভিন্ন গবেষনা বলছে অনুশীলন তাদের জন্যও অত্যন্ত কঠিন এবং প্ররিশ্রমের যারা ইতিমধ্যে কোন একটি বিষয়ে উচ্চ দক্ষতা অর্জন করেছেন এবং নতুন আরেকটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চাচ্ছেন। আর একারনেই সম্ভবত অভিজ্ঞদের মধ্যে অনেকেরই নতুন কোন দক্ষতা অর্জনে কিছুটা অনিহা কাজ করে। তারা মনে করেন কোন বিষয়ে সক্ষমতা অর্জনের জন্য পড়া এবং আলোচনাই যথেষ্ট। আমাদের শিক্ষা পদ্ধতির দিকে তাকালেই আমরা এর ছাপ খুব ভালোভাবেই দেখতে পাই। ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রী প্রদান করা হচ্ছে কে কত ভালোভাবে মুখস্ত করেছে তার উপর ভিত্তি করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এটা সবাই একবাক্যে স্বীকার করছেন যে পড়া এবং আলোচনার পাশাপাশি হাতেকলমে শেখা এবং সেটা বার বার অনুশীলন না করলে দক্ষতা কখনই সম্ভব নয়। তাই দক্ষতা বিকাশ অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই মনে পড়ে আমার সাইকেল চালানো শেখার কথা। মাত্র তিন বছর আগে সাইকেল চালানো শিখেছি। ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল সাইকেল চালানোর। সেজন্য সাইকেল বিষয়ে অনেক পড়েছি, কি কি ধরনের সাইকেল আছে, সাইকেলের ওয়ার্ল্ড রেসিং, সাইকেলের বিভিন্ন পার্টস এমনকি বন্ধুদের আড্ডায় সাইকেল বিষয়ে কতো আলোচনা শুনেছি কিন্তু কোনদিন সাইকেলের উপর উঠে চালানোর সাহস করিনি। তিনবছর আগে আমার এক বন্ধুকে বলার পর ও বললো কোন ব্যাপার না মাত্র দুই ঘন্টায় তুই সাইকেল চালাবি। পরবর্তী দিন আমার বন্ধু তার সাইকেল নিয়ে আসলো এবং শুরু হলো প্রশিক্ষন। ১০ বছর বয়সে যেটা করার কথা সেটা করলাম অনেক বছর পর এসে। যেহেতু সাইকেল নিয়ে আমার আগেই ধারনা ছিল এবং আমার বন্ধুর সুদক্ষ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সত্যি সত্যিই আমি চার ঘন্টার মাথায় সম্পূর্ন একা সাইকেল চালালাম। তারপর সাতদিন আর সাইকেল বের করিনি ভয়ে। হঠাৎ একদিন মনে হলো আজ একাই সাইকেল বের করে চালাবো। প্রচন্ড ভয় নিয়ে বের করলাম এবং আস্তে আস্তে চালালাম। ৩০ দিনের ব্যবধানে একদম পাকা সাইকেল চালক হয়ে গেলাম এবং অনায়াসে দ্রুতগতিতে চলতে থাকা রিকশার সাথে নিজে নিজে প্রতিযোগিতা করে জিতেও গেলাম। আহ! কি সুখ!

সাধারণত জন্মগতভাবেই আমাদের একটি গুন আছে যে কোন একটি বিষয় মন দিয়ে পড়লে এবং বন্ধুদের সাথে আলাপ করলেই সে বিষয়ের একটি স্পষ্ট ধারণা আমরা দ্রুত উপলব্ধি করতে পারি। কিন্তু ভুল হয় তখন, যখন আমরা মনে করি যে হয়তো আমি এখন বাস্তবে সেটা প্রয়োগ করতে পারবো এবং সেটা করতে গিয়েই আমাদের ভুল ভেঙে যায়। আসলে জ্ঞান এবং দক্ষতা কখনই এক জিনিস নয়। বাস্তবতা হ’ল কোন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জনের পর হাতে-কলমে করে সেটা বার বার অনুশীলন করতে হবে, তারপর সেই দক্ষতা প্রয়োগ করার মাধ্যমে বন্ধু বা অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে মতামত খোলা মনে গ্রহন করতে হবে।  অভিজ্ঞদের মতামত অনুসারে তা পরিমার্জন বা পরিবর্ধন করে আবার নিরলশ অনুশীলন করতে হবে যা ২০ থেকে ১০,০০০ ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে।

