Teaser-73

হিংসা একটি রোগের নাম


“হিংসা একটি রোগের নাম কিন্তু আনন্দের খবর হচ্ছে এর প্রতিশেধক পাওয়া যায় বিনামূল্যে!”

মানুষের ভেতরে সবচেয়ে দ্রুত জন্ম নেয় হিংসা। বিশেষজ্ঞরা হিংসাকে আত্মার রোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একটি হাদিস আমার চোখে পড়েছে (যদিও রেফারেন্স খুঁজে পাইনি এখনও), যেখানে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা:) হিংসাকে আগুনের সাথেও তুলনা করেছেন। হিংসা থেকে সাবধান থাকতে বলেছেন। তিনি বলেছেন আগুন কাঠকে যেমন ধ্বংস করে তেমনি এটি ভাল কাজের ক্ষতি করে।

হিংসার সম্পর্কটা সবচেয়ে মজবুত অন্যের ভালোর সাথে। আমার কোনো একটি দক্ষতা আছে এবং এই দক্ষতাকে ব্যবহার করে আমি অনেক বড় বড় কাজ করতে পারি কিন্তু আমার নিজের গড়িমসির কারণে করতে পারছিনা। অপর দিকে একই দক্ষতা নিয়ে আমার বন্ধু অনেক উচ্চতায় চলে গেছে। এখন আমার নিজের উপর রাগ হওয়া শুরু হয়েছে। আমি কোনো ভাবেই আমার এই ব্যর্থতা মেনে নিতে পারছিনা। নিজের কাছেই নিজে লজ্জিত হচ্ছি প্রতিদিন। এই পর্যন্ত ঠিকই আছে। এর পরের ধাপে যেটি দরকার ছিল তা হলো অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ শুরু করে দেয়া। কিন্তু অনুপ্রেরণার পরিবর্তে শুরু হয় হিংসা সেটি মারাত্মক এবং প্রতিদিন নতুনভাবে আমরা নিজের অজান্তেই হিংসাকে অনুশীলন করছি। আর যেহেতু অনুশীলন সবকিছুই নিখুঁত করে তাই প্রতিদিনই আমরা হিংসাকে শ্রেষ্ঠ লেভেলে নিয়ে যাচ্ছি। বিশেষজ্ঞদের মতে কয়েকটি লক্ষন যা দেখে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোনো ব্যাক্তির ভেতর হিংসার জন্ম নিচ্ছে কিনা যেমন:

১) আপনার সাফল্যের কথা হচ্ছে হটাৎ কেউ আপনাকে থামিয়ে দিলেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে টপিক পরিবর্তন করে ফেললেন।

২) নকল প্রশংসা করলেন। একটু মনোযোগ দিয়ে শুনলেই আপনি বুঝতে পারবে। কারণ তিনি উন্মুক্ত হাসির ব্যবহার করতে পারছেন না।

৩) আক্রমণাত্মক মন্তব্য করছেন যাতে আপনার মন ভেঙে যায়।

৪) হটাৎ থামিয়ে নিজের সাফল্যের কথা উল্লেখ করছেন।

৫) আপনার সাফল্যের জন্য কিছু ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

৬) আপনাকে অস্বস্তিকর প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছেন।

৭) আপনার অগ্রগতি এবং অর্জনগুলিকে ছোট করে দেবার চেষ্টা করছেন।

আগেই বলেছি হিংসা একটি মারাত্মক রোগ যা মানুষকে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আর মানুষ কখনো মানুষের সাহায্য ছাড়া সামনে এগুতে পারে না। এক্ষেত্রে আমরা যেটি অনুশীলন করতে পারি তা হলো “অন্যের সাফল্যে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়া”। আলহামদুলিল্লাহ এবং মাশাআল্লাহ দুটি খুব পাওয়ারফুল শব্দ যার ব্যবহারে নিজেকে হিংসা থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।

অনুশীলনে সবই সম্ভব | Practice makes everything perfect


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

আত্মমূল্যায়ন

নিজের রুপান্তরের জন্য আত্মমূল্যায়ন কিভাবে করবো?

 

আত্মমূল্যায়ন সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে যার কারণে অফুরন্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত কাজের সুযোগগুলি নষ্ট হয়ে যায়। আমি এই ব্লগের মাধ্যমে বেশ কিছু চেকলিষ্ট তৈরি করেছি। আশাকরি আপনারা যারা এই ব্লগটি পড়তে বসেছেন তারা কষ্ট করে দরজা জানালা বন্ধ করে সততার সাথে প্রত্যেকটি ফর্ম পূরন করবেন এবং খুঁজে দেখবার চেষ্টা করবেন কোন জায়গায় আপনার উন্নতি করতে হবে।

নির্দেশনা: পঠককে তাদের আত্মমূল্যায়ন সততার সাথে করতে হবে এবং এটি অন্যের কাছ থেকে সম্পূর্ণ গোপন রাখবেন। আত্মমূল্যায়ন থেকে যে ফলাফল বের হলো সে অনুযায়ী নিজের দক্ষতা উন্নয়নের পরিকল্পনা করবেন। মনে রাখবেন আত্মমূল্যায়ন সম্পূর্ন নিজের ব্যক্তিউন্নয়ের জন্য অতএব নিজের সাথে প্রতারনা করা উচিৎ হবে না।

Please select the following skills you have:

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি যদি মনে করেন সবগুলো আপনার ভেতর আছে তাহলে ”হ্যা” ঘরে টিক দিন অথবা “না” ঘরে।
Your Skills Yes No
Communication    
Technical    
Leadership    
Organizational    
Creative & Design    
People Skills    
Solving Problems    
Physical Abilities    

Please assess you honestly

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি ১ থেকে ৫ এর ভেতর নিজেকে কত দেবেন? ১ হলো সর্বনিন্ম এবং ৫ হলো সর্বোচ্চ
Category 1 2 3 4 5
How would you rate your communication skills?          
How would you rate your leadership skills?          
How would you rate your organizational skills?          
How would you rate your creative and design skills?          
How would you rate your people skills?          
How would you rate your problem-solving skills?          
How would you rate your physical abilities skills?          

Please rate your skills or qualities below:

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি কোনটিতে কেমন সেটি নির্ধারন করুন
  Excellent Very Good Good Poor Very Poor
Team Player skills          
Able to communicate effectively          
Excellent writing skills          
Listening attentively and open for communication          
Able to speak and talk to a large audience          
Help others who are in need          
Able to influence others          
Good decision-making skills          
Ownership and accountability          
Able to deliver his/her thoughts properly          
Leadership abilities          
Commitment to the assigned task          
Promote a supportive environment          
Participate in team activities          
Encourage others if needed          
Interested in learning new things          
Open for feedback and suggestions          

Please rate your character/nature/trait below:

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি মতামত উল্লেখ করুন
  Strongly Agree Somewhat Agree Strongly Disagree
Analytical and Logical      
Dependent      
Initiative      
Confidence      
Responsible      
Persuasive      
Simple      
Efficient      
Humor      
Punctual      
Dedicated      
Never Give up      
Friendly      
Empathetic      
Helping others      
Know how to delegate      
Reliable      

Assessment for Workplace Reediness

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি যদি মনে করেন সবগুলো আপনার ভেতর আছে তাহলে ”হ্যা” ঘরে টিক দিন অথবা “না” ঘরে।
 Category Yes No
The power of interest or will (Passion) Are you really ready to work hard at work? Everyone knows that the workplace means that there is no place for emotions alone. Can you adapt?    
Goal setting Have you completed the overall vision and set clear goals for your career? Are you determined to achieve your goals through all your efforts?    
Decision making When you are faced with a difficult situation, are you able to keep a calm down and make an important decision on your own by gathering enough information without passing the problem or imposing it on someone else?    
Taking Risk There is no work that is completely risk free. There is always the risk of failure in the job market. Are you aware of these risks and do you believe that you too can fail at work? Do you have enough information so that you can accurately estimate how big a risk you are going to take?    
Ability to handle stress Tough decisions, competition in the workplace, bitter experiences in communicating with customers, and long-term work can be stressful. Can you maintain a positive attitude in the face of such pressures? Do you see your potential in the workplace at such a difficult time?    
Saving Habit Do you have a tendency to accumulate money?    
Good Human Relation Do you feel comfortable building relationships with new people? Do you start talking on your own? Do you appreciate the good qualities of others? Can you accept if someone criticizes you? Can you protect the privacy of others?    
Problem Solving If you see a problem, can you solve the problem by finding the right solution without complaining?    
Did you summarize all you formal or informal experiences    

Take a look at some of the following things you haven’t done yet

নীচের ছকটিতে বেশ কিছু দক্ষতা নাম দেওয়া আছে, আপনি যদি মনে করেন সবগুলো আপনার ভেতর আছে তাহলে ”হ্যা” ঘরে টিক দিন অথবা “না” ঘরে।
Category Yes No
Do you have a smart career plan (Specific, Measurable, Actionable, Realistic, Within Timeline)    
You have a full idea of ​​at least the 20 organizations you want to work in    
Do you know job market structure, hierarchy / organogram, company types, business process, employment types and requirements?    
Have you already met at least 20 famous HR professionals in Bangladesh?    
Can you create a personal website through Google site or Have you already created one?    
Did you manage your LinkedIn profile properly? Did you properly organize your LinkedIn profile (creating headlines, profile photo, experiences, skills, recommendations etc.)?    
Can you use Google Form, Google Drive, Google Calendar, Google meet, Zoom?    
Did you upload your video resume to your YouTube channel?    
Do you have video resume    
Have you had your CV verified by an experienced professional?    
Can you use your smartphone properly?    
Can you use MS Office properly?    
Do you have full knowledge of Online Meeting Place etiquettes?    
Do you have any light software editing skills (Such as Photo Editing, Video Editing, etc.)?    
Do you have administrative skills such as printer machine, FAX, handling telephone, sending an official email, sending SMS, using WhatsApp, official file management?    
Do you have skills in Business Communication tools like drafting official letters, sending official emails, drafting office memo, preparing meeting agenda and meeting minutes, developing a proposal, preparing financial budgeting?    

