Teaser-78

অনুপ্রেরণামূলক গল্প | উৎসাহ

একদল ব্যাঙ বনের ভেতর দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, হঠাৎ তাদের মধ্যে দু’টি ব্যাঙ গভীর গর্তে পড়ে গেল। অন্য ব্যাঙ গুলো যখন গর্তটির চারপাশে ভিড় করেছিল এবং দেখল যে এটি যথেষ্ঠ গভীর তখন তারা ব্যাঙ দুটিকে বললো যে তাদের বেঁচে থাকার কোন আশা নেই। তবে, গর্তে পড়ে যাওয়া ব্যাঙ দুটি উপরের ব্যাঙগুলোর কথা উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা গর্ত থেকে উপরে উঠবার প্রাণপণ চেষ্টা করছিলো।

গর্তের উপরের ব্যাঙের দলটি তখনও বলছিল যে তাদের হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত। তারা কখনই গর্ত থেকে বের হতে পারবে না। অবশেষে, গর্তে পড়ে যাওয়া ব্যাঙ দুটির মধ্যে একটি ব্যাঙ অন্যরা যা বলছিল সেদিকে মনোযোগ দিয়ে হাল ছেড়ে দিলো। অন্য ব্যাঙটি তখনও তার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছিলো এবং সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে লাফ দিতে থাকল।

উপরে থাকা ব্যাঙগুলো তাকে পাথর মারতে লাগলো যাতে তারা তাড়াতাড়ি কম কষ্ট পেয়ে মারা যায়। গর্তে পড়ে থাকা ব্যাঙটি আগের থেকে লম্বা এবং জোড়ে লাফ দিল এবং এক সময় সে উপরে উঠতে সক্ষম হলো। যখন সে বের হলো, তখন অন্য ব্যাঙরা বলল যে তুমি কি আমাদের কথা শুনতে পাওনি? একটু বিশ্রাম নিয়ে ব্যাঙটি ব্যাখ্যা করলো যে সে বধির, কানে কিছুই শুনতে পায় না। সে মনে করেছিলো উপরের ব্যাঙগুলো তাকে পুরোটা সময় উৎসাহ দিয়ে আসছিলো যাতে সে দ্রুত গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

গল্পের সারমর্ম: 


মানুষের কথা অন্যের জীবনের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ আছে যারা সবসময় অন্যকে উৎসাহ দেবার চেষ্টা করেন। আমি এক তরুনের সাথে কথা বলছিলাম এবং সে আমাকে জানালো যে সে বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিলো তার প্রেজেন্টেশন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য। এজন্য সে সেমিনার/ওয়ার্কশপে অংশগ্রহন করত। একদিন স্বীদ্ধান্ত নিলো সে ইউটিউভে তার ভিডিও আপলোড করবে। সে তার চেহারাকে গোপন করে শুধু তার ভয়েসকে ব্যবহার করে ভিডিও করতে লাগলো এবং তার বন্ধুরা তাকে যথারিতী প্রশংসা করতে লাগলো। একদিন এক বন্ধু তাকে পরমর্শ দিলো সে যেন তার চেহারাটাও ভিডিওতে ব্যবহার করে। বন্ধুর উপদেশ গ্রহন করে সে তার প্রথম ভিডিও আপলোড করলো এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলো। বন্ধুরা তার কাজ দেখে প্রশংসা করা শুরু করলো এবং কোন জায়গায় আরো উন্নয়ন প্রয়োজন সেগুলোও উল্লেখ করলো। বন্ধুদের প্রশংসা এবং পরামর্শ শুনে সে ভিডিও করতে থাকলো এবং দেখতে দেখতে তার ইউটিউভ চ্যানেলে প্রায় ১০ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হলো। আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম দেড় বছরের মধ্যে তোমার এই সাফল্য তুমি কাদের উৎসর্গ করতে চাও। সে নির্ধিধায় উত্তর দিলো প্রথমে আমার সৃষ্টিকর্তা এবং তারপর আমার সকল বন্ধু এবং শুভাকাঙ্খি যারা আমাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহের মাধ্যমে সাহস যুগিয়েছে।  

আপনার মুখ থেকে প্রতিটি শব্দ বা কলম দিয়ে লেখা প্রতিটি অক্ষর আপনার নিজের অজান্তেই আপনার কাছের বা দুরের মানুষদের সাহস যোগায় আবার ব্যর্থ করে দেয়। এজন্য আমি বিশ্বাস করি ”যদি আর কোন কিছু না পাও সাহায্য করবার তাহলে অন্তত ভালো কিছু শব্দ দিয়ে সাহায্য করে দিও”। কেউ হয়তো অনেক কষ্ট করে একটি কাজ সম্পন্ন করে আপনার কাছে জমা দিয়েছে। বেশী কিছুনা লাগবে না শুধুমাত্র একটি ধন্যবাদ এবং আরো উন্নয়নের জন্য কিছু পরামর্শ, দেখবেন বিদ্যুতের গতিতে যে ছুটে গিয়ে আরো মনোযোগ দিয়ে পরিশ্রম করছে।

অতএব আমাদের সবার উচিত মুখ থেকে শব্দ বের হওয়ার আগে আমি কি বলছি তা নিয়ে একটু চিন্তা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


গল্পটি গুগল থেকে সংগৃহীত। সারমর্ম লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

Teaser-63

অনুপ্রেরণামূলক গল্প | হয়তো লি কিম তার বিবাহের দিনটির কথা সাড়া জীবনেও ভুলবেন না

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গ্রামে ছোট্ট পরিবার নিয়ে এক সময় বাস করতো লি কিম। লি কিমের বাবা বেঁচে ছিলেন না এবং পরিবারে তাঁর মা, দাদী ও এক কিশোরী বোন ছিল। লি কিম যখন বিয়ের যোগ্য হয়েছিলেন তখন তাঁর মা তাঁর জন্য উপযুক্ত কনে খোঁজার কাজটি করেছিলেন। অনেক যোগাযোগের পর তিনি একটি মেয়েকে সনাক্ত করলেন তার ছেলের জীবনসঙ্গী হিসেবে।