আমি আবারও স্বীকার করছি এটি করা কঠিন তবে অসম্ভব নয়। শুধু দরকার উন্নত মানসিকতা। কেননা একমাত্র উন্নত মানসিকতাই আমাদেরকে ‘না’ কে ‘হ্যা তে রুপান্তর করতে শেখায়। নতুন কিছু শেখার অর্থ হলো প্রাথমিকভাবে নিজেকে একদম আনাড়ি ভাবা, প্রয়োগের মাধ্যমে ভুল করা, মতামত নিয়ে সংশোধন করা এবং বার বার চেষ্টা করা। নিঃসন্দেহে এতগুলো ধাপ অনুসরণ করা অস্বস্তিকর। যদিও আমরা জানি, যেই দক্ষতাকে আমি আমার ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত করতে চাচ্ছি সেটা অত্যন্ত মূল্যবান, তবুও ২০ থেকে ১০,০০০ ঘন্টার কথা মনে হলেই চেষ্টা করা বন্ধ করে দেই এবং পুরানো অভ্যাসে ফিরে আসি। অনুশীলনের গুরুত্ব আমরা সবাই জানি কিন্তু প্রশ্ন হলো কীভাবে আমরা এটিকে সম্ভব করতে পারি? এই বিষয়ে বিষেজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তা নীচে তুলে ধরলামঃ

  • নিজেকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করতে হবেঃ নতুন কিছু শেখা এবং দক্ষতা অর্জন করা মানেই হলো অনেক পরিশ্রম করা, এটিকে মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে এবং শেখাটা যে কঠিন হবে সে বিষয়ে নিজের কাছে সৎ থাকতে হবে বিশেষ করে যখন আমি নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকি।
  • নিজের সীমাবদ্ধ অনুধাবন করতে হবেঃ আমরা চাইলেই সবকিছুতে একেবারে দক্ষ হতে পারবো না। এটাই বাস্তবতা। তাই যে বিষয়ে আমি দক্ষ হতে চাচ্ছি সে বিষয়ে নিজেকে বার বার অনুশীলনের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে। যখন বুঝবো যে আমি ভালোভাবেই দক্ষতা অর্জন করেছি তখন নতুন আরেকটি বিষয় নিয়ে অনুশীলন শুরু করবো।
  • সময়ের প্রতি যত্নবান হতে হবেঃ অনুশীলনের জন্য প্রতিদিন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। অনেকে ক্যালেন্ডারে  সময় ব্লক করে রাখেন বা আরো অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেন যার অর্থ হলো নিজের এবং সময়ের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা। মনে করতে হবে এটি একটি প্রজেক্ট এবং আমি তার প্রধান হিসেবে কাজ করছি।
  • সাথে কাউকে পেলে মন্দ হয় নাঃ অনুশীলনের জন্য একে অপরকে দায়বদ্ধ রাখতে সহপাঠিদের বা সহকর্মীদের সাথে কাজ করলে দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

সবশেষে বলতে ইচ্ছে করছে আমার সেই প্রিয় ট্যাগলাইন অনুশীলনে_সবই_সম্ভব। মাত্র তিনটি শব্দ কিন্তু মন থেকে অনুধাবন করার চেষ্টা করলে দেখবো এর গভীরতা বিশাল। আসলে এটি বিশ্বাস করার ব্যাপার। আর কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর। আসুন আজ থেকেই আমরা আবার বিশ্বাস করি কঠিন বা অস্বস্তিকর হলেও এটা সত্যি ”অনুশীলনে_সবই_সম্ভবশেষ করতে চাই একটি প্রশ্নের মাধ্যমে আপনি এখন কোন নতুন দক্ষতা অনুশীলন করার কথা ভাবছেন?

উত্তরটি কমেন্টে লিখে পাঠিয়ে দিন। আর যদি আপনার এই দক্ষতা অর্জনে আমি বা আমাদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট কোন কাজে আসতে পারি তাহলে নিশ্চিন্তে আমাদের লিখে বা ফোন করে জানাতে পারেন নীচের দেয়া তথ্যে: ad@bsdi-bd,org বা +৮৮ ০১৭১৩ ৪৯৩ ২০৬

Learn How Perfect Practice Makes Perfect

 



n-education-a-20170615-870x569

জাপান হঠাৎ করেই আজকের উন্নত জাপান হয়নি! জেনে নিন

(১) জাপানের স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন তাদের শিক্ষকদের সাথে অন্তত ১৫ মিনিট ধরে তাদের স্কুল পরিষ্কারে সহায়তা করে। যা তাদের একটি পরিচ্ছন্ন জাতি হিসেবে চিহ্নিত ও প্রতিষ্ঠিত করে।

(২) জাপানে আবর্জনা ক্লিনারদের হেলথ ইঞ্জিনিয়ার বলে, তারা ৫০০০-৮০০০ ডলার মাসিক বেতন পায়।

(৩) জাপানীরা রাস্তায় ময়লা ফেলে না, তাদের ধূমপায়ীরা ব্যাগে করে ছাইদানি নিয়ে ঘুরে, জাপানের রাস্তায় যে সিগারেটের ছাই পর্যন্ত ফেলা নিষিদ্ধ!