What were your activities and achievements in the past 1 year?

           
What areas of your work you think you could improve on?
           
What are the skills or knowledge you would like to enhance?
             
What are your goals for working in the company as fresh executive?
             
What are your strengths and weaknesses? How will you overcome them?
           
What are your Opportunities and Threats? How will you overcome them?
           

ফর্মগুলো পূরন করে গিয়ে যদি কোন সমস্যার সম্মেখিন হন বা কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাকে ইমেইল করন বা কমেন্টে করে জানান, আমি চেষ্টা করবো সমাধান দেবার জন্য।


লেখকঃ কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বিএসডিআই

যে কারনে কাজ প্রত্যাশীরা নজর কাড়তে পারছেন না

যে কারনে কাজ প্রত্যাশীরা নজর কাড়তে পারছেন না!

সবাই কাজ খুঁজছে, কাজ করছে এবং করতেই থাকবে। এটাই জগতের নিয়ম। এরই মধ্যে কেউ কাজ পাবে কেউবা অপেক্ষায় থাকবে। অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাঙ্খিত কাজ পেয়ে যাবেন। ক্যারিয়ারে গিফ্ট বা উপহার বলে কোন শব্দ নেই এবং পৃথিবীর কোথাও এর প্রচলনও নেই। কারো সমস্যার সাথে নিজের জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আচরন মেলাতে পারলেই কাঙ্খিত কাজের সন্ধান মিলে যায়। এজন্য কার কি সমস্যা সেটি জানা যেমন প্রয়োজন (কাজ প্রত্যাশীর দায়িত্ব) তেমনি যার সমস্যা তার কাছে কাজ প্রত্যাশীর জ্ঞান, দক্ষতা এবং আচরনের খবরটিও পৌছানো দরকার (কাজ প্রত্যাশীর স্ব প্রচারনা)।

আমরা প্রায়ই একটি ভুল করে ফেলি। আমরা যারা কাজ খুঁজছি তারা নিজেদের বর্তমান সমস্যার কথা অকপটে নির্ধিধায় বলে ফেলি যা একজন কাজদাতা কখনও করেন না। কাজদাতার অসংখ্য সমস্যা যেমন তিনি হয়তো ঠিকভাবে তার-

  • প্রতিষ্ঠানকে প্রচার করতে পারছেন না
  • শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনা করতে পারছেন
  • পন্য বিক্রয় করতে পারছেন না
  • পন্য বা সেবা বিপনন হচ্ছে না
  • মানব সম্পদ উন্নয়ন হচ্ছে না
  • প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে না
  • সিস্টেমকে উন্নয়ন করতে পারছেন না
  • আর্থিক ব্যবস্থাপনা ঠিকভাবে হচ্ছে না
  • স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
  • পন্য বা সেবা প্রস্তুত করতে পারছেন না
  • সাপ্লাই চেইন ঠিকভাবে চলছে না।

এরকম আরো কত শত সমস্যার ভেতর দিয়ে একজন কাজদাতা প্রতিদিন যাচ্ছেন কিন্তু কাউকে তিনি বুঝতে দিচ্ছেন না। এমন একটি রুপ ধারন করে আছেন যে তার প্রয়োজনের চেয়ে কাজ প্রত্যাশীর প্রয়োজন বেশী। কাজদাতারা যেহেতু নিজেই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না তাই তারা হন্যে হয়ে খোঁজার চেষ্টা করেন কে আছে যে তাদের সমস্যার সমাধান করে দেবে। আশাকরি এ পর্যন্ত যা লিখেছি তার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়েছে যে কেন কাজ খুঁজতে গিয়ে নিজেদের সমস্যা বা অভাবের কথা বলবো না। কাজ প্রত্যাশী ‍হিসেবে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে আপনি কোন সমস্যাটির সহজ সমাধান দিতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী নিজেকে প্রচার করুন। দেখবেন কাজদাতারা আপনার পেছনে লাইন ধরে বসে আছেন এবং আপনি ঠিক করতে পারছেন না কার সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কোনভাবেই যেন অহংকার, আত্মগর্ব বা সমালোচনায় নিজেকে জড়িয়ে না ফেলেন। কারন এ ধরনের শব্দের কাছে হিমালয়ও পানির মতো নরম।

_____ _____ ______ _____ _____ _____ _______

লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই) | ইমেইল: [email protected]

rtwretwret

অপরিচিত কারো সাথে কথোপকথনে কীভাবে অংশ নেব?

আমি প্রচুর মানুষের সাথে কথা বলি। যারা পরিচিত তাদের সাথে বলি আবার যারা অপরিচিত তাদের সাথে আরো বেশী বলি।  সরাসরি কথা বলি, মোবাইলের মাধ্যমে বলি, ওয়াটসএ্যাপ, বা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারতো আছেই। আমি যেহেতু প্রচুর ভ্রমন করি, দেশের ভেতরে বা দেশের বাইরে সেজন্য ভ্রমনের সময় আমার এই কথোপকথনের কাজটি বেশী হয়। আরো ভালো লাগে যখন রিকশা, সিএসজি, উবারে উঠি তখন চালকের সাথে গল্প করা। অনেক কিছু শেখা যায় যা লিখে বোঝানো যাবে না। যখন কোন কর্পোরেট ডিনারে বা অনুষ্ঠানে যাবার সুযোগ হয় তখন খুঁজে খুঁজে বের করি কাদের সাথে এখনও আমার পরিচয় হয়নি। তাদের কাছে গিয়ে কথোপকথন শুরু করে দেই। কারন প্রতিটি মানুষের একটি করে গল্প আছে যা কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায় এবং সেখান থেকে নতুন নতুন ধারানা তৈরি করা যায়।

মানুষের জীবন পুরোটাই যোগাযোগ নির্ভর। ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্তু আমাদের যোগাযোগ করতে হয়। বিভিন্ন উপায়ে আমরা যোগযোগ রক্ষা করি। আসলে যোগযোগ এমনই একটি বিষয় যা একজনকে সমৃদ্ধ করে তোলে। যোগাযোগের কথা উঠলেই আমরা মনে করি কর্মক্ষেত্রে আমার যোগাযোগ কেমন হবে? অফিসে বা নিজের ব্যবসায় আমি কিভাবে যোগাযোগ করবো? আসলে ব্যাপারটি পুরোপুরি সেটা নয়। যোগাযোগ সর্বত্র। নিজের ব্যক্তি জীবনের উন্নয়নের জন্য, মানসিকতা বিকাশের জন্য, মানুষের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এবং কর্মক্ষেত্রে শীর্ষ পারফরমারের তকমা লাগাবার জন্য বা ব্যবসায় উন্নতি সাধনের জন্য গুনগত যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমের মাঝে  কথোপকথন অত্যন্ত মূল্যবান। মনে রাখতে হবে  কথোপকথন কয়েক ধরনের মানুষের সাথে সাধারনত হয়ে থাকতে পারে