উভয় পক্ষই বিবাহে সম্মতি জানালে, বিয়ের তারিখ নির্ধারন করা হলো। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য বিয়ের জন্য কাজ শুরু করে দিলেন। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজ বেছে নিলেন এবং সে অনুযায়ী কাজ চলছিল। লি কিম বললেন আমি আমার বিয়ের স্যুটের দায়িত্ব নিলাম এবং এটি আমিই অর্ডার দেবো। সবাই খুব ব্যস্ত, আনন্দিত কারন বাড়ির একমাত্র ছেলের বিয়ের হচ্ছে যে অনেক ছোট বয়স থেকেই পরিবারের হাল ধরেছে এবং সকলের মুখে হাসি ফুটাবার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। সবাই চাচচ্ছিল লি কিমের বিয়েতে যেন কোন কমতি না থাকে। লি কিম সহ পরিবারের সবাই বিভিন্ন কাজে এতোটাই ব্যস্ত ছিলো বিয়ের দুদিন আগে হঠাৎ লি কিমের মাথায় এলো যে বিয়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে বিয়ের স্যুট সেটিই সে অর্ডার দিতে ভুলে গেছে। তড়িঘড়ি করে সে বাড়ির কাছের একটি দর্জির দোকানে গেলো এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বললো। দর্জি তার বিপদের কথা শুনলেন এবং রাজি হলেন এতো অল্প সময়ের মধ্যেও বিয়ের স্যুট বানিয়ে দিতে। বিয়ের অন্যান্য কাজ শেষ করে লি কিম বিয়ের আগের রাত ৯ টার দিকে দর্জি দোকানে গিয়ে হাজির এবং ততক্ষণে দর্জি দোকান বন্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। লি কিমকে দেখে দোকান খুলে তার স্যুটটি দিলেন এবং বললেন এই স্যুটটি গায়ে দিয়ে দেখবার জন্য। লি কিম বলেন এখনো অনেক কাজ বাকি আছে তাই তিনি একবারে বাড়িতে গিয়েই পরে দেখবেন।


রাতের খাবার শেষ করে লি কিম চিন্তা করলেন যে একবার পরে দেখি স্যুটটি কেমন হয়েছে। স্যুটটি পরেই লি কিমের মন খারাপ হয়ে গেলো। স্যুটের প্যান্ট প্রায় তিন ইঞ্চি বড় হয়ে গেছে। বাড়ির সবাই কে দেখালেন এবং সবাই মন খারাপ করে যার যার কাজে চলে গেলেন। লি কিমও মন খারাপ করে কাপড়গুলো আলমিরাতে রেখে দিলেন।   

অনেক রাতে মায়ের ঘুম ভেঙে গেলো এবং চিন্তা করলেন আমার ছেলের কাল এতো বড় একটি আনন্দের দিন আর তার ছেলেকে তিন ইঞ্চি লম্বা প্যান্ট পড়তে হবে আর আমি মা হিসেবে সেটা কিভাবে দেখবো? মা ঘুম থেকে উঠলেন, সুই-সুতা-কাচি বের করলেন এবং প্যান্টটিকে তিন ইঞ্চি ছোট করে ভাঁচ করে রেখে আবার শান্তি ঘুমাতে গেলেন।

প্রিয় ছোট বোনেরও ঘুম আসছিল না এবং চিন্তা করছিল আমার বড় ভাইয়ের জন্য কাল এতো বড় একটি আনন্দের দিন আর ভাইকে কেমন বোকার মতো দেখা যাবে এবং সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে! বোন ঘুম থেকে উঠলো, সুই-সুতা-কাচি বের করলো এবং প্যান্টটিকে তিন ইঞ্চি ছোট করে ভাঁচ করে রেখে আবার আনন্দে ঘুমাতে গেলো।

লি কিমের প্রিয় দাদী জেগেছিলেন অনেক রাত পর্যন্ত কারন তারও ঘুম আসছিল না এবং তিনিও চিন্তা করছিলেন আমার নাতীর কাল এতো বড় একটি আনন্দের দিন আর তাকে তিন ইঞ্চি লম্বা প্যান্ট পড়তে হবে আর আমি দাদী হিসেবে সেটা কিভাবে দেখবো? দাদী ঘুম থেকে উঠলেন, সুই-সুতা-কাচি বের করলেন এবং প্যান্টটিকে তিন ইঞ্চি ছোট করে আবার ভাঁচ করে রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে গেলেন।

পরের দিন সকালে যখন লি কিম ঘুম থেকে উঠে স্যুটটি গায়ে দিলেন, তখন তাঁর মুখের অবস্থা ভয়ংকর দেখাচ্ছিল যখন তিনি বুঝতে পারলেন যে তাঁর প্যান্টের এখন আরও খারাপ অবস্থা – ৬ ইঞ্চি ছোট!

হয়তো লি কিম তার বিবাহের দিনটির কথা সাড়া জীবনেও ভুলবেন না।

গল্পটির সারমর্ম

আমাদের জীবনে যোগাযোগের (Communication) গুরুত্ব অপরিসীম। উপরের ঘটনাতে কাউকেই সরাসরি দোষারোপ করা যাবে না কারন কারোই উদ্দেশ্য খারাপ ছিলো না। যে জায়গাতে ভুল হয়েছে তা হলো ছোট্ট একটি বার্তা “আমি প্যান্টটি ঠিক করে রেখে দিয়েছি“। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা যোগাযোগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্তম্ভকে ভুলে যাই যেমনঃ

  • মানুষ
  • বার্তা
  • প্রেক্ষাপট
  • শ্রবন
  • বডিল্যাগুয়েজ

এই পাঁচটি স্তম্ভকে আমরা অনেকেই এক করতে পারি না। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের অতি সাধারন কাজও নষ্ট হয়ে যায় সামান্য যোগাযোগর ভুলের কারনে। কোন মানুষকে কোন প্রক্ষেপটে কোন বার্তাটি দেবার প্রয়োজন এবং সেই বার্তাটি দেবার আগে সে বিষয়ে ভালো করে শুনবার চেষ্টা করা হয়েছে কিনা বা সব কিছু ঠিক আছে শুধুমাত্র আমার দেহের ভাষার গড়মিলের কারনে যোগাযোগের পুরো প্রক্রিয়াটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলাফল ব্যর্থতা!