(৪) জাপানের কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই এবং প্রতি বছর শত শত ভূমিকম্প হয় তবু তারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।

(৫) হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্র কতৃক পারমানবিক বোমা হামলার মাত্র ১০ বছরের মাথায় হিরোশিমা তার আগের অবস্থানে ফিরে আসে।

(৬) জাপানে রেস্টুরেন্ট ও ট্রেনে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ।

(৭) জাপানে শিক্ষাজীবনের প্রথম ৬ বছর শেখানো হয় নৈতিকতা ও আচার-ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয় যাতে কিভাবে মানুষের সাথে আচার-ব্যবহার করতে হবে তা শিক্ষার্থীরা জানতে পারে।

(৮) বিশ্বের একটি ধনী দেশ হয়েও তারা ঘরে কোন কাজের মানুষ রাখেনা। সকল কাজের দায়িত্ব মা, বাবাকে নিতে হয় আর সহযোগিতা করে ছেলে-মেয়েরা।

(৯) জাপানে শিক্ষাজীবনের প্রথম ৩ বছর কোন পরীক্ষা হয়না। কারণ তারা মনে করে লেখাপড়া চরিত্র গঠনের জন্য, পরীক্ষা নেয়ার জন্য নয়।

(১০) জাপানিরা খাবার অপচয় করে না, রেস্টুরেন্টে গেলে দেখবেন। মানুষ যার যতটুকু দরকার এর বেশি নেয় না ও খায় না।

(১১) জাপানের ট্রেন দেরি করে আসার গড় সময় বছরে ৭ সেকেন্ড! তারা প্রতিটা সেকেন্ডের হিসেব করে চলে।

(১২) জাপানে শিক্ষার্থীদের খাওয়ার জন্য আধ ঘন্টা বিরতি দেয়া হয় যা সঠিক হজমের জন্য প্রয়োজনীয়। কারণ তারা ছাত্র-ছাত্রীদের জাতির ভবিষ্যত মনে করে থাকে।

(১৩) দীর্ঘজীবী মানুষের তালিকায় জাপানের অবস্থান তৃতীয়। গড়ে প্রায় ৮৩ বছর বাঁচে জাপানিরা।

(১৪) জাপানিদের আত্মসম্মানবোধ খুব বেশি। সম্মানের খাতিরে জীবন বিলিয়ে দেওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে দেশটিতে। জাপানের বেশ কয়জন প্রধানমন্ত্রী অল্প কয়টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, কথা দিয়ে সে কথা রক্ষার ব্যাপারে তারা এতটাই কঠোর।

(১৫) টাইটানিক জাহাজডুবি থেকে যে কয়জন জাপানি বেঁচে ফিরে আসতে পেরেছিলেন, দেশে ফিরে তাদের প্রবল জনরোষের সম্মুখীন হতে হয়। “সহযাত্রীদের বাঁচাতে যদি নাই পারলে, তবে তাদের সাথেই প্রাণ কেন দিলে না!” এই ছিলো জনতার আক্ষেপ!

(১৬) নির্ধারিত সময়ের পরও কাজ করার জন্য “ওভারটাইম” নামে একটি শব্দ প্রচলিত দুনিয়া জুড়ে রয়েছে, শুধুমাত্র জাপানে এই শব্দটির কোন অর্থ নেই। জাপানিরা স্বভাবগতভাবেই অফিসের সময় শেষ হওয়ার পরও দীর্ঘ সময় পড়ে থাকে কাজ নিয়ে। ঊর্ধতন কর্মকর্তার আগে অফিস ত্যাগ করার কথা কল্পনাতেও ভাবতে পারে না তারা, যত জরুরী তাড়াই থাকুক না কেন ঘরে ফেরার।

(১৭) সাধারণত আমাদের দেশে অফিসে ঘুমানো খুবই খারাপ হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু জাপান এর সম্পূর্ণ উল্টো! জাপানে অফিসে ঘুমালে ভাবা হয় ঘুমন্ত ব্যক্তির ওপর কাজের প্রচুর চাপ ছিল। তখন বসের সামনে তার ভাবমূর্তি খারাপ না হয়ে আরও ভালো হয়!