  • আপনি চেনেন এমন মানুষ
  • আপনি চেনেন না এমন মানুষ

যাদেরকে জানেন বা চেনেন এমন মানুষের সাথেই আমরা  কথোপকথন চালিয়ে যেতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। ধরুন আপনি একটি কর্পোরেট ডিনারের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আপনি আপনার একজন কলিগের সাথে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। আপনারা দুজনই অনুষ্ঠানের এককোনায় দাড়িয়ে আছেন এবং নিজেদের মধ্যেই অফিসের কর্মব্যস্ত দিন নিয়ে আলোচনা করলেন এবং ডিনার শেষ করে বাড়ি ফিরে এলেন। অথবা আপনি একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহনের সুযোগ পেলেন এবং আপনার এক বন্ধুর সাথে গেলেন। আপনারা দুজনই বেছে নিলেন একদম কোনায় অবস্থিত দুটি চেয়ার এবং যথারিতী বসে পুরো সেশনে অংশ নিয়ে বাড়ি চলে এলেন। অথচ আপনার ডান-বামে বা চারপাশে এমন অনেক মানুষ ছিলেন যাদের সাথে আপনি হাত মেলাতে পারতেন এবং পরবর্তিতে তাদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারতেন। আবার এমন চিত্রই বেশী দেখা যায় যে কাছে এসে মোবাইল ফোনটি বের করে হাসি দিয়ে বললেন একটা সেলফি তুলি? যাকে বললেন তিনিও হাসি দিয়ে সেলফিতে অংশ নিয়েই শেষ। যদিও প্রথম দুই ব্যক্তির তুলনায় তৃতীয় ব্যক্তি কিছুটা এগিয়ে কারন বাড়ি ফিরে তিনি যখন ছবিটি ফেসবুকে বা লিংকডইনে আপলোড করবেন চমৎকার একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তখন ফেসবুক সেই ব্যক্তিকে এআই (AI) ব্যবহারের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে যে কেউ তার ছবি ফেসবুকে যুক্ত করেছে। যদি স্ট্যাটাসটি পছন্দ হয় তাহলে তিনি তার প্রোফাইলে ঢ়ুকে দেখবার চেষ্টা করবেন। এখানে একটা লীড তৈরি হবার আশা থাকে। কিন্তু যিনি কথাও বললেন না, ছবিও তুললেন না, তার জন্য ঐ দু-ঘন্টা বিনিয়োগের ফল কি হলো? কিন্তু বিষয়টি অন্যরকম হতে পারতো!




অনুষ্ঠানে বা কনফারেন্সে যাবার আগে যদি একটু হোম ওয়ার্ক করে নেয়া যায় যেমনঃ

  • খুজে বের করা আপনি কেন সেখানে আছেন বা কেন সেখানে যাচ্ছেন?
  • ঐ অনুষ্ঠানে কারা আসছেন, তাদের নিয়ে হালকা একটু গবেষনা করা।
  • অতিথীদের মধ্যে কারা আছেন যারা আপনার কাজের ক্ষেত্রের সাথে সংযুক্ত এবং তাদের বর্তমান প্রকল্প নিয়ে একটা ধারনা নেয়া।
  • অতিথীদের ফেসবুক বা লিংকডইনের প্রোফাইলটা একটু ব্রাউজ করে যেনে নেয়া কোন ধরনের কাজের সাথে তারা এই মুহুর্তে ব্যস্ত। এটি অবশ্য অনুষ্ঠানে থেকেও করা সম্ভব যদি আগে থেকে অতিথীদের তথ্য পাওয়া না যায়।
  • আসলে পুরো বিষয়টিকে গেম প্ল্যানের সাথে তুলনা করা যায়। গেম প্ল্যান যেমন একটি দল বা একজন খেলোয়াড়ের জন্য বুঝে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন তেমনি একজন প্রফেশনাল বা গ্রাজুয়েটের জন্য তার নিজের গেম প্ল্যান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তাহলেই সময় বিনিয়োগের ভালো ফল আশা করা যায়।

একটি বিষয় আমাদের সবসময় স্মরন রাখতে হবে যে প্রত্যেক অপরিচিত মানুষ আপনাকে নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। অতএব তার সফলতা অনেক বেশী হয়ে থাকে যিনি অপরিচিত মানুষকে পরিচিত মানুষে রুপান্তর করতে পারেন। অপরিচিত মানুষকে পরিচিত করে তুলবার প্রথম ধাপ হচ্ছে  কথোপকথন।

কথোপকথনের অনেক সুবিধা রয়েছেঃ

  • যেকোন মানুষের সাথে কথোপকথন আপনাকে সম্পূর্ন নতুন একটি ধারনা বা প্রেক্ষপট তৈরিতে সাহায্য করে।
  • যেকোন মানুষের সাথে কথোপকথন আপনাকে একটি নতুন সুযোগের দরজা খুলতে সহায়তা করে
  • আপনাকে নতুনকে সনাক্ত করতে সহায়তা করে
  • আপনার জন্য নতুন লিঙ্ক তৈরি করে দেয় এবং নিজেকে সেই লিংকের সাথে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।
  • জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে।
  • দক্ষতা তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে।
  • ইতিবাচক মানসিকতা অর্জনে ভূমিকা রাখে।

ধরুন আপনি কোনও অনুষ্ঠানে রয়েছেন এবং আপনি দেখছেন যে আপনি অনুষ্ঠানের আয়োজক ছাড়া কাউকেই চেনেন না কিন্তু একটি ছোট্ট আলোচনা দিয়ে আপনি অনেক কিছুই অর্জন করতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে  কথোপকথনে বলা এবং শোনার মাঝে একধরনের ব্যালেন্স রাখাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং এই বিষয়ে প্রায় সকলেই একমত হয়েছেন যে কথোপকথনে বলার চেয়ে শুনবার মানসিকতাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। গৌতম বুদ্ধের একটি চমৎকার উক্তি রয়েছে ”আপনার মুখ খোলা থাকলে বুঝবেন কিছুই আপনি শিখছেন না”। তার মানে জানবার মানসিকতা নিয়ে কথোপকথনে অংশ নিতে হবে।

দুর্দান্ত কথোপকথনের জন্য কয়েকটি টিপস

দুর্দান্ত যোগাযোগকারী সবসময় একধরনের বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন সর্বক্ষেত্রে এবং তিনি অত্যন্ত সচেতন থাকেন তার এই দক্ষতার ব্যপারে। তারা জানেন কিভাবে একটি দুর্দান্ত কথোপকথন চালিয়ে নেয়া যায়। অবশ্যই এটি একটি গুরুত্বপূর্ন দক্ষতা যা সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।