সেজন্য বলা হয় যোগাযোগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুত্র হলো “সঠিকভাবে বুঝে নেয়া এবং সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেয়া”। এই সুত্রটি যিনি নিয়মিত অনুশীলন করবেন তার কাছে ব্যর্থতা শব্দটি হবে অস্বাভাবিক কারন অনুশীলনে সবই সম্ভব

নীচের এই ভিডিওটি মনোযোগ দিয়ে শুনলে আপনারা অনেক কিছু ধরতে পারবেন বলে আশা রাখছি:

https://www.youtube.com/watch?v=7LanFKuqCqc&t=130s

গল্পটি গুগল থেকে সংগৃহীত। অনুবাদ এবং সারমর্ম লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

Teaser-64

অনুপ্রেরণামূলক গল্প |ছেলের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে বাবা যে কাজটি করতে বললেন

অনেক বছর আগে একটি গ্রামে বাবার সাথে বাস করতো ছোট্ট ছেলে যার অসম্ভব রাগ ছিলো। কোনভাবেই ছেলেটি তার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো না এবং বারবার মেজাজ হারিয়ে ফেলতো। বাবাও বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন তার ছেলের খিটখিটে মেজাজ দেখে। একদিন ছেলেটির বাবা একটি উপায় বের করলেন। ছেলেকে ডেকে এক ব্যাগ ভর্তি পেরেক দিয়ে বললেন ঐ যে বাঁশের বেড়া দেখতে পাচ্ছো, যখনই তুমি তোমার মেজাজ হারিয়ে ফেলবে তখনই তুমি একটি করে পেরেক ঐ বাঁশের বেড়াতে হাতুরী দিয়ে গেথে দেবে। প্রথম দিন ছেলেটি ৩৭টি পেরেক গেথেছিল বাঁশের বেড়াতে। ছেলেটি দেখতে পেল ধীরে ধীরে কয়েক সপ্তাহর মধ্যে তার মেজাজ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছে এবং বাঁশের বেড়াতে পেরেকের সংখ্যাও কমে আসছে। একদিন ছেলেটি উপলব্ধী করলো বেড়াতে হাতুরী দিয়ে পেরেক গাথবার চেয়ে মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ।

তারপর একদিন এলো যেদিন ছেলেটির একটি পেরেকও হাতুরী দিয়ে বাঁশের বেড়াতে গাথতে হয়নি। সাথে সাথে দৌড়ে বাবার কাছে গিয়ে সুখবরটি দিল। বাবা ছেলেটির কথা শুনে খুশি হলেন এবং বললেন এরপর যতবার তুমি তোমার মেজাজ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে ততবার একটি করে তোমার লাগানো পেরেক তুলে ফেলবে। দিন কেটে যাচ্ছিলো এবং ছোট্ট ছেলেটি শেষ পর্যন্ত তার বাবাকে বলতে পেরেছিল যে সমস্ত পেরেক বেড়া থেকে সে তুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। বাবা তার ছেলের হাত ধরে বেড়ার দিকে নিয়ে গেলেন এবং তারপর বললেন:  

বাবা তুমি খুব ভালো কাজ করেছো যে সবগুলো পেরেক তুলে ফেলেছো তারমানে তুমি তোমার মেজাজকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছো কিন্তু বেড়াটির দিকে তাকিয়ে দ্যাখো সেটি আর আগের মতো নেই। অনেকগুলো ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি আর কখনই আগের মতো সুন্দর দেখাবে না। ক্ষতগুলো সারাজীবন রয়ে যাবে। তুমি যখন রাগের মাথায় কথা বলো, সেটি মানুষের মনে ঠিক এই বেড়ার গায়ে লেগে যাওয়া দাগের মতো ক্ষতের সৃষ্টি করে যা কখনও মুছে ফেলা যায় না। তুমি তোমার কথা দিয়ে একজন মানুষকে আঘাত করলে তারপর হাজারবার দুঃখিত বললেও তাতে কিছু যায় আসে না কারন যে ক্ষতটির সৃষ্টি হয়েছে তা কখনও পূরন হবে না।  

গল্পটি সারমর্ম

”রেগে গেলেন তো হেরে লেগেন”, আমরা সবাই এই উক্তিটি জানি এবং আমাদের সকলেরই উচিত নিজেদের ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করা। গুরুজনেরা সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে রাগের মুহুর্তে এমন কিছু বলবে না যা তোমার ভেতর পরবর্তীতে অনুশোচনার সৃষ্টি করবে এবং তুমি চাইলেও আর আগের অবস্থায় ফেরত যেতে পারবে না।

যেভাবে নিজের ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেনঃ


আমার নিজেরও প্রায়ই মেজাজ হারিয়ে যেত এবং কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হতাম না। একদিন এমনই মেজাজ হারিয়ে ফেলার দিন এলো এবং আমি কোনকিছু না ভেবেই সে জায়গা থেকে বেড়িয়ে চলে এলাম এবং কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে রাস্তা দিয়ে হাটা শুরু করলাম। তারপর খেয়াল করলাম সামনেই একটি মসজিদ এবং ঢুকে নামাজ পড়ে বসে রইলাম। অল্পকিছুক্ষন পর খেয়াল করলাম আমার মনটা শান্ত হয়ে গেলো। তারপর থেকে আমি উত্তপ্ত যে কোন পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসি। দ্বিতীয় যে কাজটি আমি করি তা হলো একটু বিরতি নিয়ে তারপর আবার শুরু করি। তৃতীয়তো আমি এমন কোন ব্যক্তির সাথে পারত পক্ষে কথা বলিনা যার সাথে যোগযোগ করলে আমি তার আচরনের কারনে মেজাজ হারিয়ে ফেলতে পারি। এ তিনটি উপায় হয়তো আমার জন্য কাজে লেগেছে, সবার জন্য যে প্রয়োজনে আসবে সেটি নয়। আপনার অনুশীলনের প্রক্রিয়া আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। অনেক মানুষের কাছে শুনেছি যে বিরক্তিকর মুহুর্তে তারা করেকটি কাজ করে থাকেন যেমনঃ

  • উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কথা বলার আগে অনেকবার চিন্তা করেন।
  • পরিস্থিতি একবার শান্ত হয়ে গেলে তারপর নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
  • উত্তপ্ত জায়গা থেকে নিজেকে বের করে নিয়ে আসেন।
  • একটু বিরতি নিয়ে তারপর গুছিয়ে উত্তর দেবার চেষ্টা করেন।
  • উত্তেজনা মুক্ত করতে হিউমার ব্যবহার করেন।
  • মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখবার বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা অনুশীলন করেন ইত্যাদি।   

বন্ধুরা ক্রেধকে নিয়ন্ত্রন করবার কাজটি হয়তো প্রথমে অনেক কঠিন মনে হবে কিন্তু মনে রাখতে হবে সঠিকভাবে অনুশীলন করলে সবকিছুই সম্ভব করা যায়। কারন আমি বিশ্বাস করি 

অনুশীলনে সবই সম্ভব | Practice makes everything perfect


গল্পটি গুগল থেকে সংগৃহীত। অনুবাদ এবং সারমর্ম লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

Teaser-65

অনুপ্রেরণামূলক গল্প | ছেলের প্রশ্নে মা উট বিব্রত

একদিন একটি মা এবং একটি শিশু উট অলস দুপুরে বসে ছিল এবং হঠাৎ শিশু উটটি মা উটটিকে জিজ্ঞাসা করলো, মা, আমি কি তোমাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারি?