(১৮) অনেক সময় সমস্যা মোকাবিলায় বা দুশ্চিন্তায় আরামের জন্য একক বিছানায় থাকার প্রবণতা চলে আসে। জাপান এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় ক্যাপসুল হোটেল তৈরি করে থাকে, যেখানে শুধু একটি বিছানার সমপরিমাণ স্থান রয়েছে। তবে এই ঘরে ওয়াইফাই সুবিধা রয়েছে। এই ক্যাপসুল হোটেল শুধু ছেলেদের জন্য তৈরি করা হয়।

(১৯) জাপান অনেক উন্নত দেশ। হয়তো ভাবতে পারেন তাদের জমি অনেক উর্বর। যেখানে প্রচুর ফসল ফলে। কিন্তু তা নয়। জাপানে শতকরা ৭০ ভাগ ভূমি হচ্ছে পাহাড়ি। এ ছাড়াও দেশটিতে ২০০-এর মতো আগ্নেয়গিরি রয়েছে!

(২০) জাপানে মোট প্রকাশিত বইয়ের ২০% হচ্ছে কমিকস বই।

(২১) সন্তান দত্তক বা পালক সন্তান গ্রহণতো পুরো বিশ্বেই রয়েছে। জাপানে মোট দত্তক গ্রহণের শতকরা ৯৮ ভাগের বয়স ২০-৩০ বছর! অর্থাৎ তারা বয়স্কদের দত্তক গ্রহণ করে! ব্যবসায়িক পরিবার কিন্তু ছেলে নেই, তখন তারা দত্তক নেয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে, যদি নিজের ছেলে বাবা-মা রাখতে অক্ষম হয় তবে অন্য একজনের ছেলে নিয়ে আসে।

(২২) জাপানে শ্রম আইন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভাল। এজন্য কোন কোম্পানি চাইলেই তার কর্মী বিদায় করতে পারে না। এজন্য মোটা অঙ্কের টাকা গুণতে হবে! তাই বলে কোম্পানির মালিক পক্ষরাও কিন্তু বোকা নন। তারা যে কর্মীকে ছাঁটাই করতে চান তাকে বিরক্তিকর কাজ দিয়ে থাকেন। হতে পারে সারাদিন টিভি পর্দার সামনে বসিয়ে রাখা। এসবের জন্য আবার আলাদা শাস্তি কক্ষ রয়েছে।

(২৩) জাপানে স্বাক্ষরতার হার শতকরা ১০০ ভাগ। তাদের পত্রিকায় আমাদের দেশের মত সংবাদ দূর্ঘটনা, রাজনীতি, সিনেমার সংবাদ ইত্যাদি ছাপানো হয় না। সেখানে শুধু প্রয়োজনীয় ও আধুনিক জগৎ সম্পর্কে

*******************************************************************************************************************************

(1) Japanese school students – students have made their school clean up for at least 15 minutes with their teachers, which also established them as a clean nation.

(2) in Japan, the garbage cleaner in Japan says they get $ 5000-8000 monthly salary.

(3) Japanese people don’t throw trash on the streets, their smokers take a bag of ash, who is banned in the streets of Japan to the ashes of the cigarette!

(4) Japan has no natural resources and hundreds of earthquakes every year, they are the third largest economy in the world.

(5) in Hiroshima, the United States of the United States came back to the previous position in the 10-Year-old head of the 10-Year-old.

(6) is banned using mobile phones in Japan and train in Japan.

(7) in Japan, the first 6 years of education is taught to learn about ethics and sizes – how to use the people to use to use a human-to-use people.

(8) the world has become a rich country in the world and they do not have any work in the house. All work has to take care of the parents, and cooperate with boys and girls.

(9) in Japan, the first 3 years of education is not a test. Because they think it is not for the form of writing, not to be tested.

(10) Japanese food does not waste food, you will see the restaurant. People who don’t take much more than they don’t take it.

(11) the average time for Japan’s train is 7 seconds in a year! They are in every second time.

(12) a half-hour break to eat students in Japan are necessary for the right to be accurate. Because they remember the future of the students of the students.

(13) long live in the list of Japan’s locations in the list of Japan. 83 years live in Japan.