  • আমাদের সবারই মনে রাখতে হবে একটি ইংরেজী বাক্য “I am excited”. কোন একটি কাজ করবার আগে আমাদের ভালো করে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে আমি যে কাজাট করতে যাচ্ছি তার জন্য আমার ভেতরে কোন উত্তেজনা কাজ করছে কিনা? যদি উত্তেজনা অনুভাব করা যায় তাহলে নিশ্চিতভাবে আপনি সফলভাবে কাজটি শেষ করতে পারবেন। আর যদি না হয় তাহলে হাজার চেষ্টা করেও আপনি কোন সমাধান বের করতে পারবেন না। বের করতে পারবেন শুধু অজুহাত। কোন অপরিচিত মানুষের সাথে কথোপকথনের প্রধান শর্ত হলো নিজ থেকে মনে মনে বার বার বলতে থাকা “Yes I am Excited”.
  • সঠিকভাবে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন হলো শর্ত হলো বডি ল্যাংগুয়েজের উপর নজর রাখা বিশেষ করে “Nonverbal Skills” । আপনার সত্যিকারের মন থেকে একটি হাসি, ইতিবাচক অঙ্গভঙ্গি এবং আবেগ দিয়ে শ্রবন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কথোপকথনের সময় আপনার অভিব্যক্তিগুলোর (Expressions) উপর সর্বদা সচেতন থাকবেন। কোন একটি আলোচনায় অতি সাধারন কিন্তু মূল্যবান আপনার ভুরুর (Eyebrow) সঠিক ব্যবহারও কিন্তু আপনাকে একধাপ এগিয়ে নিতে পারে।
  • মাল্টিটাস্কিং করবেন না। কথোপকথনের সময় আমরা নিজের অজান্তেই একাধিক কাজের সাথে যুক্ত থাকি যেটা মোটেও ইতিবাচক নয়। মোবাইল নিয়ে খেলা করা, চাবির রিং ঘোড়ানো, এখানে এবং সেখানে দেখা, হাত গুটিয়ে পকেটের ভেতর রেখে দেয়া ইত্যাদি পরিহার অত্যন্ত জরুরী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কথোপকথনে মনোনিবেশ (Concentration) করা এবং মননশীলতা (mindfulness) নিশ্চিত করা।
  • ভালো করে দেখে নেন আপনার ভেতর ”আমিও” (me too) লক্ষণ আছে কিনা। ধরুন কেউ একজন তার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি অভিজ্ঞতার কথা আপনার সাথে শেয়ার করছেন। তার কথা শেষ হবার সাথে সাথেই আপনিও বলে উঠলেন আমারও এরকম একটি অভিজ্ঞতা আছে এবং বলা শুরু করে দিলেন। এটি দুর্দান্ত কথোপকথনের জন্য একটি বড় বাধা।
  • অনেকে বিশেষজ্ঞ হয়ে বিরোধী মন্তব্য তৎক্ষনাত দেবার চেষ্ট করেন, এটি আরেকটি বাধা দুর্দান্ত কথোপকথনের। প্রত্যেকেরই বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। সুতরাং আমাদের নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হবে, তাত্ক্ষণিকভাবে বিরোধীতা করা উচিত নয়। আপনার যদি ভিন্ন মতামত থাকে তাহলে বাড়ি ফিরে ঐ বিষয়ে ব্লগ লিখে নিজস্ব ব্লগ সাইটে পাবলিশ করে দিতে পারেন। তবে কোনভাবেই কথোপকথনের সময় তর্কে যাওয়া ঠিক নয়। যদি বন্ধুদের আড্ডা হয় বা অতি পরিচিত কেউ হয় সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা।
  • কথোপকথনে যাবার আগে এই মানসিকতা তৈরি করুন যে আপনি কিছুই জানেন না। তাহলেই আপনি অনেক কিছেই জানতে পারবেন। সক্রেটিসের একটি দারুন উদ্ধৃতি রয়েছে ”আমি জানি যে অনেক কিছুই আমি জানি না”
  • যেকোন কথোপকথন শুরু করার আগে প্রয়োজন প্রশ্ন আর সে প্রশ্ন হতে পারে অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যতকে ঘিরে। ধরুন গুগলের মতো বিশাল একটি সাইট খুলে বসে আছেন। কিন্তু কোন প্রশ্ন করছেন না। তাহলে ঐ বিশাল সাইটি খুলে বসে থাকার মানে কি হলো? গুগলের কাছ থেকে সত্যিকারের উপকার পেতে হলে আপনাকে যেমন একটি প্রশ্ন করা দরকার তেমনি পরিচিত বা অপরিচিত কারো কাছ থেকে সত্যিকারের উপকার বা লিংক পেতে হলে দরকার উন্মুক্ত প্রশ্ন। এমন প্রশ্ন যার উত্তর সাধারনত কেউ শুধুমাত্র হ্যা বা না দিয়ে শেষ করতে পারবে না। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় যে যদি কোন অপরিচিত মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরে যদি বলেন “কোভিড আমাদের অনেক বিপদে ফেলে দিয়েছে না?” উত্তর আসতে পারে শুধু হ্যা সূচক মাথা নাড়ানো। আর যদি প্রশ্নটি এমনভাবে করা যায় কোভিডের কারনে যে চাপ অর্থনীতির উপর পড়েছে তার থেকে কি সহজে আমরা বের হতে পারবো, আপনি কি মনে করেন? এই খোলা প্রশ্নের কারনে তাকে মন্তব্য করতে হবে।
  • ”Happy Hello” কনসেপ্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন টুলস কথোপকথনের শুরুতেই একজনকে আকৃষ্ট করবার জন্য যা বিনা ব্যয়ে যে কারও সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার শক্তি হিসেবে কাজ করে। আসল হাসি দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় সবসময় কাজ করে।
  • ইংরেজীতে একটি কোট আছে “Happiness is an unexpected compliment”. প্রশংসা আরেকটি টুলস যা কখনও বৃথা যায় না তবে অপ্রয়োজনীয় প্রশংসা হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। তাই আগামীতে যার সাথে আপনার কথোপকথনের সম্ভাবনা রয়েছে তাকে নিয়ে একটু গবেষনা করুন। আপনার একটি সত্যিকারের প্রশংসা কারো দিনকে রঙিন করতে অনেক গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করতে পারে।
  • কথোপকথনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন এবং অভিজ্ঞরা সবচেয়ে বেশী যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তা হলো চোখ, কান ও মন দিয়ে শোনা এবং কানেক্ট করবার চেষ্টা করা। মনে রাখবেন শ্রবণশক্তি দুর্দান্ত গল্প আবিষ্কারের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অস্ত্র যা আমরা অনেকেই নিজের অজান্তে অব্যবহারিত হিসেবে রেখে দেই।

কথোপকথন শুরু করবেন কিভাবে?

  • নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন যে আপনি কিছুক্ষনের মধ্যেই দারুন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে যাচ্ছেন
  • নিজের কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে রাখুন এবং দুটি হাত ফ্রী করে রাখুন
  • যার সাথে কথা বলবেন তার সম্পর্কে হালকা একটু জেনে নিন কাছে পরিচিত মানুষের কাছ থেকে অথবা তার লিংকডইন প্রোফাইল ঘেটে দেখে নিন তার বর্তমান কোন কাজ সম্পর্কে
  • এবার দেখুন তিনি কারো ইতিমধ্যে কথোপকথনে যুক্ত আছেন কিনা। যদি দেখেন তিনি একদম মুখোমুখি দাড়িয়ে কথা বলছেন তাহলে তাকে আর বিরক্ত করবেন না। একটু ধৈর্য ধরুন। যখনই দেখবেন তিনি আর মখোমুখি দাড়িয়ে কথা বলছেন না, তারমানে এখন সঠিক সময়।
  • কাছে গিয়ে বড় একটা হাসির মাধ্যমে সালাম দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান এবং আপনার আনন্দ প্রকাশ করুন। তারপর আপনার নিজের পরিচয়টি দিন।
  • তার কোন একটি কাজের প্রশংসা করতে পারেন যেমন: ”মানবতার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আশ্চর্যজন“ বা আপনার ব্লগ বা ভিডিও আমাকে অত্যন্ত অনুপ্রানিত করে”।
  • এবার কথোপকথন শুরু হতে হবে একটি প্রশ্ন দিয়ে যেমন: স্যার বা ভাইয়া আপনি এখন পর্যন্ত যে সমস্ত সৃজনশীল কাজ করেছেন তার জন্য অনুপ্রেরণার উত্স কী? এটা দিয়ে শুরু তারপর ধীরে এগিয়ে যাবেন।
  • কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং কোন প্রকার বাধা ছাড়াই। তবে সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং খুব বেশা পেচানো যাবে না।
  • ফিউচার লিংক তৈরি করতে হবে যেন তার সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে তার কোন ভিজিটিং কার্ড বা লিংকডইনে তার সাথে কানেক্ট হবার চেষ্টা করা। ফেসবুকে কানেকশনের জন্য রিকোয়েস্ট না করাই ভালো। কারন অনেকেই ফেসবুককে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহার করেন। তবে বাড়ি ফিরে কথোপকথনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফেসবুকে বন্ধুত্বের রিকোয়েস্ট পাঠানো যেতে পারে।
  • সর্বশেষে একটি রিকোয়েস্ট রাখতে পারেন যে আমি কি আপনার সাথে এই কথোপকথনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন স্মৃতিটি ক্যামেরা বন্দি করতে পারি?
  • বাড়ি ফিরে ধন্যবাদ বার্তা প্রেরণ করতে ভুলবেন না।

বন্ধুরা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে প্রতিটি দুর্দান্ত কথোপকথন আপনার মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করাবার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। আর প্রতিটি দুর্দান্ত কথোপকথন আপনার জন্য তৈরি করে নতুন সম্ভাবনা। তাই লজ্জাকে পরিহার করে, উত্তেজনাকে অনুভব করে পরিচিত বা অপরিচিত মানুষের সাথে কথোপকথনে যুক্ত হন। কথোপকথন সবসময় ফলপ্রসূ হবে এমন কোন নিশ্চয়তা কারো পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় তবে আপনি যেন মন থেকে বলতে পারেন আপনি চেষ্টার ত্রুটি করেননি।

অনুশীলনে সবই সম্ভব | Practice makes everything perfect


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

Teaser-44

জেনে নিন বিভিন্ন বিষয়ের জনকের নাম

পৃথিবীতে অনেক মনীষী এসেছেন যারা নিজের জ্ঞান, দক্ষতা এবং সঠিক আচরনকে ব্যবহার করে আমাদের জীবনকে সহজ করবার জন্য বিভিন্ন তুলে ধরেছেন। যে বিষয়গুলো আমাদের জীবন পরিচালনায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিলো। আমি গুগলকে ব্যবহার করে জানবার চেষ্টা করছিলাম যে বিষয়গুলো আমাদের জীবনকে সহজ করতে সাহায্য করেছে সে বিষয়গুলোর জনকের নাম। আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সেই জনকের নাম তুলে ধরলাম যারা বিভিন্ন বিষয়ের জনক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম লিখিয়েছেন। নিচে তাদের নাম এবং উইকিপিয়ার লিংক দেওয়া হলো যাতে আপনারা তাদের নিয়ে গবেষনা করতে পারেন।

বিভিন্ন বিষয়ের জনক জেনে নিন

✬ অংকের জনক — আর্কিমিডিস

✬ অপরাধ বিজ্ঞানের জনক — ল্যামব্রাসো।

✬ অর্থনীতির জনক — এডামস্মিথ।

✬ অলিম্পিকের জনক — ব্যারন পিয়েরে দ্য কুবার্তে।

✬ আধুনিক শিক্ষার জনক — জান আমোস কমেনস্কি।

✬ আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার জনক — ম্যাক্স ওয়েবার।