মা বললো, অবশ্যই! কেন বাবা, তোমাকে কি কোন কিছু বিরক্ত করছে? না! তবে আমার মনের ভেতর কিছু প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে।

তোমার কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন আমাদের পিঠের উপর কুঁজ কেন?”

আচ্ছা বাবা শোন, আমরা মরুভূমির প্রাণী, আমাদের শক্তির প্রয়োজন আর সেজন্যই আমরা কুঁজের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করে থাকি এবং আমরা খাবার ছাড়া মরুভূমিতে প্রায় একমাস বেঁচে থাকার জন্য পরিচিত।

ঠিক আছে, তাহলে ২য় প্রশ্ন আমাদের পা এতো দীর্ঘ এবং বৃত্তাকার কেন?

বাবা, এটি আমাদের মরুভূমিতে দ্রুত গতিতে চলবার জন্য সাহায্য করে। এই পা দিয়ে আমি মরুভূমির চারপাশে যে কারও চেয়ে দ্রুত গতিতে চলতে পারি!

ঠিক আছে, তাহলে ৩য় এবং শেষ প্রশ্ন আমাদের চোখের পাতা দীর্ঘ কেন? কখনও কখনও এটি আমাকে বিরক্ত করে!

মৃদু হেসে মা বললো, এই দীর্ঘ ঘন চোখের পাতা গুলি আমাদের মরুভূমির বালুঝড় থেকে আমাদের চোখকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

এবার শিশু উটটি কিছুক্ষণ ভাবনার পর বলল, সুতরাং বলা যায় যে আমরা যখন মরুভূমিতে থাকি তখন কুঁজের মাধ্যমে আমরা শক্তি সঞ্চয় করি, বৃত্তাকার বড় বড় পা গুলো মরুভূমির মধ্য দিয়ে চলতে সাহায্য করে এবং এই চোখের বড় ঘন পাতা আমার চোখকে মরুভূমির বালুঝড় থেকে রক্ষা করে। “মা তাহলে আমরা চিড়িয়াখানায় কি করছি?”


গল্পের সারমর্ম:

আপনার জ্ঞান, দক্ষতা, আচরন, কর্মক্ষমতা এবং যোগ্যতা তখনই কাজে আসবে যদি এটি সঠিক জায়গায় ব্যবহার করা হয়। আমরা প্রত্যেকেই দক্ষতা বিকাশ করছি কোন লক্ষ্যকে সামনে না রেখে। এককথায় বলা যায় লক্ষ্য ছাড়া দক্ষতা বিকাশ ঘটছে প্রতিনিয়ত। আমরা প্রায়ই দেখছি আমরা যেটি ভালোবাসি সেটি আমরা দক্ষভাবে করতে পারছি না। আমরা যেটি দক্ষভাবে করতে পারছি সেটি আমরা ভালোবাসি না। যার ফলে আমাদের মধ্যে একধরনের বিরক্তির জন্ম নেয়। কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের মনের সাথে লক্ষ্যের এবং লক্ষ্যের সাথে দক্ষতার কোন সংযোগ থাকে না। তাই সময় থাকতে আমাদের এখনি লক্ষ্যকে নির্ধারন করে জ্ঞান এবং দক্ষতা বিকাশ করতে হবে। না হলে শিশু উটটির মতো হয়তো আমাদেরও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে কোনও না কোন একদিন।

গল্পটি গুগল থেকে সংগৃহীত। অনুবাদ এবং সারমর্ম লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

Teaser-54

রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন

ঘটনা#১ঃ

সকালে বাসা থেকে অফিসে যাচ্ছি। মিরপুর মাজার রোডে হঠাৎ দুই রিক্সার মাঝখানে পড়লো আমার উবার। এর মধ্যে একটি রিক্সাতো গাড়িতে ঘষা লাগিয়ে দিচ্ছিল প্রায়, ড্রাইভার সাহেব গাড়ির গ্লাস নামিয়ে রাগ হয়ে চিৎকার করে ধমক দিয়ে বললেন গাড়িতে লাগলে কিন্তু খবর আছে। চাচা টাইপের রিক্সাচালক উল্টা দিল ঝাড়ি। ঝাড়ি খেয়ে ড্রাইভার সাহেব ব্রেক করলেন, তারপর গ্লাস নামিয়ে রেখে দুইজনের ঝগড়া আর আমার ২০ মিনিট লস।

ঘটনা#২ঃ

বিকেলে আমার অফিস থেকে বনানী আমার এক বন্ধুর অফিসে যাচ্ছি। বনানী তে আবার সেই রিক্সার জট। এইবার আরেক চাচা টাইপ রিক্সাচালক কে ড্রাইভার সাহেব হাসি দিয়ে বললেন চাচা আমি আগে যাই? চাচা উল্টা হাসি দিয়ে বললেন যান বাবাজী। ব্যাস ২০ মিনিট লাভ হয়ে গেলো

Moral of the Story:

রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। রেগে গিয়ে হেরে আমরা প্রায়শই যাচ্ছি তারপরও নিজের কাছে প্রশ্ন করি আমি হেরে গেলাম কেনো?


Teaser-52

Struggle কে জয় করতে কি প্রয়োজন?