(14) the self-respect of Japanese is too much. Many examples of living in the country have a lot of examples in the country. How Many Prime Minister of Japan would have failed to fulfill a few electoral promises in Japan. It’s so hard to keep talking about what he has left.

(15) from titanic jāhājaḍubi, how many Japanese people have to come back to the country, back to the country. If you could not save the public, why don’t you have the life with them!” This was the penance of the people!

(16) a word in the name of the “overtime” to work in the same time, there is no meaning of this word in Japan. The Japanese nature is after the end of the office after the end of the office. In the work of the work, it can’t even think about the office to leave the office before the senior officer, as much as I do not go to the home.

(17) usually sleeping in our country in our country. But the whole of Japan is completely upside down! In Japan, there was a lot of pressure on the sleeping person in Japan, and his attitude is better than sitting in front of the day!

(18) a lot of time to deal with a problem with a problem in the face of a long time, in Japan, the capsule hotel creates a capsule hotel, where there is only a bed of a bed. There are wifi benefits in this home. This Capsule Hotel is only made for boys.

(19) Japan is a lot of developed countries. May think their land is very fertile. But it is not a lot of crops. But it is not 70 percent of the land. In Japan, 200 % of the land is in the country. – there’s a volcano like this!

(20) 20 % of comic books in Japan is the book of comic books.

(21) child adoption or foster children are in the whole world. 98 percent of the total adoption of total adoption in Japan is 20-30 years old! That’s the adoption of elderly people! Business family is not a boy but they adopted. in many cases, if you are unable to keep your son parents, it comes to another boy.

(22) the labor law in Japan is better than other countries in the world. If any company wants to leave his staff, he will not be able to count the fat money for this! So, the company’s owner is not a fool, but they are not stupid. They want to keep the worker’s work in front of the tv screens. It may be a separate punishment for the whole day.

(23) the signature of Japan is 100 percent. in their magazine, the news of the news, politics, cinema, etc. Do not have to be printed in the news of the world. There is only the necessary and the modern world. The news was printed.

(collected)

1

ভিডিও প্রোফাইল আছে তো?

সিভি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম কাজ প্রত্যাশী এবং কাজদাতার মাঝে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। কাজদাতা সিভির মাধ্যমে জানার চেষ্টা করেন কাজ প্রত্যাশীর জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কর্মক্ষমতা সম্পর্কে। কিন্তু এমনও অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে অত্যন্ত চমৎকারভাবে সিভিতে একজন কাজ প্রত্যাশী নিজেকে উপস্থাপন করেছেন এবং কাজদাতা মুগ্ধ হয়ে সাথে সাথেই তাকে ইন্টারভিউর জন্য ডাক দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে সম্পূর্ন উল্টো। কাজ দেবার আগে প্রত্যেকেই জানার বা দেখার চেষ্টা করেন কাজ প্রত্যাশীর Attitude, Communication Skills (Specially Body Language), Presentation Skills, Voice Tone, Emotion, Reaction Ability, Confidence ইত্যাদি। যেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সিভির মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। আর সেজন্যই বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ দেবার আগে যাচাই করে নিতে চান। আর সেজন্যই বর্তমান সময়ে ভিডিও প্রোফাইল (Video Profile) অত্যন্ত জরুরী আরেকটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আমি প্রায় ১০ ঘন্টা বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ভিডিও প্রোফাইল রিসার্চ করে এই আর্টিক্যাল তৈরি করেছি যেখানে আমি ভিডিও প্রোফাইলের গুরুত্ব, কিভাবে করা যায়, কি কি থাকা উচিত এবং এবং স্যাম্পল স্ক্রিপ্ট তুলে ধরেছি। আশা করি সম্পূর্ন আর্টিক্যালটি আপনারা পড়বেন।

আমি আগেই বলেছি ভিডিও প্রোফাইল বর্তমান সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারন আমার Body Language, Presentation Skills, Voice Tone, Emotion, Confidence আমি কাগজের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি না যা আমি অনেক সহজেই ভিডিও প্রোফাইলের মাধ্যমে করতে পারি যা একজন কাজ প্রত্যাশী অনায়াশে দেখে নিতে পারেন। ভিডিও প্রোফাইল শুধু চাকরির জন্য নয়, তরুন উদ্যোক্তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন আপনার একটি ব্যবসায়িক ধারনা আছে এবং আপনি চাচ্ছেন সেটি আপনার কাঙ্খিত ইনভেস্টারদের কাছে পৌছে যাক। যেহেতু ভিডিও প্রোফাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে যায় পৃথিবী এ প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্তে, তাই সহজেই পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্ত থেকে আমার জন্য সুযোগ তৈরি হয়ে যেতে পারে।  ভিডিও প্রোফাইল কিছু কিছু পেশার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সেই সমস্ত পেশা যেখানে যোগাযোগ সক্ষমতা বেশী প্রয়োজন। যেমন শিক্ষতা, মার্কেটিং, সেলস, মিডিয়া এজেন্সি, কমিউনিকেশন বিশেজ্ঞ ইত্যাদি।