✬ দর্শনের জনক — সক্রেটিস।

✬ আধুনিক অর্থনীতির জনক — পল স্যামুয়েলসন

✬ আধুনিক গণতন্ত্রের জনক — জন লক।

✬ আধুনিক জোর্তি বিজ্ঞানের জনক — কোপার্নিকাস।

✬ আধুনিক মনোবিজ্ঞানের জনক — সিগমুন্ড ফ্রয়েড।

✬ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক — নিকোলো মেকিয়াভেলী

✬ আধুনিক রসায়নের জনক — জন ডাল্টন

✬ আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক — আলবার্ট আইনস্টাইন

✬ আধুনিক বিজ্ঞানের জনক — রজার বেকন

✬ আধুনিক কম্পিউটারের জনক — চালর্স ব্যাবেজ

✬ আমেরিকার জনক — জর্জ ওয়াশিংটন

✬ ইংরেজি নাটকের জনক — শেক্সপিয়র

✬ ইংরেজী কবিতার জনক — জিওফ্রে চসার

✬ ইতিহাসের জনক — হেরোডোটাস

✬ ইন্টারনেটের জনক — ভিনটন জি কার্ফ

✬ WWW এর জনক — টিম বার্নাস লি

✬ ই-মেইল এর জনক — রে টমলি সন

✬ ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের জনক — এলান এমটাজ

✬ উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক — থিওফ্রাস্টাস

✬ এনাটমির জনক — আঁদ্রে ভেসালিয়াস

✬ ক্যালকুলাসের জনক — আইজ্যাক নিউটন

✬ গণিতশাস্ত্রের জনক — আর্কিমিডিস

✬ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক — হিপোক্রেটিস

✬ জীবাণুবিদ্যার জনক — লুই পাস্তুর

✬ জীব বিজ্ঞানের জনক — এরিস্টটল

✬ জ্যামিতির জনক — ইউক্লিড

✬ দর্শনশাস্ত্রের জনক — সক্রেটিস

✬ প্রাণি বিজ্ঞানের জনক — এরিস্টটল

✬ বংশগতি বিদ্যার জনক — গ্রেগর জোহান মেন্ডেল

✬ বংশগতির জনক — গ্রেগর মেন্ডেল

✬ বাংলা গদ্য ছন্দের জনক — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

✬ বাংলা উপন্যাসের জনক — বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

✬ বাংলা কবিতার জনক — মাইকেল মধু সূদন দত্ত

✬ বাংলা গদ্যের জনক — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগর

✬ বাংলা নাটকের জনক — দীন বন্ধু মিত্র

✬ বাংলা গজলের জনক — কাজী নজরুল ইসলাম

✬ বাংলা সনেটের জনক — মাইকেল মধু সুদন দত্ত

✬ বাংলা মুক্তক ছন্দের জনক — কাজী নজরুল ইসলাম

✬ বাংলা চলচিত্রের জনক — হীরালাল সেন

✬ বিজ্ঞানের জনক — থেলিস

✬ বীজগণিতের জনক — আল-খাওয়ারিজমি

✬ ভূগোলের জনক — ইরাতেস্থিনিস

✬ পদার্থ বিজ্ঞানের জনক — আইজ্যাক নিউটন

✬ মনোবিজ্ঞানের জনক — উইলহেম উন্ড

✬ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক — এরিস্টটল

✬ রসায়নের জনক — জাবির ইবনে হাইয়ান

✬ শারীরবিদ্যার জনক — উইলিয়াম হার্ভে।

✬ হিসাব বিজ্ঞানের জনক — লুকাপ্যাসিওলি

✬ শ্রেণীকরণ বিদ্যার জনক — ক্যারোলাস লিনিয়াস

✬ সনেটের জনক — পের্ত্রাক।

✬ সামাজিক বিবর্তনবাদের জনক — হার্বাট স্পেন্সর

✬ সমাজবিজ্ঞানের জনক — অগাষ্ট কোঁৎ

✬ ফেসবুক এর জনক — মার্ক জুকারবার্গ

✬ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক — ইবনে সিনা

✬ হোমিওপ্যাথির জনক — হ্যানিম্যান

✬ মেডিসিনের জনক — হিপোক্রটিস

✬ কম্পিউটার মাউসের জনক — ডগলাস এঙ্গেলবার্ট

✬ মোবাইল ফোনের জনক — মার্টিন কুপার

Home Office

অফিসের আদলে হোম অফিস

ধানমন্ডিতে একটা বড় খেলার মাঠ ছিলো। আমরা সবাই চিনতাম আবহানী মাঠ নামে। সকাল-বিকাল সবসময় আবহানী মাঠে। সবচেয়ে মজার ছিলো বৃষ্টির দিনে। কাদা মাঠে ফুটবল খেলা। ফুটবলতো আর হতো না, কাদা ছিটানো হতো বেশী। আবহানী ক্লাবের সব স্টার ফুটবালার সকাল বিকেল অনুশীলন করতেন। আমরা দাড়িয়ে বা গ্যালারীতে বসে দেখতাম আর অপেক্ষা করতাম কখন তাদের মিস করা বল আমাদের কাছে আসবে আর আমরা নিজেকে ম্যারাডোনা ভেবে শট করবো। এই শট করা নিয়ে বন্ধুদের সাথে প্রায়ই ঝগড়া লেগে যেতো। ৯০ এর বিশ্বকাপের পর অতি উৎসাহিত হয়ে নিজের নাম লেখালাম একটি ক্লাবে। যথারিতি বিকেল ৩টায় নিজের কেডস, ট্রাউজার এবং টি-শার্ট পড়ে প্রাকটিস সেশনে যোগ দিলাম। প্রাকটিস শেষে কোচ ডেকে বললেন কেমন লাগলো? আমি বললাম গলিতে যেভাবে খেলে মজা পাই তেমন পাইনি। তিনি বললেন বাসায় গিয়ে ফুলবলের জন্য নির্ধারিত জার্সি, ‍সর্টস, বুট, শিন গার্ড কিনে তারপর কাল প্রাকটিসে যোগ দেবে। আমি তো বাসায় ফিরেই বাবাকে সাথে নিয়ে স্টেডিয়ামের স্পোর্টস শপে গিয়ে সব গুলো কিনে তারপর প্রাকটিসে যোগ দিলাম। প্রাকটিস শেষে কোচ বললেন নিজেকে ম্যারাডোনার মতো লেগেছে? আসলেই ফুটবল খেলার জন্য নির্ধারিত সাজসজ্জা, পোশাক এবং মানসিক প্রস্তুতি আমার ভেতরের পুরো অনুভুতি পরিবর্তন করে দিয়েছে।

প্রত্যেক পেশার জন্যই রয়েছে নির্ধারিত সাজসজ্জা, পোশাক, পরিবেশ, উপকরণ এবং মানসিক প্রস্তুতি। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব আমাদের বেশ কিছু শব্দের সাথে পরিচিত করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী ব্যবহারিত হচ্ছে ভার্চুয়াল অফিস বা হোম অফিস। অফিস বলতেই আমরা বুঝি একটি পরিশীলিত কাজের পরিবেশ যেখানে মানুষ মানুষের সাথে মিলে কাজ করবে। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারনে আমরা অনেকেই আমাদের সেই চিরাচরিত অফিসে যেতে পারছিনা যার ফলে অনেকেই আজ তার বাড়িকেই অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। শুরুতেই যে ভূমিকা দিয়ে শুরু করেছিলাম আমার ফুটবল ক্লাবের সাথে যুক্ত হবার গল্প এবং কিভাবে আমি সঠিক সাজসজ্জা, পোশাক এবং মানসিক প্রস্তুতির পরিবর্তনের মাধ্যমে সঠিকভাবে খেলার মধ্যে ঢুকতে সক্ষম হয়েছিলাম। ঠিক একইভাবে আমরা যারা বাসায় অফিস করছি তারা যদি নির্ধারিত সাজসজ্জা, পোশাক, পরিবেশ, উপকরণ এবং মানসিক প্রস্তুতির মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজে যোগ দিতে পারি তাহলে আমাদের মেধাভিত্তিক কাজের অগ্রগতি অনেক বৃদ্ধি পাবে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি অধিকাংশ মেধাভিত্তিক কাজ প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব এবং এটি আমি দায়িত্ব নিয়েই বলতে চাই। তবে তার জন্য প্রয়োজন উন্নত মানাসিকতা। আমার ব্লগের এ পর্যায়ে আমি মেধা ভিত্তিক কাজের সাথে যারা ইতিমধ্যে জরিত আছেন এবং বাসায় বসে কর্মক্ষেত্রের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু পরামর্শ দিতে চাই।

মানসিক প্রস্তুতিঃ

  • এই মুহুর্তে যেহেতু সবাই কোভিড-১৯ নিয়ে চিন্তিত তাই প্রচুর পরিমানে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত খবর মিডিয়ায় উড়ে বেড়াচ্ছে এবং সত্য-মিথ্যা যাচাই করা আমাদের জন্য অনেক সময় কষ্টকর হয়ে যায়। তাই আমি চেষ্টা করি এই সংক্রান্ত খবর বা ব্লগ থেকে নিজেকে দুরে রাখতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি উল্লেখ করে দিয়েছেন। সেগুলো মেনে চলবার চেষ্টা করি। অযথা খবর বা ব্লগের মধ্যে নিজেকে যুক্ত করে উদ্বেগ বাড়াতে চাই না।
  • ইতিবাচক চিন্তা করা অত্যন্ত জরুরী এবং ইতিবাচক চিন্তা করেন যারা তাদের সাথে সম্পর্ক এবং আলাপ আলোচনায় যুক্ত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।
  • দেশ-বিদেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন আর্টিক্যাল প্রকাশ করেছে সেগুলো পড়তে পারলে উন্নত মানসিকতার চর্চাটা কিছুটা সহজ হয় এবং গতানুগতিক ধারার বাইরে কিভাবে কাজ করা যায় তার একটি দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।

PeopleTalk Online What is Mental Fitness and How Does it Work ...