 

গতকাল এশার নামাজ পড়ে অফিস থেকে বের হবার পর ক্রিসেনট লেকের কাছাকাছি এসে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে যাই। দেখতে পেলাম ১০/১২ বছরের একটি মেয়ে ফুলের মালা বিক্রি করছে। অনেকের কাছে সে বিক্রি করার চেষ্টা করছে। আমি মনে মনে ভাবলাম ও যদি আমার কাছে আশে তাহলে আমি ওর কাছ থেকে মালা গুলো কিনব এবং যে দাম চাইবে সেই দামই দেবো। ঠিক ১০/১২ টি গাড়ি পার করে আমার কাছে এসে হাজির।

এগুলো কিসের মালা? উত্তরে বললো “বেলী ফুলের মালা”। দাম কত? এক পিস ২০ টাকা। অনেক বেশি দাম। ভাইয়া আপনি কত দিবেন? তুমি বলো কত করে দেবে? আপনার জন্য একটা ২০ টাকা। স্যার নিয়ে নেন ম্যাডাম অনেক খুশী হবে। তুমি বুঝলা কেমনে? আমি জানি ভাইয়া। তোমার কাছে কত গুলো আছে? স্যার ৫টা আছে। ৫ টাই দাও। বলো এইবার দাম কত? সত্যিই ৫টাই নেবেন? স্যার ১০০ টাকা দিয়েন। প্লিজ ভাইয়া নিয়ে নেন আপা খুশি হবে। আমি ৫টা ৫০ টাকা দেবো, তাড়াতাড়ি বলো সিগন্যাল ছেড়ে দেবে। অনেকক্ষণ চুপ থেকে বলে নেন।

আমি বললাম ঠিক আছে যাও ১০০ টাকার ভাঙতি টাকা নিয়ে আসো। ও মালা গুলো দিয়ে এক দৌড়ে চলে গেলো ভাঙতি আনতে। ততক্ষণে সিগন্যাল ছেড়ে দিয়েছে আর আমি একটু সামনে গিয়ে সাইড করে রেখেছি। কিছুক্ষণ পর আমাকে এসে বলে এই নেন ভাইয়া ৫০ টাকা। আমি বললাম এই নাও ৫০ টাকা তোমার মালা দাম আর এই হচ্ছে ৫০ টাকা তোমার বোকশিস তোমার ভালো ব্যবহারের জন্য। আমি দূর থেকে ওর আনন্দ দেখতে চাচ্ছিলাম। মুহূর্তের মধ্যে ও সবাই কে জড়ো করলো আর বলতে লাগলো। কি বলছিল জানি না তবে সবাই ওকে সাবাসী দিচ্ছিলো। তারপর পাশে বসে থাকা ছোট্ট বোনকে নিয়ে খেলা শুরু করে দিলো, মনে হয় আজকের টার্গেট পূর্ণ হয়ে গ্যাছে। ওর হাসি দেখে মনে হলো সে আজ Star of the Day.

আমরা সবাই কোন না কোনভাবে বিক্রয়কর্মী। এরকম আনন্দ আমরা সবাই করতে চাই, Star of the Day সবাই হতে চাই কিন্তু পারি না কারণ Star of the Day হতে হলে যে আনন্দ নিয়ে পরিশ্রম করা দরকার সেটি আমরা করি না বা করতে পারছিনা। আমি চাইলে মেয়েটিকে কষ্ট ছাড়াই ১০০ টাকা দিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু যে জয়ী ভাব তাঁর ভেতর এসেছে সেটা হয়তো সে পেতো না।

Moral of the Story: আমার এক ছাত্র আমাকে বলে ছিল “Struggle কে জয় করতে হলে আরো বেশী Struggle করতে হবে”


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট ([email protected])

 


Career Objective for CV6

সিভিতে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ কিভাবে লিখবো?

আমাদের প্রত্যেকেরই কমবেশী সিভি বা রিজুমে লিখতে হয়। সম্ভব সিভি বা রিজুমে একমাত্র ডকুমেন্ট যা সবচেয়ে বেশী কপি করা হয় এবং সত্যিকার অর্থে বললে সিভির জন্য সাহায্য চাইতে কারোরই কোন সংকোচবোধ হয় না কারন এটি একটি সার্বজনীন স্বীকৃত যে সিভি লিখতে হলে অন্যজনেরটি সাবার আগে কপি করে তারপর নিজের তথ্য সংযোজন করতে হয়। এ নিয়ে অনেক মজার মজার ঘটনা যেমন জেন্ডার পরিবর্তন করতে ভুলে যাওয়া বা নিজের বাবার নামটিও পরিবর্তন না করে বন্ধুর বাবার নাম রেখে দেয়া। যাইহোক আজকের ব্লগে সম্পূর্ণ সিভি নিয়ে লিখবো না তবে সিভির ভেতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) নিয়ে লিখবো। আমার এই ব্লগটি পড়া শেষ করলে আপনি জানরত পারবেন: ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) গুরুত্ব এবং একটি স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective)।

সিভি যেমন সবচেয়ে বেশী কপি করা হয় তেমনি সম্পূর্ণ সিভির থেকে অবজেক্টিভ (Career Objective) অংশটি তারচেয়েও বেশী পরিমানে কপি করা হয়। সেজন্য আমরা দেখতে পাই সবারই ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) প্রায় একই রকম। একজন নিয়োগকর্তা যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন তখন তাদের কাছে হাজার হাজার সিভি জমা পরে। স্বভাবতই সম্পূর্ণ সিভি একজন নিয়োগকর্তা বা নিয়োগ বিভাগ কখনই পড়তে পারেন না। তখন তারা কয়েকটি স্থান দেখে সিভিটিকে প্রাথমিকভাবে স্ক্রিনিং করেন। সহজভাবে বললে হাজারখানেক সিভি থেকে কিছু সংখ্যক সিভিকে তারা প্রাথমিক স্ক্রিনিং বক্সে রেখে বাকিগুলো বাদ দিয়ে দেন। যে কয়েকটি স্থান দেখে প্রাথমিকভাবে একটি সিভি সিলেক্ট করা হয় তারমধ্যে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) অন্যতম। ৬০ থেকে ৭০ শব্দের ৫/৬ লাইনে গঠিত অনুচ্ছেদ দেখেই নিয়োগকর্তা স্বীদ্ধান্ত নেন কাকে ইন্টার্ভিউর জন্য ডাকবেন আর কাকে ডাকবেন না। ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ (Career Objective) হলো চাকরি সন্ধানের যাত্রাপথের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ কারণ এই অংশটুকুই নিয়োগকর্তাকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করে। এক কথায় বললে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভের মাধ্যমেই নিয়োগকর্তা অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার দক্ষতা, জ্ঞান, কর্মক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারেন। কিন্ত এক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশকে আমরা প্রায় সকলেই অবহেলা সহকারে লেখার চেষ্টা করি। ক্যারিয়ার বিশেজ্ঞরা আবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে সম্পূর্ণ সিভি লেখার পর ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ লিখতে হয়।

ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ লিখবার জন্য করেকটি ধাপ আমরা মেনে চলতে পারি। ধরে নেই আমি আমার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ লিখছি এবং আমি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেড়িয়েছি এবং সেই অর্থে আমার কোন ফরমাল কাজের অভিজ্ঞতা নেই। সেক্ষেত্রে আমি যে ধাপগুলো অনুসরন করবো:

ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ যার কোন অভিজ্ঞতা নেই

  • আমার সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য (Strong Trait):

পৃথিবীর যেকোন নিয়োগকর্তা একজন স্বপ্রনোদিত বা স্ব-অনুপ্রানিত মানুষকেই তার কর্মক্ষেত্রের জন্য নিয়োগ করতে চান কারন একজন স্ব-অনুপ্রানিত মানুষ যেমন নিজেকে অনুপ্রানিত করে তেমনি তার দলের অন্য সবাইকে অনুপ্রানিত করবার চেষ্টা করে। অতেএব এখানে আমি উল্লেখ করতে পারি ”Highly Self Motivated

  • আপনার পেশা বা কাজের শিরোনাম (Your Profession or Job Title):

যেহেতু আমার পূর্বের কোন ফরমাল কাজ করবার অভিজ্ঞতা নেই সেহেতু আমি নিজেকে মার্কেটিং গ্রাজুয়েট “Marketing Graduate” হিসেবে পরিচয় দেবো আমার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভে।

  • ২+২ দক্ষতা

আমার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভে অবশ্যই ২টি হার্ডস্কিলস এবং ২ সফ্টস্কিলস উল্লেখ করতে হবে। যেমন: “Skilled in Digital Marketing & Adobe Designing Tools (২টি হার্ডস্কিলস) with proven communication and Teamwork skills (২টি সফ্টস্কিলস).

  • যে প্রতিষ্ঠানে এবং পজিশনের জন্য আপনি আবেদন করেছেন:

মনে রাখতে হবে আপনার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ হলো ডাইনামিক মানে হলো এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং পজিশনের জন্য ভিন্ন ভিন্নভাবে লিখতে হতে পারে। যেমন: “Seeking a position as a marketing intern at Daffodil Group”

  • প্রতিষ্ঠানকে আপনি কি অফার করছেন?

মনে রাখতে হবে প্রতিষ্ঠান আপনাকে তখনই ইন্টার্ভিউর জন্য ডাক দেবে যখন সে আপনার ক্যারিয়ার অবজেক্টিভে প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনার অফার খুঁজে পাবে। যেমন: “to utilize knowledge and skills to help the company through digital marketing and branding”

  • প্রতিষ্ঠানে কাজ করা কালীন আপনার টার্গেট কি হবে? যেমন: for generating revenue.”

উপরের ছয়টি ধাপকে যদি একত্রে লিখবার চেষ্টা করি তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য গ্রাজুয়েটের স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ হবে নিম্নরুপ:

Sample Career Objective for No experienced person: Highly self-motivated marketing graduate skilled in Digital Marketing & Adobe Designing Tools with proven communication and Teamwork skills. I am Seeking to join Daffodil Group as a marketing intern to utilize knowledge and skills to help the company through digital marketing and branding for generating revenue.


এখন উপরের স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ যার সিভিতে থাকবে তাকে অবশ্যই হার্ডস্কিলস এবং সফ্টস্কিলসের প্রমান সহ ইন্টার্ভিউ বোর্ডে যেতে হবে এবং সিভির ভেতরের অংশেও উল্লেখ করতে হবে।

ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ যার অভিজ্ঞতা আছে

যার অভিজ্ঞতা আছে তার জন্য উপরের ছয়টি ধাপ ঠিকই থাকবে তবে আরো ৩টি ধাপ যুক্ত হবে। যেমন:

  • অভিজ্ঞতা (Experience) 2+ Years of Experience
  • আমার আগের কাজটিতে যা পারফর্ম করেছি: Design, Develop and coordinate marketing plans, advertising, direct marketing, and campaigns 
  • আগের প্রতিষ্ঠানের নাম এবং যে পজিশনে কাজ করেছি: Skill.jobs as Marketing Executive

উপরের আরো ৩টি ধাপকে যদি একত্রে লিখবার চেষ্টা করি তাহলে একজন অভিজ্ঞ প্রফেশনালের স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ হবে নিম্নরুপ:

Sample Career Objective for an experienced person: Highly self-motivated marketing Professional skilled in Digital Marketing & Adobe Designing Tools with proven communication and Teamwork skills. 2+ years of experience in Design, Develop and coordinate marketing plans, advertising, direct marketing, and campaigns for the Skill.jobs as Marketing Executive. I am Seeking to join Daffodil Group as Sr. Executive to utilize my knowledge, skills, and experience to help the company through digital marketing and branding for generating revenue.

এখন উপরের স্যাম্পল ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ যার সিভিতে থাকবে তাকে অবশ্যই হার্ডস্কিলস এবং সফ্টস্কিলসের সাথে দুই বছরে অভিজ্ঞতার প্রমান সহ ইন্টার্ভিউ বোর্ডে যেতে হবে এবং সিভির ভেতরের অংশেও উল্লেখ করতে হবে।

https://www.youtube.com/watch?v=nPoFeHa65Hk&t=4s
১২ মিনিটের এই ভিডিওটি আপনাকে সাহায্য করবে আরো ভালোভাবে বুঝতে

যাই হোক সবার প্রতি আমার একটাই অনুরোধ থাকবে সিভি যেমন তেমন করে বানিয়ে পাঠাবার বিষয় নয়। নিজের সিভিকে উইনিং সিভি বানাবার জন্য অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন, তাদের অনুরোধ করুন আপনার সিভিকে মূল্যায়ন করবার জন্য, দরকার বিনিয়োগ করে হলেও একজন দক্ষ পরামর্শক নিয়োগ করুন যাতে আপনার সিভিটি কোন নিয়োগকর্তা অবহেলায় ফেলে না দেয়।


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (বিএসডিআই)

IMG_0796

লক্ষ্য অর্জনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা | Accountability

 