নীচে আমি একটি স্যাম্পল ভিডিও প্রোফাইলের স্ক্রিপ্ট তৈরী করেছি যেখানে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাশ করা একটি ছেলে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। 

Start with a Question? In this global economy your organization needs someone who can understand how things are working in different parts in our country? You need someone who can understand the core business values of your company. Also you need someone who can communicate with your clients through effective media.

Greetings & Very Brief Introduction: “Assalamualaikum! My name is K M Hasan Ripon and I am that person. I have just done my MBA degree major in Marketing from Daffodil International University. I am looking for a Marketing Executive position with a fast growing high energy company.

Brief on Past experience: “From the past 5 years during my university life, I have been involved with many clubs in our university and some of the reputed youth organizations of the country where I worked as one the key members. Also, I have completed my internship in the country’s one of the reputed IT companies to manage the external communication with the prime stakeholders and partners.”

What I did in my last experience: “During my internship I prepared and assisted the communication between many high profile clients in the national and international arena and the best & most brilliant professionals in the IT sectors.”

My Unique selling points: “I have been told by many of my friends that I have limitless energy, High sense of Humor and Smile which makes me unique from others. I am a multilingual person. I can Speak and Understand Bangla, English, and Hindi. I have also traveled to 10 countries around the world.  

Closing Statement: If you are looking for a highly energized, focused, dedicated, self-motivated individual with an entrepreneurial mindset, I am your Candidate!

উপরের স্ক্রিপ্টে কে এম হাসান রিপন তার ভিডিও প্রোফিইল শুরু করেছেন কয়েকটি প্রশ্ন দিয়ে। তারপর শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। তৃতীয় অংশে তার পূর্বের অভিজ্ঞতার বর্ননা দিয়েছেন। ছতুর্থ অংশে তিনি কি ধরনের কাজ করেছেন তার বিবরন দিয়েছেন। ৫ম অংশে তিনি বলবার চেষ্টা করেছেন তার অনন্য গুণগুলো। এবং শেষ অংশে তিনি ইতি টেনেছেন কেন আপনি তাকে কাজ দেবেন।

ভিডিও প্রোফাইল তৈরী করার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবেঃ

  • মনে রাখতে হবে ভিডিও প্রোফাইল হচ্ছে একধরনের ইন্টারভিউ যার মাধ্যমে আপনি কাজ দাতার সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করছেন। তাই যতটা সম্ভব কম সময়ের মধ্যে উপস্থাপন করতে হবে কেন আপনাকে কাজের সুযোগ দেয়া হবে।
  • ভিডিও প্রোফাইলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উপস্থাপন এবং কন্টেন্ট। তাই সবারই উচিত পর্যাপ্ত গবেষনা করা।
  • ভিডিও প্রোফাইল সাধারনত ১ খেকে ২ মিনিটের মধ্যে হতে।
  • অবশ্যই এমন জায়গায় ভিডিও প্রোফাইল করতে হবে যেখানে শব্দ নিয়ন্ত্রিত, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা আছে।
  • সঠিক স্ক্রিপ্টিং এবং ১/২ মিনিটের মধ্যে উপস্থাপন করার জন্য যথেষ্ঠ পরিমানে অনুশীলন করা দরকার।
  • ভিডিও প্রোফাইলে বডি ল্যাংগুয়েজ অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে আপনার পোষাক-পরিচ্ছদ, হাসি, দৃষ্টি সংযোগ অত্যন্ত জরুরী।৬. আপনার দক্ষতার বিশাল তালিকা উল্লেখ না করে যে দক্ষতাগুলো প্রয়োজন শুধুমাত্র সেগুলো উল্লেখ করুন।

পরিশেষে বলতে চাই ভিডিও প্রোফাইল অত্যন্ত জরুরী বর্তমান সময়ে। আপনার ক্যারিয়ারে নতুন কিছু যোগ করুন। সবাই সিভি নিয়ে ব্যস্ত এবং আপনিও। চিন্তা করুন আপনি যদি আপনার কাজদাতাকে কভার লেটারের সাথে সিভি এবং YouTube এ আপলোড করা আপনার ভিডিও প্রোফাইলের লিংক দিয়ে দিতে পারেন, তাহলে আপনি অবশ্যই এগিয়ে থাকলেন অন্যদের থেকে। বর্তমান সময়ে সবাই দেখতে চায় আপনি কতটুকু আধুনিক।

ভিডিও প্রোফাইল নিঃসন্দেহে নতুন কিন্তু কঠিন কিছু নয়। যার হাতেই স্মার্ট ফোন আছে, সেই ভিডিও প্রোফাইল বানাতে পারবে। শুধু দরকার পর্যাপ্ত অণুশীলন। যারাই ভাবছেন ভিডিও প্রোফাইল বানাবার কথা, তারা যদি মনে করেন কোন প্রকার সহযোগীতার প্রয়োজন, তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠান http://skill.jobs এর সাথে যোগাযোগ করতে। ‍ বিশ্বাস করুন সম্পূর্ন ফ্রি কনসালটেশন!

IMG_E5677

প্রথম আলো- তারুণ্যের জয়োৎসব

প্রথম আলো গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে আয়োজন করেছিল তরুনদের জন্য জ্ঞান মেলা তারুন্যের জয়োৎসব। প্রায় ৫০০০ তরুন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুক্ত হয়েছিল এই আয়োজনে। বাংলাদেশের অন্যতম ক্যারিয়ার পোর্টাল Skill.Jobs তারুন্যের জয়োৎসবে আয়োজন করেছিল ব্যতিক্রমধর্মী কর্মশালা Meet the Career Doctor যেখানে আমি কে এম হাসান রিপন (নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট) আমন্ত্রিত অতিথী কর্মশালাটি পরিচালনা করি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৫০ জন তরুন অংশ নিয়েছিল সেই কর্মশালাটিতে। আমিও চেষ্টা করেছি গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে কর্মশালাটি পরিচালিত করবার।

কর্মশালাটি আয়োজনের পেছনে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, যে তরুন ঐ কর্মশালাটিতে অংশ নিতে এসেছিল, তাকে অন্তত এইটুকু ধারনা দেবার যেন এই প্রতিযোগীতামূলক সমাজে টেকসই ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যে বিষয়গুলো অবশ্যই জানা দরকার সেগুলোর অনুশীলন প্রক্রিয়াগুলোর চিত্র তুলে ধরা। এক্ষেত্রে আমি বিশ্বব্যপী প্রশংসিত টুলস “Mind Map” কে সবার সামনে তুলে ধরেছি এবং কিভাবে ৩৬০ ডিগ্রী এ্যাংগেলে এই Mind Map কে ব্যবহার করা যায় সেটা সল্প পরিসরে হাতে কলমে শেখাবার চেষ্টা করেছি। আমি Mind Map এর মাধ্যমে ৬টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সবার সামনে নিয়ে এসেছি যে বিষয়গুলো টেকসই ক্যারিয়ার গঠনে অত্যন্ত জরুরী। বিস্তারিত ০১৭১৩৪৯৩২৪৩

IMG_5620

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিডিও বিজুমি তৈরির সেমিনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ক্যারিয়ারের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং কাঙখিত চাকরি বা উদ্যোক্তা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব গত ১০ বছর তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এই ক্লাবের ১০ বছর পূর্তিতে গত ২৩ এপ্রিল আয়োজন করা হয়েছিল দিনব্যাপী সিভি লিখন কর্মশালা। আমি কে এম হাসান রিপন (নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট) আমন্ত্রিত অতিথী বক্তা হিসেবে উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহন করি। প্রায় ৩৫০ ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতে আমি ভিডিও রিজুমীর উপর আমার অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করি।

আমরা সবাই জানি বর্তমান সময়ে ভিডিও রিজুমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন টুলস হিসেবে ব্যবহারিত হচ্ছে বিশেষ করে চাকরিদাতারা প্রায় চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে তাদের ভিডিও রিজুমির লিংক দেখতে চান। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের অধিকাংশ গ্রাজুয়েট ভিডিও রিজুমিকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। আমার বক্তব্যের শুরুতেই আমি তিনটি সেরা ভিডিও রিজুমির স্যাম্পল ভিডিও শেয়ার করি এবং উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সেগুলোকে ভালোভাবে অবজারভ করার অনুরোধ করি। তারপর প্রশ্ন করে বের করার চেষ্টা করি, সেখানে কোন কোন বিষয়কে ১ মিনিটের মধ্যে ভিডিও রিজুমির মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।  আমার ৪০ মিনিটের উপস্থাপনায় আমি চেষ্টা করেছি ছাত্রছাত্রীদের বোঝাবার যে বর্তমান সময়ে ভিডিও রিজুমির গুরুত্ব এবং কেন একজন গ্রাজুয়েটের ভিডিও রিজুমি থাকাটা প্রয়োজন। আমার আলোচনায় আমি যে বিষয় গুলো উল্লেখ করেছি তা হলোঃ