শারীরীক প্রস্তুতিঃ

মানসিক সুস্থতার পাশাপাশি শারীরীক সুস্থতাও অত্যন্ত জরুরী। এই মুহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো ডিসিপ্লিন। “Early to Bed & Early to Rise” এই উক্তিটি সবচেয়ে মূল্যবান। বাসায় বসেই ঘাম ঝড়াবার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্যালোরিকে বার্ন না করে ঘুমাতে না গেলেই ভালো। ঘরে বসে কিভাবে সহজেই ঘাম ঝড়াতে হয় তার অনেক পরামর্শ ইউটিউবে বা গুগলে আছে। ভালোভাবে দেখে এবং এই বিষয়ে অভিজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে শুরু দেয়া যেতে পারে। আমি যে কাজটি করেছি তা হলো একজন চিকিৎসক বন্ধুর সাথে আলোচনা করে আমার শারীরীক সুস্থতার জন্য একটি চার্ট তৈরি করে নিয়েছি।

Employee Engagement Archives - Gympass | Blog

হোম অফিস স্থাপনঃ

  • আমাদের এখন অনেকেরই বাসায় বসে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা বাসার বিভিন্ন জায়গায় বসে কাজ করছি। কেউ বিছানাকেই বানিয়ে ফেলেছেন অফিস। কেউবা লিভিংরুমের সোফাতেই চালাচ্ছেন অফিসের কাজ। শুরুর দিকে আমিও তাই করেছি এবং ধীরে ধীরে যখন বুঝতে শুরু করলাম এটিই হবে নিউ নরমাল যেখানে কিছু কাজ হবে বাড়িতে এবং কিছু কাজ হবে কর্মক্ষেত্রে (হাইব্রিড মডেল), তখন একটি নিদৃষ্ট জায়গা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করলাম। আমার কাছে মনে হয় অফিসের কাজের জন্য কর্মক্ষেত্রের অনুভুতি পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। সেজন্য ঘরের যেকোন একটি অংশকে বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনার হোম অফিস এবং বাড়ির সবাইকে মনে করিয়ে দিতে পারেন যে বাড়ির এই অংশটি আপনার হোম অফিস। সবাই যেন সতর্ক থাকে আপনার কাজের পরিবেশ ঠিক রাখবার জন্য।

হোম অফিস উপকরণঃ

  • মনে রাখতে হবে আপনার কর্মক্ষেত্রের আদলেই হতে হবে আপনার হোম অফিস (যদি সম্ভব হয়)। তার মানে একটি টেবিল থাকবে যার উপর আপনি আপনার ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ রাখবেন।
  • একটি চেয়ার যেটি আপনার ব্যাক পেইন হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
  • টেবিলের উপর আপনি চাইলে একটি টেবিল ল্যাম্প রাখতে পারেন যেটি আপনার ফেসলাইট হিসেবে ব্যবহারিত হবে। পাশাপাশি পড়তেও আপনাকে সাহায্য করবে। এখন যেহেতু আমাদের প্রায়ই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নিতে হয় তাই ফেসলাইট অনেক কাজে আসে এবং প্রফেশনালিজম প্রকাশ করে। সাথে একটি ফাইল কেবিনেট থাকলে ভালো হয়।
  • অফিসের প্রয়োজনীয় সকল কিছুই আসলে আপনার টেবিলের উপর থাকবে যেমন মোবাইল, চার্জার, কলম, খাতা ইত্যাদি। টেবিলের উপর আপনি চাইলে একটি মানিপ্ল্যান্ট রাখতে পারেন বা আমি অনেককে দেখেছি ছোট এ্যাকুরিয়াম রাখতে। এটি আপনার মনকে সজীব করতে সাহায্য করবে।
  • মনে রাখতে হবে কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে মজবুদ করতে উপরের আয়োজনগুলো জরুরী। তাই সম্ভব হলে এই প্রাথমিক বিনিয়োগ করতে হবে। উপরের কোন কিছুই যদি সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত ঘরের টি-টেবিল, একটি চেয়ার এবং ঘরের একটি অংশকে নির্ধারিত করে শুরু দিন আপনার অফিসের আদলে স্থাপিত হোম অফিস।

17 Items You Need to Set up an Efficient Home Office

হোম অফিস সাজসজ্জা ও পোশাকঃ

আমি একদিন আমার হোম অফিসে বসে কাজ করছিলাম এবং বিদেশী একটি প্রতিনিধি দলের সাথে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক যথা সময়ে মিটিংয়ে অংশ নিলাম। হঠাৎ মিটিং যিনি হোস্ট করছিলেন তিনি সবাইকে বললেন আপনারা যার যার ওয়েবক্যাম অন করুন এবং পরিচয় দিন। আমিতো একদম অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। আমি অফিসের পোশাকে ছিলাম না। তো আমি বাধ্য হয়েই অফিসের পোশাক (শার্ট এবং প্যান্ট) এবং সাজসজ্জা করে ওয়েবক্যাম অন করে মিটিং সম্পন্ন করলাম। কিন্তু তারপর মনে হলো অন্য ধরনের একটা অনুভুতি পেলাম। সত্যিকারের অফিসে বসলে যেমন মাথায় নতুন নতুন ধারনার জন্ম নেয় ঠিক তেমনই অনুভুতি কাজ করছিল। তারপর থেকে সকালে হোম অফিসে যোগ দেবার আগে আমি আমার পোশাক (শার্ট এবং প্যান্ট) এবং সাজসজ্জার (চুলটা অন্তত ঠিক রাখা) বিষয় নিশ্চিত করি। এটি একধরনের মানসিক সংযোগ আপনার হোম অফিসের সাথে।

Efficient Virtual Collaboration | Smart Meetings

হোম অফিস হার্ডওয়্যার/সফ্টওয়্যার

  • অবশ্যই আপনাকে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ ব্যবহার করতে হবে কারন অনেক মেধা ভিত্তিক কাজ ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ ছাড়া সহজ হবে না। ল্যাপটপ বা ডেক্সটপে অবশ্যই সাউন্ড এবং ওয়েবক্যাম থাকতে হবে।
  • ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
  • স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ সাথে সংযোগ তৈরি করতে হবে। স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কিভাবে স্মার্টলী ব্যবহার করা যায় তার অসংখ্য ভিডিও ইউটিউভে আছে, আপনার দেখে নিতে পারেন।
  • কয়েকটি এ্যাপ্লিকেশন অত্যন্ত জরুরী যেমন ক্রোম ব্রাউজার (অনেক এ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা গুগল ক্রোম), ওয়াটসএ্যাপ, জুম, বিজয় বা অভ্র (বাংলায় লিখবার জন্য) ইত্যাদি। এছাড়া যার যার পেশা ভিত্তিক সফ্টওয়্যার তো থাকবেই।
  • গুগল আপনার জন্য অনেক বড় একটি রিসোর্স। আপনাকে খুব ভালো জানতে হবে জিমেইলের ব্যবহার, গুগল ড্রাইভের ব্যবহার, গুগলের মাধ্যমে ফরম তৈরি, গুগল ফ্রি ওয়েবসাইট, গুগল ক্যালেন্ডার, গুগল ডক, শীট, এবং স্লাইড ইত্যাদি। মাত্র বছরে ১৬০০ টাকা খরচ করলেই আপনি পেতে পারেন ১০০ জিবি ক্লাউড স্টোরেজ।
  • ফেসবুক বা লিংকডইনের মাধ্যমে আমরা এতোদিন শুধুমাত্র ছবি বা ভিডিও দেখতাম বা আপলোড করতাম। এখন আমাদের এই টুলসগুলোকে ব্যবহার করে মেধাভিত্তিক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
  • একজন সাধারন প্রফেশনাল হিসেবে আপনাকে অবশ্যই অতিসাধারন কিছু এডিটিং জানাটা অত্যন্ত জরুরী। এটি আপনাকে পরনির্ভশীলতা থেকে পরিত্রান দেবে। সেজন্য ইউটিউভের মাধ্যমে ইলাস্ট্রেটর এবং ফটোশপের কিছু সাধারন কাজ শিখে নিতে পারেন। এছাড়া ভিডিও এডিটিংয়ের উপরও রয়েছে অনেক ভিডিও। আপনাকে শুধু একটি প্রশ্ন করতে হবে ইউটিউভকে।
  • এছাড়া কেউ যদি খুব ভালো করে মাইক্রসফ্ট ওয়ার্ড, এক্সেল এবং পাওয়ারপয়েন্ট এবং গুগলকে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে তার অন্তত ৫০ ভাগ মেধাভিত্তিক কাজ ভার্চুয়ালী করা সম্ভব।