আমরা লক্ষ্য নির্ধারন করি, লক্ষ্যকে পক্রিয়ার ভেতর ফেলবার চেষ্টা করি, লক্ষ্যকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করি, লক্ষ্যকে জনসম্মুখে নিয়ে আসি কিন্তু জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে যদি বিন্দুমাত্র অবহেলা থাকে তাহলে লক্ষ্য অর্জনে বাধা আসতে পারে। লক্ষ্য অর্জনে বাধা হিসেবে সবচেয়ে যে শব্দটি বিষের মতো কাজ করে তা হলো গড়িমসি বা ইংরেজীতে যাকে বলে procrastination. ছোট বেলায় পরীক্ষার রুটিন আসার পর থেকে আমার মা সবসময় আমার পিছে লেগে থাকতেন যেন আমি সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রে কোন গড়িমসি না করি। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য আমি যে লক্ষ্য নির্ধারন করেছি সেটাও আমার গড়িমসির কারনে ব্যাহত হতে পারে। সেজন্য ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা মানে হলো যিনি আপনাকে পদে পদে উপদেশ দেবেন, কোন কৌশল অবলম্বন করলে ভালো হয় সেটা বলে দেবেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনটি আগে করা উচিৎ সেটা বলে দেবেন এবং কিভাবে অতি সহজে করা যার তাও দেখিয়ে দেবেন।

আমরা লক্ষ্য নির্ধারন করি, লক্ষ্যকে পক্রিয়ার ভেতর ফেলবার চেষ্টা করি, লক্ষ্যকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করি, লক্ষ্যকে জনসম্মুখে নিয়ে আসি কিন্তু জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে যদি বিন্দুমাত্র অবহেলা থাকে তাহলে লক্ষ্য অর্জনে বাধা আসতে পারে। লক্ষ্য অর্জনে বাধা হিসেবে সবচেয়ে যে শব্দটি বিষের মতো কাজ করে তা হলো গড়িমসি বা ইংরেজীতে যাকে বলে procrastination. ছোট বেলায় পরীক্ষার রুটিন আসার পর থেকে আমার মা সবসময় আমার পিছে লেগে থাকতেন যেন আমি সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রে কোন গড়িমসি না করি। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য আমি যে লক্ষ্য নির্ধারন করেছি সেটাও আমার গড়িমসির কারনে ব্যাহত হতে পারে। সেজন্য ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা মানে হলো যিনি আপনাকে পদে পদে উপদেশ দেবেন, কোন কৌশল অবলম্বন করলে ভালো হয় সেটা বলে দেবেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনটি আগে করা উচিৎ সেটা বলে দেবেন এবং কিভাবে অতি সহজে করা যার তাও দেখিয়ে দেবেন।

The Importance of Mentorship - ACAMS Today

ব্যক্তিগত জবাবদিহিতায় কাদের পাশে রাখতে পারেনঃ


১. জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রথমেই আমরা মা বা বাবার শরণাপন্ন হতে পারি। কারন মা, বাবা তাদের লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য অনেক কৌশল অবলম্বন করেছেন যা সবসময়ই চিরসবুজ। মা, বাবার পরামর্শ সবসময়ই কাজে আসে কারন তারা ঐ পথে ইতিমধ্যেই হেটেছেন।

২. দ্বিতীয়ত মেন্টরশীপ একটা বিরাট ভূমিকা থাকতে পারে। মেন্টর মানে হলো কোন একটি সেক্টরের বিশেষজ্ঞ যিনি অন্তত ৫ বছর আপনার পছন্দের সেক্টরে টানা কাজ করেছেন এবং এখন অন্য সেক্টর হলেও যিনি এখনো সক্রিয় আছেন। যিনি নিজেকে টেকসই করবার জন্য অনেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছেন, অনেক চ্যালেঞ্জ মুখোমূখী হয়েছেন। তবে মেন্টর বাছাই করবার ক্ষেত্রে অবশ্যই দেখতে হবেঃ

  • যাকে মেন্টর হিসেবে বেছে নেবেন তার মূল্যবোধ সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকতে হবে। আপনার এবং তার মূল্যবোধ যদি এক না হয় তাহলে আপনার লক্ষ্য অর্জনে তিনি তেমন কোন কাজে নাও আসতে পারে।
  • যোগাযোগের ক্ষমতা অবশ্যই ভালো হতে হবে। কারন দেখা গেছে নিজে অত্যন্ত সফল কিন্তু আরেকজনকে পথ দেখাবার জন্য অথবা নিজের বাস্তবিক অভিজ্ঞতা বুঝিয়ে বলবার দক্ষতা তেমন একটা নেই।
  • মানসিকভাবে পরামর্শ দেবার জন্য প্রস্তুত কিনা অথবা সম্মতি আছে কিনা সেটাও দেখে নিতে হবে। কারন হয়তো তিনি বাহ্যিক সম্মতি দিয়েছেন কিন্তু মানসিক ভাবে সম্মতি দেননি। আর সেজন্য লক্ষ্য নির্ধারনের যে সময়সীমা আপনি নিজেই নিজেকে দিয়েছেন সেটা বিলম্ব হবে।বিশ্বাস করুন বা না করুন, একজন পরামর্শদাতা বেছে নেওয়ার সময় ব্যক্তিত্ব অবশ্যই বিবেচনা করার মতো বিষয়। আপনি যদি একজন অন্তর্মুখী হন এবং আপনার সম্ভাব্য পরামর্শদাতা যদি বিপরীত হন, আপনি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।

৩. অনেক সময় পরামর্শক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হন। সেক্ষেত্রে কোচ বা প্রশিক্ষক আপনার লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। কারন কোচিং বা প্রশিক্ষন দেবার জন্য তারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে থাকেন। তবে কোচিং বা প্রশিক্ষন নেবার জন্য আপনাকে কিছুটা বিনিয়োগ করতেই হবে এবং এ সত্যটি আপনাকে মানতেই হবে। একজন খেলোয়ার তার সেরা খেলাটি দর্শকদের উপহার দেবার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কোচের শরনাপন্ন হন। ঠিক একইভাবে প্রফেশনাল হবার জন্য একজন কোচের অধিনে কিছুদিন থাকা মানেই হলো ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত থাকা।

Teaser-67

এগিয়ে যেতে ”প্রশ্ন করুন”

লক্ষ্য নির্ধারন বা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্ন করতে হবে বোঝার জন্য, জানার জন্য, মেনে চলার জন্য। আমরা অনেকেই প্রশ্ন করতে পারি না বা প্রশ্ন করতে একধরনের লজ্জাবোধ করি। অথবা প্রশ্ন করার অভ্যাস আমাদের মধ্যেই নেই। কিন্তু পৃথিবীতে অনেক নজির আছে যে একটি প্রশ্ন সম্পূর্ণ জীবনকে বদলে দিয়েছে। তবে এমনভাবে প্রশ্ন করতে হবে যেন উত্তরদাতা শুধুমাত্র হ্যা বা না এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে উত্তর দিতে না পারেন। ঠিক যেমনভাবে চিকিৎসকরা করে থাকেন রোগীর উপসর্গ জানার জন্য। চিকিৎসকের প্রশ্নগুলোকে বলা হয় ডায়াগনস্টিক প্রশ্ন যার মানে হলো গভীরে ঢুকে উত্তর বের করা। সাধারনত এই ডায়াগনস্টিক প্রশ্নকে আবার অধিকাংশ মানুষ 5W1H বলে জানি। কি (What), কেন (Why), কোথায় (Where), কখন (When), কে (Who) এবং কিভাবে (How).