১. ভিডিও রিজুমি ‍কি এবং কেন প্রয়োজন

২. কোন কোন বিষয়গুলো ভিডিও রিজুমিতে উল্লেখ করতে হয়

৩. কাদের জন্য ভিডিও রিজুমি বেশী প্রয়োজন

৪. চাকরিদাতা কেন ভিডিও রিজুমি দেখতে চায় এবং কিভাবে আমি আমার ভিডিও রিজুমি শেয়ার করবো বা কাভার লেটারে উল্লেখ করবো।

৫. একজন গ্রাজুয়েট কতো সহজে নিজেই ‍ভিডিও রিজুমি তৈরি করতে পারে এবং কোন কোন বিষয় আমাদের নজরে রাখতে হবে ভিডিও রিজুমি তৈরির সময়।

পরিশেষে আমি সকলের উদ্দেশ্যে অনুশীলনের বিষয়টির উপর নজর দিতে বলি কারন একমাত্র পরিমিত অনুশীলনের মাধ্যমেই আমরা অর্জন করতে পারি আমাদের কাংখিত ক্যারিয়ার। বক্তব্যের শেষে আমরা সবাই মিলে একসাথে চিৎকার করে বলি “Practice Makes Perfect

IMG_5368

৫০ জন তরুনদের নিয়ে কক্সবাজারে ১০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান

যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা ইউনাইটেড পারপাস (United Purpose), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠনের (IOM) আর্থিক সহায়তায় কক্সবাজারের উখিয়া জেলায় সামাজিক সমন্বয় বাস্তবায়নে একাধিক যুব ফোরাম গঠন করেছে। যার মূল লক্ষ্য হলো উখিয়ার বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিরসনে যুবদের প্রস্তুত করা যাতে তারা সংগঠিত হয়ে সমস্যা মোকাবেলার মাধ্যমে নিজেদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাধন করতে পারে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুব ফোরামগুলো থেকে ৫০ জন উদীয়মান তরুনদের জন্য কক্সবাজারে ১০ দিন ব্যাপী “উন্নত কর্মসংস্থানের জন্য আইসিটি এবং কর্মদক্ষতা” শীর্ষক নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহন করে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমী উক্ত প্রকল্পের প্রশিক্ষন প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমীর পক্ষ হতে আমি কে এম হাসান রিপন (নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট), প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষন কার্যক্রম পরিচালনা করি এবং প্রশিক্ষণে সার্বিক সহযোগীতার জন্য সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে আমার সাথে কাজ করেছে জনাব সোমেন কানুংগ (প্রতিষ্ঠাতা, ডি ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব)। 
৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের ২টি দলে (২৫+২৫) বিভক্ত করে ৫দিন করে মোট ১০ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করি। আমাদের প্রশিক্ষণের মূল থিম ছিল ”শুধুই শুনবো না, করবো এবং অনুশীলন করবো”। এই পদ্ধতি অবলম্বনের ফলে আমাদের প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থী হাতে কলমে কাজ শিখেছে এবং বাস্তবায়ন করেছে। 
পাচদিনের প্রশিক্ষনে আমরা মোট ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি
১. মাইক্রোসফ্ট অফিস এ্যাপ্লিকেশন (ওয়ার্ড, এক্সেল এবং পাওয়ারপয়েন্ট)
২. উদ্যোক্তা হবার প্রারম্ভীক প্রস্তুতি (How to Generate Business Idea, How to make the idea into profitable Business, How to start the Business, What Legal preparation required, How to generate seed money for the business) 
৩. টেকশই ক্যারিয়ারের জন্য কর্মদক্ষতা 
আমরা আমাদের প্রশিক্ষণটি অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত Competency Based Training & Assessment মেথডকে অনুসরন করে পরিচালনা করেছি। এই মেথড ব্যবহারের মধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিদৃষ্ট বিষয়ে দক্ষতামান নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে তার ফোরামের অন্য সদস্যদের অনুরুপ প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলবে, এই প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হয়ে ১০দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।