ভার্চুয়ালী মেধাভিত্তিক কাজ করার কথা মাথায় এলেই অনেকেই মনে করেন লক্ষাধিক টাকার বিনিয়োগ। আসলে আমাদের হাতের কাছে থাকা অতি সাধারন এ্যাপ্লিকেশন বা সফ্টওয়্যার দিয়েই আমরা আমাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ড খুব সহজেই চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি। প্রয়োজন শুধুমাত্র উন্নত মানসিকতার অনুশীলন এবং হাতের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু অতি সাধারন টুলস যা আমরা অপ্রয়োজনে ব্যবহার করেছি এতোদিন।

অনুশীলনে সবই সম্ভব | Practice makes everything perfect


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

AHA Blog2

Become Cultured Working in Remote Workstation

The forward-thinking /future-focused organizations have already taken the initiative of the home office using the technology and struggling to fit in the pandemic situation. It is such a sudden challenge for which the organizations and employees were not at all ready and they had to face it without any notice. So the employees faced two challenges together:

  • Ensuring productivity using technology
  • To fit with the new Working Environment

While facing the above challenges, the management has to identify the solution for the following:

  • How to Help
  • Where to Help
  • Believing that Employees really need the Help

The following points may help the organizations to go forward:

  • First of all, organizations need to help the employees to develop the mindset of the home office.
  • Give the training on the implemented solution
  • Helping them to set an environment of office tasks.

Also, organizations need to develop a trust culture among the employees.

Employees also face the following challenges:

  • Maintaining productivity
  • Fitting themselves in the working environment

It is true that the pandemic situation will be over but the organizations which will be able to survive during this period will have a great advancement in the future.  The employees can take the following measures to stay safe from any threats in their professional life:

  • Should take training on home office operation tools
  • Try to be positive
  • Give a break on daily routines
  • Develop more bonds with coworkers
  • Should know the effective use of Smartphones
  • Should Know Proper Use of Social Media
  • Should develop the soft skills which will help them to tackle environmental challenges
  • Should Know the recommended documentation process of the organizations
  • New CRM tools
  • Should have the ability to ensure the productivity tackling the issues at home office cultures.
  • Timely reporting on work progress
  • Visibility on recommended channels
  • Upgrading knowledge of relevant industries

Most importantly effective communication with the management through the prescribed channels would make a huge impact on employee’s performance.

 

Author

Amena Hasan, Sr. Assistant Director, Daffodil International University

And also a creative content developer and working as a Business Communication Expert. Currently, she is holding the office of the national president of CYFI, Google Educators Group (Dhaka).

Presentation title

4IR-Preparedness for Bangladesh

There is a big buzz in the market on Fourth Industrial Revolution. Industry Leaders, Academicians, Government and Policy Makers are discussing on this issue and made us little concerned on the change factors. Already we are experiencing change in everywhere. Innovation and technological advancement is slowly changing our life styles. We can see the impact in everywhere. We can predict that the world after 10/15 years will be different and the change will be so fast that was ever before. So the question comes how today’s kids are taking preparation for the unseen future or how our young generation is taking preparation to face the challenges of time? The preparedness is the prime importance now otherwise our next generation leaders will not be able to compete with the world and fit themselves in the change circumstances.

Let us go back to the past to understand the change steps. The first industrial revolution was sourced by the steam engines and postal communication. The second revolution was prompted by the electricity generation and telegraph. The third industrial revolution was led by IT and renewable energy. Whereas, the Fourth Industrial revolution has been triggered by the technological advancement and with the advent of Internet!

Learn More Industry 4.0

Industry 4.0, started off as a brainchild of Germany and being adopted by countries around the world. Already USA, France and Japan have already taken the first step in this direction by launching nation-wide programs. If we carefully see the change steps, we find that every revolution was forced by the innovation and invention. The shift between third and fourth revolution took very less time than it took for second to third revolution. So, it is the point which we need to consider while developing the next generation leaders. Also, the new invention is bringing higher levels of automation, inter-connectivity, and efficiencies in machines. Now we are experiencing collaboration between humans to machines and machine to machine in a less directed and more productive manner. The jobs are becoming more digital and less manual. The pattern of the job is changing and it is digitized now. So it is changing the business process and this new style of business is looking for new skills among the youth.

So, we have to think on this point. Are we preparing our kids/youth considering the change pattern? It might be difficult to predict on future change situation in business and works but we need to equip them with the skills so that they can fit themselves at any change circumstances.

Watch How Japan preparing their Kids

According to a new report by Deloitte Global and GBC-Education, 1.8 billion youth worldwide stand at the risk of being left behind by the changes that the fourth industrial revolution will bring. In this point we have to identify what qualities/skills the future leader should develop. The youth have to develop critical thinking and judgment-based skills, focus on practical learning.  The internship/apprenticeship at an early age with the industry will definitely help them to know the job market but they must go through the lifelong learning schedule and it is obvious. While adopting the challenges of I 4.0, countries are facing some challenges. Work force are now expected to have new skills in the domain of information technology, data analytics, etc. We are already experiencing a big mismatch between the skill sets job applicants have and the skill sets they are expected to possess. Also, the adoption of I4.0 presents a threat to BRICS nations (Brazil, Russia, India, China, South Africa) as there will be a big gap to competitiveness.

Education 4.0:

At the advent of industry 4.0 we are witnessing an interconnected society where Education Systems need to be changed adopting the technologies. We have to consider the following points:

  • Education Systems must be Demand-led instead of supply-led
  • The system should be Competency-based instead of knowledge-based
  • Add disruptive technologies &skill-sets
  • The system must support Lifelong learning instead of front-loaded learning
  • It should be Integrated Degree instead of one-shot going
  • Emphasis on EQ than IQ alone

 Growth Mindset of the Youth; Self Preparedness:

While considering the change pattern of the industry shall we only depend on Government or Policy makers to ensure our preparedness? The answer would be no. The change time also demand a resilient young generation, who have the ability to respond positively to life’s challenges. The Young generation should have the following qualities:

  • Mindset to hold about their own abilities to change and grow
  • To take self-development initiative
  • To have attitude for lifelong learning
  • To have creative mind
  • To have knowledge on Global Industries

Learn More about GROWTH MINDSET

Perspective Bangladesh:

Bangladesh’s preparedness for the adoption of Industry 4.0 is low. Only Govt and few private institutions has only been initiated some action plan. We are yet to see any institutional arrangements to map the change that is consuming the world at a very rapid pace. While we are experiencing the change in the Business and Works, are we preparing the youth considering the change dimension? It might be difficult to develop every job skills now, but one point is very clear to us that we cannot educate or train up the youth with all the required skills they may need for the unseen future but at least we can develop the qualities and skills by which they can survive and fit them well in the future place.

On the other hand, every year, millions of youth are entering to the job market. And the employment situation will go worst if we can’t develop them as per the requirements. So, the question comes in mind how our young generation are taking preparation to face the challenges and handle the unexpected situation? Are we prepared? We are already a blessed nation with 180 Million people where majority are the Young population. So, we have to initiate the preparation process considering the Young Population. Before taking the Change Initiative we must understand that the new economy will not be a threat if we can develop the future skills, rather it will create opportunity or change the Job Nature that exist now. So, the Young Generation should be developed considering the Change Factors in the Job Market.

Our Policy Makers may think of the following steps:

  • Change in the Education Systems. We need to shift it from traditional class room practices, for example, memorizing to practical hands on training
  • The Teaching & Learning methodology must be changes. We should focus to develop the Analytical Skills of the Young Generation
  • Tomorrows World will be driven by Brain Power rather than Muscle Power. We must design the course curricula accordingly.
  • Map our industry for labor market information
  • analyze the sectors to find where the jobs are going to be created,
  • Identify the jobs that are going to disappear, and align our education and skill programs to meet the real needs
  • The Organization should focus on Business Policy to remain relevant
  • should change the Education Policy.
  • Students must learn sills like Robotics, AI, 3D, Block Chain, Big Data, which means we need to include STEM
  • We have to start reforming our education system from primary level if we consider 2030. Our today’s kids are the main focus of tomorrow’s world. They will compete in a world which will be much advanced and unknown to us. So they have to be Critical Thinker with deep Analytical Skills. They must drive the time with adequate emotional intelligence, and we have to teach them how to ask quality question. And for this we need to ensure Brain Based Learning Methodology.

It is obvious that, the change process would not be as easy as we think of. But the preparedness should come from both the Individual and from Organizations level else success will not come.

72390895_714952502312149_4922327113022832640_n (1)

Industry 4.0, preparing ourselves for unseen future!

We all have a question in mind, how would be the future world for us? Every day we are talking about invention, innovation, technological revolution, opportunities, threats but how does these factors are going to take control in our lives? Most importantly are we ready for the future world?

Let’s take look back to the past to understand the change factors ahead. The technological invention started 3.3 million years back from now. The purpose was to serve the Human. Following this trend lot of inventions have taken place. New inventions brought new scopes and took away old practices. If we want to be more specific, then we can see, with the arrival of bronze tools, stone tools workers lost their job and at the advent of iron tools, the bronze tools workers also became jobless during the time. We are going through the same situation now. The change process is faster now. With new technological advancement, our works are getting automated. The Robots are created by humans to serve us. Again, the robots are brought in the competition with humans now. It is such a complex situation if we just think in general sense. Also, with the invention of Radio Frequency Identification, computing and high-speed networking we are already connected with entire world. The computers are now more powerful and have the Artificial Intelligence, which can recognize the face, compose music or understand spoken language.  So, once what we thought only human can do now Computer is taking that place!

Let’s take a very common example from our daily life. Every day we travel lot of places with Buses and Cars. So driving is a profession for many peoples in the entire globe. With the advancement of technology soon we are going to find driver-less vehicles. It means the Drivers are losing their job. It is not the end here. The Computer is going be a threat for the professionals at the Hospital and in the restaurant as well. Till today, the doctors are operating on the patients or pathologist are taking tests and level of anesthesia during the surgical procedure are decided by special doctor. But time is near when the complex surgical procedure, CAT scan or even low-level anesthesia will be decided by Computer.  The restaurant jobs will also take a shift. It is not far when machine will take the job of chef and cook our favorite healthy recipe for us. Many of office job will not exist but new scope will open.

Question is where we are heading to?  

It is such a complex situation if we just think in general sense, then we will understand we need preparedness to face such challenges! In this dramatic situation, Globalization has speed up the entire process. We are now competing with our next class or local organizations but our country of birth is no longer our identity. We are already a Global Citizen where even the highly skilled humans are in risk and competition is with entire world. In the past 20 years Technological Invention and Globalization have already made peoples job less in Manufacturing Industry worldwide. It is predicted that many industries will become irrelevant in the days ahead or worker will loss job due to automation or globalization. A report from Oxford says that, in next 20 years 47% jobs will be replaced by Technology. However, 70 million people are at a risk to lose the job. This is because the transition would be difficult for many workers. Then the question comes how to survive from this situation? Is it going to in against of Humans? The big questions come in mind. To face the change pattern and fit ourselves in the change process every time we need to develop skills. We need to learn new technology, new skills. We need to know the demand of the time and update us accordingly. Let’s focus on the preparedness that Organization or Individual must have to face the challenges of future times:

How the Organization should take preparation?

A very interesting report read few days back. US Companies listed in the Fortune 500 exist only for 18 years in average now, which was previously 61 years!  The same happened in UK too. But why this happened? The organizations which survived in the competition does have the relevance, brought innovation, considered the risk factors. Any kind of Industrial revolution brings risks of becoming irrelevance at a certain time. The organization must change as per the time demand, have the intelligence to see what are the changes coming ahead and now. So always have to bring innovation, change the strategy. If the organization fails to adopt changes, bring innovation and set strategy accordingly then its survival is at risk! Today’s strength may not be relevance in future. Organization must do SWOT Analysis at a certain time. And the leader must understand the dynamics and keep the change process rolling.

Preparation of Individual:

Many reports already predicted that due to the Fourth Industrial Revolution and new economy, many peoples will loss the job! We are moving to a destination which is already unknown to us. It is already mentioned that the future time will bring some challenges, technology will drive the Humans, Urbanizations will be speed up, and Industrialization will grow faster. The new changes will bring challenges before us. The success/survival from this situation will depend on what type of jobs we are doing now. It is true that the change pattern will have impact on the job market. On the other hand, many new opportunities will be created. It means jobs will be there but the pattern of the job may be different.  Many opportunity will be bloomed but the skills requirements will be different considering the pattern of jobs. The safer jobs will include those that are far less repetitive and much more creative. They include scientists, Technologist, healthcare providers, educators, gardeners, plumbers, and eldercare providers. We can’t even imagine the opportunities that new economy is bringing for us. So today’s kids need to be trained considering the future job skills. They must grow their Intelligence, should have the ability to do multitasking, develop skills, expert in technology. We have to grow them for the time we have not seen yet. The Youth at the time must follow the Global Trends, Their learning must focus on Skills. Fluent in Technology. Then there will be no point to afraid on.

Concluding Remarks

It is obvious that, the change process would not be as easy as we think of. But the preparedness should come from both the Individual and from Organizations level else success would be difficult. Because the concept of cheap labor will no longer exist globally. Most importantly the young generation must follow the Global Trends, their learning must focus on Skills. Fluent in Technology. Then there will be no point to afraid on.

blur-calculator-composition-234171

Kids for Tomorrow: Perspective 2030

Perspective:

There is an important message which was given by Khalifa Hazrat Ali (R) thousands of year’s back, “You cannot raise your children the way your parents raised you. Because your parents raised you for a world that no longer exist.”  It means the education system changes as per the time demand and we have to consider the changing pattern of the time.

With the pace of time, we experience different social, economic, environmental changes. The job market demands different skills, the technological up-gradation also requires different skills set from us. We cannot expect to deal with this situation with the same emotional intelligence that we had previously. We need a different mindset. The education needs to be upgraded at the same pace so that it enhances them with the competencies, sense, values, attitudes of that time.

To be more specific, today’s kids will lead the future society.

  • They will lead the society which we haven’t seen yet.
  • They will deal with the problem that we haven’t known yet,
  • They will run the technology which is yet to come,
  • They will carry the values which are not yet in practice,
  • And they will face the challenges which are completely unknown to us. But we have to develop them for that time.

How?

We have to research on Future Time, probable changes in technology, values, skills, and change in the job market, competencies and desired attitudes, actions, and values that will require from kids. So before we sketch the plan, we need little research on the changing pattern. This concept note focused on those future sections:

Time is impending and the change is inevitable. Children entering school in 2019 will be young adults in 2030. So they will face the challenges which are unknown/unseen/unpredictable to us. But we have to prepare them for the unknown, unseen and unpredictable future. To face the employment challenge, today’s children have to be skilled in a few factors:

  • They must be habituated to ask/generate quality questions
  • They must understand complex communication
  • They must be emotionally and socially intelligent
  • They must innovate, know innovation rather follow the invention of others
  • They should know to solve problems based on their location and culture
  • They must have the analytical ability, think deeper and solution-focused

Let’s now elaborately discuss on the above points”

  1. Ability to Ask Question: Question helps to make our understanding clear. It helps to express oneself, reduce confusion and give clear thought on any particular question. Asking question is a good manner in which kids learn during their childhood. As they grow they lost this habit for a few families, social and behavioral factors.  A supporting environment can help the kids to gain these attitudes.
  2. Complex Communication: As technology develops and enriching our lifestyle, we can expect our kids will have complex business and family environments. Their work patterns will be changed and focus will be extended. Previously we focused only on locally, but now we focus everything globally. So considering this fact, we can predict complex communication systems for our kids. We should prepare our kids for the complex communication situation.
  3. Be Innovator rather user: We need to prepare our kids so that they can innovate. Because it is already a demand for the time and gradually the expectation will go higher. Kids will invent solution/systems. In the fast competitive world, we cannot expect any kid who may not be an innovator. This innovation should be in their thought and in their action. Without innovative mind, it will be difficult to survive in the future world. We should help kids to develop this innovative mind and action.
  4. Kids should know to solve problems based on their location and culture: Every problem may not have a universal solution. Time, Place, Culture brings a different solution for different problems. Our effort will be to teach the kids to become a solution provider, not the problem identifier.
  5. Kids must have the analytical ability, think deeper and solution-focused: It will be the prime focus of the time. Kids must have an analytical mind. They must have the power to see the unseen, understand the critical point, bring easy solution of a critical problem. We cannot expect a kid to develop this virtue in a day. We have to nurture them. Play with their mind and brain so that they become habituated with a certain situation. Our effort will be to nurture this quality.
  6. Our Approach in Developing the Kids: Expertise in any particular area may not be a good point for a future time. Already peoples are loving multi-tasking ability. So our kids will be at a point to have different capability to prove themselves. We will nurture them to become STEM Expert.

 

Concluding Statement

We are now educating our kids for the unseen future. To ensure that they are prepared to take the challenges of future time, we have to take initiative now. We need to re-design/upgrade our education systems appropriately. We need to bring it in our agenda to find the right solution. The