কি করা উচিত? (What)

এটি করার উদ্দেশ্য কী? (What)

আরও কিছু কি করার আছে? (What)

লক্ষ্য পূরণের জন্য কোথায় রিসোর্স পাবো? (Where)

কখন এগিয়ে যাওয়ার সময়? (When)

কে আমাকে সাহায্য করতে পারেন? (Who)

কেন তারা আমাকে সাহায্য করবে? (Why)

কেন আমি এই কাজ করব? (Why)

তারা আমাকে কীভাবে সাহায্য করবে? (Who)


লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নের সময় যদি প্রতিনিয়ত ডায়াগনস্টিক প্রশ্ন করা যায় এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞ মানুষদের কাছ থেকে উত্তর সংগ্রহ করা যায় তাহলে লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নে কেউ আটকাতে পারে না। এই ডায়াগনস্টিক প্রশ্নের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেন (Why)?জাপানের বিখ্যাত ব্যবসায়ী কিচিরো টয়োডা বলেছিলেন কোন সমস্যা বা কোন ধরনের লক্ষ্য নির্ধারনের জন্য যদি অন্তত পাঁচবার কেন (Why) জীজ্ঞেস করা হয় তাহলে সে ঐ সমস্যার বা লক্ষ্যের কেন্দ্রতে পৌছতে সক্ষম হয়। তাই আপনার লক্ষ্য নির্ধারন এবং বাস্তবায়নের জন্য বারবার ডায়াগনস্টিক প্রশ্ন করুন যার উত্তর কেউ কোনদিন শুধুমাত্র হ্যা বা না দিয়ে শেষ করতে পারবে না।

বন্ধুরা সঠিকভাবে সঠিক প্রশ্ন করবার কাজটি হয়তো প্রথমে অনেক কঠিন মনে হবে কিন্তু মনে রাখতে হবে নিয়মিত অনুশীলন করলে সবকিছুই সম্ভব করা যায়। কারন আমি বিশ্বাস করি 

অনুশীলনে সবই সম্ভব | Practice makes everything perfect


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট

Teaser-68

নিজের সাফল্যে নিজেই উদযাপন করুন

কখনও নিজের সাফল্যে নিজেই উদযাপন করেছেন? আমি প্রায়ই নিজের ছোট কোন সাফল্যকে উপেক্ষা করতাম বৃহৎ কোন সাফল্যের আশায়। এটা খেয়াল করে আমার এক বড় ভাই আমাকে বললেন বড় সাফল্যে ক্ষুদ্র সাফল্যকে উপেক্ষা করছো? এটা একদম ঠিক নয়। আমার বড় কোন স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবার জন্য ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাগ করে ফেলি এবং এটাই স্বাভাবিক অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সংখ্যাই বেশী থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে আসা ছোট একটি সাফল্যকে যদি কাছের মানুষদের সাথে নিয়ে উদযাপন করা যায় তাহলে মানসিকভাবে একধরনের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া যায়। কোন কিছুকে ভালোবাসার পর যদি সেটা অর্জন করা যায় তাহলেই কেবলমাত্র উদযাপন করা সম্ভব। ধরুন কোন একটি লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য আপনাকে প্রতিদিন সকালে ঘুম উঠে ব্যায়াম করতে হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য আপনি রাতে ঘড়িতে এলার্ম সেট করে রাখেন। কিন্তু সকালবেলা এলার্ম বেজে উঠলেই আপনার বিরক্ত লাগে। এর মানে হতে আপনি আপনার লক্ষ্যটি বাস্তবায়নের জন্য শুরুতেই যে ফর্মূলার কথা বলেছিলাম সেটি ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারেন নি। ফর্মূলাটি ছিলো ”কেন-কারন”। লক্ষ্য নির্ধারনের আগে কেন আপনি লক্ষ্যটি নির্ধারন করতে যাচ্ছেন এবং এর যথার্থ কারন আপনার কাছে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে অসংখ্যবার আপনি ব্যর্থ হচ্ছেন এবং যতবার আপরি ব্যর্থ হয়েছেন কেন এবং কারন বের করে আবার নেমে পড়লেন। এবার যখন সাফল্য এলো তখন কেউ প্রশংসা না করলেও আপনি নিজেকে নিজেই একটা সাবাসী দিয়ে দেন। দেখবেন অন্যরকম লাগবে। আমি যখন ঠিক করলাম আমি একটি আর্টিক্যাল লিখবো এবং সাথে প্রতিটি প্যারার জন্য একটি করে ভিডিও বানাবো তখন আমি আমি আমাকেই প্রশ্ন করলাম কেন? এবং কারন বের করলাম। তারপর কয়েকজনের সাথে ফোনে কথা বললাম, বেশ কিছু আর্টিক্যাল পড়লাম, মেন্টরের সাথে পরামর্শ করলাম। তারপর সময় নির্ধারন করে নেমে পড়লাম। এখন আমি আর্টিক্যালটির একদম শেষে চলে এসেছি এবং একধরনের অন্যরকম আনন্দবোধ করছি। কারন নতুন একটি আর্টিক্যাল লিখবো এবং সেই সাথে আর্টিক্যালটিকে ভিত্তি করে ভিডিও বানাবো, এই খুশিতে গত তিনদিন আমি একটানা কাজ করেছি। এই যে এতো আয়োজনের শেষে যখন পাবলিশ করবো আমার সোস্যাল সাইটে তখন পাঠকরা হয়তো পড়বেন বা পড়বেন না কিন্তু আমার উদযাপন কিন্তু চলতেই থাকবে যা আমাকে পরবর্তী আর্টিক্যাল লেখায় অনুপ্রেরনা যোগাবে।

অনুশীলনে সবই সম্ভব | Practice makes everything perfect


লেখক: কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট